<p>রমজানের প্রথম দিনেই ফিলিস্তিনিদের জেরুজালেমে আল আকসা মসজিদে যাওয়ার ডাক দিলেন হামাস নেতা হানিয়া। হামাস নেতা বলেছেন, ‘জেরুজালেম এবং পশ্চিম তীরে যে ফিলিস্তিনিরা আছেন, তাদের বলছি, রমজানের প্রথম দিনে আল আকসা যান।’</p> <p>জার্মানি, যুক্তরাষ্ট্র, ইইউসহ অনেক দেশই হামাসকে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন বলে ঘোষণা করেছে। এখন ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। বাইডেন বলেছেন, পবিত্র রামজান মাসে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হতে পারে। সেই অবস্থায় হামাস নেতা ফিলিস্তিনিদের আল-আকসায় যেতে বললেন।</p> <p>জেরুজালেমের ওল্ড সিটিতে হারাম আল-শরিফ কমপ্লেক্সের একটা অংশে আছে আল-আকসা মসজিদ, যা মুসলিমদের কাছে অন্যতম পবিত্র স্থান। এই জায়গাটিকে টেম্পল মাউন্ট বলা হয়, যা ইহুদিদের কাছে সবচেয়ে পবিত্র এলাকা। ইসরায়েলের সরকারি মুখপাত্র জানিয়েছেন, হামাস নেতার মন্তব্য খুবই দুর্ভাগ্যজনক। তাঁর অভিযোগ, এভাবে লড়াইটা অন্য ফ্রন্টেও নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। বুধবার যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছিল, ইসরায়েল যেন মুসলিমদের রমজানে আল-আকসা মসজিদে প্রার্থনা করতে দেয়।</p> <p>মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার বলেছেন, ‘আমরা ইসরায়েলের কাছে আবেদন করছি, অতীতের রীতি মেনে রমজানের সময় তারা যেন শান্তিপূর্ণ প্রার্থনার অনুমতি দেয়।’ তার মতে, ‘ইসরায়েলের স্বার্থেই পশ্চিম তীর ও সীমান্ত এলাকায় উত্তেজনা বাড়তে দেওয়া উচিত নয়।’</p> <p><strong>দামাস্কের কাছে ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র</strong></p> <p>দামাস্কের কাছে ইসরায়েল ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করেছে বলে সিরিয়ার সেনা ও একটি সংগঠন দাবি করেছে। সিরিয়ান অবসারবেটারি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, হিজবুল্লাহসহ ইরানের মদদপুষ্ট গোষ্ঠীগুলোকে টার্গেট করেছিল ইসরায়েল। দামাস্কের কাছে দুইটি জায়গায় তারা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করে। </p> <p>সংস্থাটি জানিয়েছে, এর ফলে দুইজন সিরিয়ার নাগরিক মারা গেছেন। ছয়জন আহত হয়েছেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, দামাস্কের কাছের অঞ্চল থেকে চারটি বিস্ফোরণের আওয়াজ তারা পেয়েছেন। এরপর কিছুক্ষণ ধরে অ্যাম্বুল্যান্সের সাইরেনের আওয়াজ পাওয়া গেছে।</p> <p><strong>হামাসের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা</strong></p> <p>সিরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েল দামেস্কের অকাধিক জায়গা লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। সিরিয়ার এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম অধিকাংশ ক্ষেপণাস্ত্রকে অকেজো করে দিতে পেরেছে। বুধবার হামাসও দক্ষিণ লেবানন থেকে উত্তর ইসরায়েলের ওপর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করেছে। হামাসকে যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, ইইউ সন্ত্রাসবাদী সংগঠন বলে চিহ্নিত করেছে। হামাস জানিয়েছে, গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলের আক্রমণে যেভাবে বেসামরিক মানুষের মৃত্যু হচ্ছে, তার জবাব দিতে তারা এই রকেট হামলা করেছে। ইসরায়েলের সেনা জানিয়েছে, অন্তত ১০টি রকেট লেবানন সীমান্ত পেরিয়ে ইসরায়েলের দিকে আসে। তাদের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম ওই রকেটগুলো নিষ্ক্রিয় করে দিয়েছে।</p>