<p>রাশিয়ার কুরস্কে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটিতে ইউক্রেনীয় বাহিনী হামলার চেষ্টা করেছে বলে অভিযোগ করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। রাশিয়ার সীমান্ত এলাকাটির রণাঙ্গন থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির অবস্থান।</p> <p>সরকারি বৈঠকে গতকাল বৃহস্পতিবার পুতিন অভিযোগ করেন, শত্রুরা গত রাতে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটিতে হামলার চেষ্টা করেছিল। এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থাকে (আইএইএ) অবগত করা হয়েছে। পুতিনের বৈঠকের খবর দেশটির টেলিভিশনে সম্প্রচার করা হয়।  নিজের দাবির পক্ষে পুতিন অবশ্য কোনো প্রমাণ হাজির বা আক্রমণের বিশদ বর্ণনা করেননি। আইএইএ প্রধান রাফায়েল গ্রোসি আগামী সপ্তাহে কুরস্ক পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি পরিদর্শনে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন বলে গতকাল সংস্থাটির এক মুখপাত্র জানান। দীর্ঘ আড়াই বছর ধরে চলা যুদ্ধে রাশিয়া ও ইউক্রেন একে অন্যের বিরুদ্ধে পারমাণবিক নিরাপত্তা হুমকির অভিযোগ করে আসছে।</p> <p>যুদ্ধ শুরুর কিছুদিনের মধ্যে উত্তর  ইউক্রেনের পরিত্যক্ত চেরনোবিল বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নিয়ন্ত্রণে নেয় রুশ বাহিনী। তারা এখনো জাপোরিঝিয়া স্থাপনাটির নিয়ন্ত্রণ ধরে রেখেছে। কুরস্কে ইউক্রেনীয় বাহিনীর আকস্মিক অভিযান শুরুর পর আইএইএ লড়াইরত পক্ষগুলোকে কুরস্কে বিদ্যুৎ কেন্দ্রে সম্ভাব্য পারমাণবিক দুর্ঘটনা এড়াতে সর্বোচ্চ সংযত হওয়ার আহবান জানিয়েছে।</p> <p>এদিকে পূর্ব ইউক্রেনের দোনেত্স্ক অঞ্চলে আরেকটি গ্রাম নিয়ন্ত্রণের দাবি করেছে রাশিয়ার সেনাবাহিনী। ইউক্রেনীয় বাহিনীর কুরস্কের অভিযান সত্ত্বেও দোনেৎস্কে অভিযানে অগ্রগতির দাবি করে যাচ্ছে রাশিয়া। এর আগে অঞ্চলটির দুটি ছোট শহর নিয়ন্ত্রণের দাবি করেছে তারা। এদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি গতকাল সুমি অঞ্চল পরিদর্শনের কথা জানিয়েছেন। সুমি অঞ্চলের সীমান্ত ঘেঁষে রাশিয়ার কুরস্কে বর্তমানে অভিযান চালাচ্ছে ইউক্রেনীয় বাহিনী। আড়াই বছরের যুদ্ধে রাশিয়ার ভূখণ্ডে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ও সাহসী অভিযান চালিয়েছে কিয়েভ।</p> <p><strong>আজ ইউক্রেনে যাচ্ছেন নরেন্দ্র মোদি</strong></p> <p>ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আজ ইউক্রেন যাচ্ছেন। গত মঙ্গলবার ইউক্রেনের প্রতিবেশী দেশ পোল্যান্ড সফরে যান তিনি। গতকাল ওয়ারশতে পোলিশ প্রধানমন্ত্রী ডোনাল্ড টুস্কের সঙ্গে তিনি সাক্ষাৎ করেন। ইউক্রেন সফরের আগে মোদি শান্তির ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, ভারত দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে, রণাঙ্গনে কোনো সমস্যা সমাধান করা যায় না। সংলাপ ও কূটনীতির মাধ্যমে যত দ্রুত সম্ভব শান্তি পুনঃস্থাপনে তাঁর দেশ সমর্থন দেয়। </p> <p>সূত্র : এএফপি</p>