<p>ইউক্রেনীয় বাহিনীর আক্রমণ চালানোর পর বুধবার রাশিয়ার সীমান্ত অঞ্চল বেলগোরোডে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। কিয়েভ  গত সপ্তাহে রাশিয়ার আন্তঃসীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশের পর রাশিয়ার শত শত বর্গমাইলের নিয়ন্ত্রণ দাবি করেছে। এ ঘটনা ইউক্রেনের কৌশলের একটি উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর প্রথমবারের মতো বিদেশি সৈন্যরা রাশিয়ার ভূখণ্ডে প্রবেশ করল।</p> <p>বেলগোরোডের গভর্নর ব্যাচেস্লাভ গ্ল্যাডকভ তার টেলিগ্রাম অ্যাকাউন্টে বুধবার পোস্ট করা একটি ভিডিও বার্তায় বলেছেন, ‘বেলগোরোড অঞ্চলে উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি বিরাজ করছে।’  বেলগোরোডের গভর্নর আরো জানিছেন, আঞ্চলিক কর্তৃপক্ষ এখন রুশ সরকারের কাছে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করার জন্য আবেদন করছে।</p> <p>তিনি বলেছেন, বেলগোরোডের দুটি স্থান শেবেকিনো শহর এবং উস্টিঙ্কা গ্রামে ইউক্রেনীয় ড্রোন ব্যবহার করে আক্রমণ চালানো হয়। কোনো হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও দুটি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর থেকে হাজার হাজার রাশিয়ান তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়েছে। এদিকে মস্কো আক্রমণ ঠেকাতে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। </p> <p>তবে ইউক্রেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেছেন, তারা কুরস্কের একাংশ নিজেদের দখলে রাখার ব্যাপারে উৎসাহী নয়। ইউক্রেন দাবি করেছে, তারা রাশিয়ার ভূখণ্ডে ঢুকে মস্কোর সেনাদের অস্ত্র ও অন্য জিনিস সরবরাহের প্রক্রিয়াটা ব্যাহত করতে চেয়েছে। রাশিয়ার সেনা সহজে দনেৎস্ক যেতে পারবে না।</p> <p>মুখপাত্র আরো বলেছেন, ‘রাশিয়া যখনই ন্যায্য শান্তি মেনে নেবে, তখনই ইউক্রেনের সেনা কুরস্ক ছেড়ে চলে আসবে। ইউক্রেন রাশিয়ার এলাকা নিতে চায় না। তারা নিজেদের মানুষের জীবন রক্ষা করতে চায়। এই কুরস্ক থেকে সম্প্রতি দুই হাজার বার আক্রমণ চালিয়েছে রাশিয়া।’</p> <p>তার দাবি, ‘ইউক্রেনের সেনা ইউরোপের মধ্যে সভ্য সেনা। তারা আন্তর্জাতিক মানবিক আইন মেনে চলে। তারা কেবল সামরিক বাহিনীকেই টার্গেট করে। রাশিয়াই ইউক্রেন আক্রমণ করেছিল। তাই এখন যুদ্ধ রাশিয়ার ভূখণ্ডে নিয়ে যাওয়ার মধ্যে কোনো অন্যায় নেই।’</p> <p>এদিকে গত সোমবার কিয়েভ দাবি করেছে, রাশিয়া এই বছর এ পর্যন্ত যে পরিমাণ জমি দখল করে নিয়েছিল তার প্রায় একই পরিমাণ জমির নিয়ন্ত্রণ ফিরে পেয়েছে তারা। মঙ্গলবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ড ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, তাদের বাহিনী কুর্স্কের ৭৪টি বসতি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে এবং তারা এই অঞ্চলে পরবর্তী পদক্ষেপের প্রস্তুতি নিচ্ছে।</p> <p>এই আক্রমণ ক্রেমলিনের জন্য একটি বড় বিব্রতকর অবস্থা তৈরি করেছে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ‘শত্রুকে লাথি দিয়ে বের করে দেওয়ার’ প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। যদিও রুশ সেনারা এখনও ইউক্রেনীয় আক্রমণ থামাতে পারেনি। </p> <p>মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মঙ্গলবার এই আগ্রাসনকে সম্বোধন করে বলেছেন, ‘তিনি পরিস্থিতি নিয়ে নিয়মিত আপডেট পাচ্ছেন এবং পুতিনের জন্য এ ঘটনা সত্যিকারের দ্বিধা তৈরি করছে।’</p> <p><strong>সূত্র : সিএনএন, দ্য গার্ডিয়ান</strong></p>