<p>মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের দুর্ভোগ লাঘবের জন্য গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছাতে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে চাপ দিয়েছেন। প্রেসিডেন্ড জো বাইডেনের চেয়ে বেশ কঠোর সুরেই হ্যারিস এই আহবান জানান।</p> <p>নেতানিয়াহুর সঙ্গে মুখোমুখি আলোচনার পর একটি টেলিভিশন বিবৃতিতে হ্যারিস বলেন, ‘এই যুদ্ধ শেষ হওয়ার সময় এসেছে।’</p> <p>যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকে নিয়ে কয়েক বছর ধরে সমালোচনা ছিল যে তিনি দেশটির প্রেসিডেন্ট হওয়ার যোগ্য নন। তবে এখন পরিস্থিতি পাল্টেছে। গত রবিবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন থেকে সরে যাওয়া জো বাইডেন তাকে ডেমোক্রেটিক পার্টির পরবর্তী প্রার্থী হিসেবে সমর্থন দিয়েছেন। বাইডেনের পদাঙ্ক অনুসরণ করে জ্যেষ্ঠ ডেমোক্র্যাটরাও তাকে পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছেন। হ্যারিস ইসরায়েল এবং হামাস জঙ্গিদের মধ্যে নয় মাস যুদ্ধের পর গাজায় মানবিক সংকটের বিষয়ে কথা বলেননি।</p> <p>তবে তিনি বলেছেন, ‘আমরা নিজেদেরকে কষ্টের কাছে অসাড় হতে দিতে পারি না এবং আমি নীরব থাকব না।’ এ সময় হ্যারিসের বক্তব্য ছিল তীক্ষ্ণ এবং কণ্ঠ ছিল গম্ভীর। তিনি এই প্রশ্নও উত্থাপন করেছিলেন যে, যদি ৫ নভেম্বর প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন তাহলে নেতানিয়াহুর ক্ষেত্রে তিনি আরো আক্রমনাত্মক হবেন কিনা? তবে বিশ্লেষকরা ধারণা করছেন, ইসরায়েলের প্রতি মার্কিন নীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন হবে না, মধ্যপ্রাচ্যে ওয়াশিংটনের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ মিত্র।</p> <p>হ্যারিস পরে বলেন, ‘যুদ্ধবিরতির চুক্তি নিয়ে একটি আশাবাদী আলোচনা হয়েছে এবং আমি যেমন প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে বলেছিলাম, চুক্তিটি সম্পন্ন করার সময় এসেছে।’ যদিও ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে তিনি বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকারকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করার জন্য বাইডেনের পদাঙ্ক অনুসরণ করেছেন। তবে বৃহস্পতিবার স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি ইসরায়েলের সামরিক পদ্ধতির নিয়ে ধৈর্য হারাচ্ছেন।</p> <p>হ্যারিস বলেন, ‘ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকার আছে কিনতু সেটা কীভাবে করবে তা গুরুত্বপূর্ণ।’ গত মার্চ মাসেও তিনি বলেছিলেন, ইসরায়েল ফিলিস্তিনে স্থল আক্রমণ করার সময় মানবিক বিপর্যয়ের দিকটি সহজ করার জন্য যথেষ্ট কাজ করছে না। </p> <p>ইসরায়েলের সংখ্যা অনুসারে, ৭ অক্টোবর হামাস দক্ষিণ ইসরায়েলে গাজা থেকে আক্রমণ করলে এক হাজার ২০০ ইসরায়েলি নিহত এবং ২৫০ জনেরও বেশি জনকে জিম্মি করে নিয়ে যায় হামাস। এরপর গাজায় ইসরায়েলের প্রতিশোধমূলক আক্রমণে ৩৯ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে এবং বেশিরভাগ মানুষ তাদের বাড়িঘর থেকে বাস্তুচ্যুত হয়েছে। দুর্ভিক্ষ এবং জরুরি ত্রাণের অভাবে একটি মানবিক বিপর্যয়ের সৃষ্টি হয়েছে সেখানে।</p> <p>হোয়াইট হাউসের দেওয়া তথ্য অনুসারে বাইডেন নেতানিয়াহুর সঙ্গে দেখা করে তাকে বলেন, গাজায় যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছাতে এবং ত্রাণের প্রবাহের বাধা দূর করতে তাকে ফাঁকগুলো বন্ধ করতে হবে। নেতানিয়াহু আজ শুক্রবার ফ্লোরিডায় ট্রাম্পের মার-এ-লাগো ক্লাবে হ্যারিসের রিপাবলিকান প্রতিদ্বন্দ্বী ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করবেন।</p> <p>সূত্র : রয়টার্স</p>