<p>যুদ্ধ অবসানে এবং জিম্মিদের মুক্তি নিয়ে হামাসের একটি প্রস্তাব গত রবিবার প্রত্যাখ্যান করেছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। হামাস ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার, ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি এবং গাজায় হামাসের শাসন মেনে নেওয়ার বিনিময়ে জিম্মিদের মুক্তি এবং যুদ্ধ বন্ধের প্রস্তাব দিয়েছিল। নেতানিয়াহু বলেছেন, হামাসের শর্ত মেনে নেওয়ার অর্থ হলো সশস্ত্র গোষ্ঠীটিকে অক্ষত ছেড়ে দেওয়া এবং ইসরায়েলি সেনাদের লড়াই বৃথা যাওয়া। গত নভেম্বরের শেষে সাময়িক যুদ্ধবিরতির সময় ১০০ জনের বেশি জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস।</p> <p>ইসরায়েলি সেনাদের মতে হামাসের হাতে এখনো ১৩৬ জন জিম্মি রয়েছে। নেতানিয়াহু এর আগে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ধারণার বিরোধিতা করেছেন। এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তাঁর মতপার্থক্য বাড়ছে। এদিকে হামাসের হাত থেকে জিম্মিদের ফিরিয়ে আনতে ইসরায়েলের ভেতরে চাপে রয়েছেন নেতানিয়াহু। জিম্মিদের মুক্তির দাবিতে জেরুজালেমে নেতানিয়াহুর ব্যক্তিগত বাড়ির সামনে গত রবিবার সন্ধ্যায় বিক্ষোভ হয়। জিম্মি ও নিখোঁজদের পরিবারের ফোরাম এই বিক্ষোভের আয়োজন করে। আন্দোলনকারীরা জানান, নেতানিয়াহু হামাসের হাত থেকে জিম্মিদের মুক্ত করতে কোনো চুক্তিতে সম্মত না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা সেখানে বিক্ষোভ চালিয়ে যাবেন। এদিকে দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসে তুমুল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল।</p> <p>অন্যদিকে উত্তর গাজায় এখনো হামলার খবর মিলেছে। হামাস জানিয়েছে, গাজা সিটিতে গোলাবর্ষণ হয়েছে এবং সেখানে বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া গেছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় গতকাল দুপুর পর্যন্ত শেষ ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলের নির্বিচার হামলায় অন্ততপক্ষে ১৯০ ফিলিস্তিনি নিহতের খবর জানায়। এই সময়ে আরো ৩৪০ জন আহত হন। মন্ত্রণালয় জানায়, চার মাস ধরে চলা যুদ্ধে গাজায় এ পর্যন্ত ২৫ হাজার ২৯৫ জন নিহত এবং ৬৩ হাজার মানুষ আহত হয়।</p> <p>এদিকে হুতিদের বিরুদ্ধে অভিযানে অংশ নিতে গিয়ে নিখোঁজ হওয়া মার্কিন নৌবাহিনীর বিশেষ ইউনিট নেভি সিলের দুই সদস্য মারা গেছেন বলে মনে করছে যুক্তরাষ্ট্র। গত ১১ জানুয়ারি সোমালিয়া উপকূলে সাগরে নিখোঁজ হন তাঁরা। গাজা যুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা শুরু করে ইয়েমেনের হুতিরা। এর জবাবে হুতিদের বিরুদ্ধে অভিযান চালায় যুক্তরাষ্ট্র।</p> <p><strong>সূত্র : বিবিসি, এএফপি, আলজাজিরা</strong></p>