সকাল থেকে গভীর রাত ক্রেতাদের পদচারণা আর বিক্রেতার হাঁকডাকে সরগরম রিয়াজউদ্দিন বাজার। বসে সবশ্রেণির ক্রেতার মিলনমেলা। কী নেই এখানে! তৈরি পোশাক থেকে শুরু করে সুঁই-সূতা, ঝাড়ু সবই মিলছে। রয়েছে দুই শতাধিক মার্কেটে ১০ হাজারেরও বেশি দোকান।
ঈদবাজার
কী নেই রিয়াজউদ্দিন বাজারে!
নিজস্ব প্রতিবেদক

রিয়াজউদ্দিন বাজার বণিক কল্যাণ সমিতির সভাপতি মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম কালের কণ্ঠকে বলেন, 'সমিতির পক্ষ থেকে প্রতিবছরের মতো এবারও ঈদবাজারে ক্রেতাদের সুবিধার্থে বেশ কিছু ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পুরো বাজারে ত্রিপল প্যান্ডেল করা হয় যাতে ক্রেতারা বৃষ্টিতেও নির্বিঘ্নে কেনাকাটা করতে পারেন।' তিনি জানান, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের সহায়তায় সাদা ও পোশাকধারী পুলিশের সার্বক্ষণিক টহলের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
সরেজমিন দেখা যায়, ঈদের কেনাকাটা সুন্দর ও নির্বিঘ্ন করতে রিয়াজউদ্দিন বাজারের চারপাশ সাজানো হয়েছে।
জামা কাপড়ের পাশাপাশি প্রসাধন সামগ্রীর বাজারও জমে উঠেছে। তামাকুমণ্ডি লেনের রহমান ম্যানসনের আকতার ট্রেডিংয়ের স্বত্বাধিকারী আকতার কামাল বলেন, 'সাধারণত কাপড়চোপড় কেনাকাটা নিশ্চিতের পর ক্রেতারা প্রসাধন সামগ্রী কেনার জন্য ভিড় করেন। তবে গত দুইদিন ধরে ক্রেতাদের ভিড় দেখা যাচ্ছে।
এদিকে বাজারের চারপাশে গড়ে উঠা অবৈধ কিছু ব্যবসায়ীর কারণে বাজারের প্রকৃত ব্যবসায়ীর অনেক ক্ষতি হচ্ছে উল্লেখ করে বণিক কল্যাণ সমিতির সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, 'এ ব্যাপারে প্রশাসনের কঠোর উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন। প্রতিবছর এসব নিয়ে ঝামেলায় পড়তে হয়। ক্রেতাদের নানা অভিযোগ আসে। প্রশাসনের সহযোগিতা ছাড়া স্বাচ্ছন্দ্যে ব্যবসা করা সম্ভব নয়।'
'এখানকার ব্যবসায়ীরা সবসময় ক্রেতাদের কাছে মানসম্মত পণ্য বিক্রির চেষ্টা করেন। তাই ক্রেতারাও সুলভমূল্যে পণ্য কিনে লাভবান হন। আর সহজে সবকিছু পাওয়া যায় বলেই শতবছর ধরে চট্টগ্রামসহ সারাদেশের মানুষের কাছে বেশ জনপ্রিয় এই বাজার।- বলেন তিনি।
রিয়াজউদ্দিন বাজারে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসার সাথে জড়িত হাজি মোহাম্মদ হারুন কাকন বলেন, 'যুগ যুগ ধরে জাত ব্যবসায়ীদের কারণেই রিয়াজউদ্দিন বাজার শুধু দেশে নয়, বিদেশেও সুখ্যাতি পেয়েছে। সব ধরনের পোশাক থেকে শুরু করে নিত্যপ্রয়োজনীয় দরকারি সবই পাওয়া যায় এখানে।'
তিনি জানান, প্রতিবছর রোজার শুরু থেকেই সকাল হতে গভীর রাত পর্যন্ত ক্রেতাদের পদচারণা আর বিক্রেতাদের হাঁকডাকে মুখরিত থাকে রিয়াজউদ্দিন বাজার। এবারও এর ব্যতিক্রম হয়নি। প্রচুর ভিড়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভিড়ও বাড়তে থাকে। সেহেরির আগমুহূর্তে পর্যন্ত চলে বেচাকেনা।
বাজারের করিম সুপার মার্কেটের জে অ্যান্ড জে ফ্যাশনের মালিক সনজিত দে বলেন, 'প্রতিদিনই প্রচুর ক্রেতা সমাগম হচ্ছে। সবশ্রেণির মানুষ কেনাকাটা করতে আসছেন এখানে।'