<p>তাইওয়ানের রাজধানী স্থানীয় সময় সোমবার বিকেলে একটি ‘শক্তিশালী’ ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে। এএফপি কর্মীরা এ খবর দিয়েছেন। এ ছাড়া কেন্দ্রীয় আবহাওয়া প্রশাসন এটিকে পূর্ব হুয়ালিয়েনে উদ্ভূত একটি ৫.৫ মাত্রার কম্পন হিসেবে চিহ্নিত করেছে বলে এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।</p> <p>প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোমবারের ভূমিকম্প তাইওয়ানে আঘাত হানে স্থানীয় সময় বিকেল ৫টা ৮ মিনিটে। এটি রাজধানী তাইপেও অনুভূত হয়। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ ভূমিকম্পটিকে ৫.৩ মাত্রার বলে চিহ্নিত করেছে, যার গভীরতা ৮.৯ কিলোমিটার।</p> <p>এএফপি বলছে, পূর্ব হুয়ালিয়েন অঞ্চলটি ছিল ৭.৪ মাত্রার ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল, যেটি ৩ এপ্রিল আঘাত করেছিল। এতে পাহাড়ি অঞ্চলের চারপাশে ভূমিধস হওয়ায় রাস্তাগুলো বন্ধ হয়ে যায়। প্রধান হুয়ালিয়েন শহরের ভবনগুলো খারাপভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। সেই ভূমিকম্পে নিহত হয়েছিল কমপক্ষে ১৭ জন।</p> <p>এএফপির একজন কর্মী বলেছেন, ‘এই মাসের শুরুর দিকের বড় ভূমিকম্পের পর এটি সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প বা আফটারশকগুলোর মধ্যে একটি বলে মনে হয়েছে।’</p> <p>হুয়ালিয়েনের ফায়ার ডিপার্টমেন্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের অফিশিয়াল চ্যানেলে একটি সংক্ষিপ্ত পোস্টে বলেছে, তারা যেকোনো বিপর্যয় পরিদর্শনের জন্য দল পাঠিয়েছে। তারা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ চালিয়ে যাবে এবং সময়মতো জানাবে।</p> <p>গণমাধ্যমটির তথ্য অনুসারে, তাইওয়ানে ঘন ঘন ভূমিকম্প হয়ে থাকে। কারণ এটি দুটি টেকটোনিক প্লেটের সংযোগস্থলে অবস্থিত। ৩ এপ্রিলের ভূমিকম্পের পর শত শত আফটারশক হয়, যা হুয়ালিয়েনের চারপাশে পাথরের আঘাতের কারণ হয়েছিল। ১৯৯৯ সালে ৭.৬ মাত্রার পর এটি ছিল তাইওয়ানে সবচেয়ে গুরুতর ভূমিকম্প। তখন মৃতের সংখ্যা অনেক বেশি ছিল। দেশটির ইতিহাসে সবচেয়ে মারাত্মক ওই প্রাকৃতিক দুর্যোগে দুই হাজার ৪০০ জন মারা গিয়েছিল।</p>