বৈরী হাওয়ায় সাগর উত্তাল থাকায় সেন্টমার্টিনে ঘুরতে গিয়ে আটকা পড়েছেন শতাধিক পর্যটক। এ ছাড়া দ্বীপে যাওয়ার উদ্দেশ্যে আসা আরো কয়েক’শ পর্যটকের দ্বীপে যাওয়া সম্ভব হয়নি। সাগরে লঘুচাপের প্রভাবে বৈরী আবহাওয়ায় উপকূলে ৩ নম্বর সতর্কতা সংকেত জারি থাকায় গতকাল শনিবার সকালে টেকনাফ থেকে কোনো জাহাজ ও নৌযান সেন্টমার্টিন যায়নি। ফলে গত শুক্রবার সেন্টমার্টিনে ভ্রমণে গিয়ে রাতে অবস্থান করা পর্যটকরা শনিবারে আর ফিরতে পারেনি।
সেন্টমার্টিন
আটকা পড়েছে শতাধিক পর্যটক
টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী বলেন, ‘বৈরী আবহাওয়ার কারণে জাহাজসহ সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সেন্টমার্টিনে আটকাপড়া পর্যটকদের খোঁজ-খবর নেওয়া হয়েছে।
কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত সহকারী আবহাওয়াবিদ তোফায়েল হোসেন বলেন, ‘উত্তরপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তত্সংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপের কারণে সমুদ্রে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সাগর ও নদীতে মাছ শিকার ও পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।
সেন্টমার্টিনে বেড়াতে যাওয়া পর্যটক ফরিদপুরের আতিকুর রহমান নামে এক ব্যবসায়ী জানান, তাঁরা গত বৃহস্পতিবার থেকে সেন্টমার্টিনে এসেছেন সপরিবারে। তাঁরা দ্বীপে একটি হোটেলে অবস্থান করছেন। তবে তাঁদের শনিবার সেন্টমার্টিন ছেড়ে আসার কথা থাকলেও জাহাজ চলাচল বন্ধ থাকায় দ্বীপ ছাড়তে পারেননি।
পর্যটকবাহী জাহাজ বার আউলিয়ার পরিচালক হোসাইনুল ইসলাম বাহাদুর বলেন, ‘প্রশাসনের নির্দেশে সাগর উত্তাল ও বৈরী আবহাওয়ায় জাহাজ চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে ভ্রমণে আসা প্রায় শতাধিক পর্যটক দ্বীপে আটকা পড়েছেন।
সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান জানান, শুক্রবার সন্ধ্যায় হঠাৎ আবহাওয়া খারাপ হওয়ায় শনিবার সকাল থেকে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটে জাহাজ ও নৌযান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে সেন্টমার্টিনে শতাধিক পর্যটক আটকা পড়ে। এর আগে শুক্রবার ঝুঁকি নিয়ে টেকনাফ থেকে স্পিডবোটে সেন্টমার্টিন যাওয়ার পথে সাগরে স্পিডবোট ডুবিতে এক নারীর মৃত্যু হয়। তাই ঝুঁকি নিয়ে এ পরিস্থিতিতে কাউকে দ্বীপ ছাড়তে দেওয়া হচ্ছে না। তবে আটকাপড়া পর্যটকদের যাতে খাবারসহ কোনো ধরনের অসুবিধা না হয়, সে ব্যাপারে খেয়াল রাখা হচ্ছে।
সম্পর্কিত খবর