<article> <p style="text-align: justify;">রাশিয়ার একটি তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসবাহী জাহাজ গতকাল শনিবার সুইডেনের নিনেসহামন বন্দরে ভিড়েছে। ‘কোরাল এনার্জি’ নামের জাহাজটি রাশিয়ার সরকারি মালিকানাধীন জ্বালানি প্রতিষ্ঠান গাজপ্রমের গ্যাস টার্মিনাল থেকে এসেছে বলে জানা গেছে।</p> <p style="text-align: justify;">ইউক্রেনে হামলার কারণে রাশিয়ার ওপর যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা ব্যাপক নিষেধাজ্ঞা জারি করলেও সে দেশ থেকে জাহাজে তরল গ্যাস আমদানি এর আওতাভুক্ত নয়। কিন্তু সাধারণভাবে পশ্চিমা বিশ্বে রাশিয়ার জ্বালানিসহ যেকোনো পণ্য আমদানিকে নেতিবাচকভাবে দেখা হয়, কারণ জ্বালানি রপ্তানি থেকে পাওয়া অর্থ মস্কোকে ইউক্রেন যুদ্ধের ব্যয় বহন করতে সহায়তা করছে।</p> </article> <p style="text-align: justify;">২০২২ সালের মে মাসে সুইডেনের তৎকালীন সরকার পার্লামেন্টে রাশিয়ার তেল-গ্যাস আমদানি বন্ধের ঘোষণা দিলেও তা কার্যকর করা হয়নি। ১৬৪ মিটার দীর্ঘ জাহাজ ‘কোরাল এনার্জি’ রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে পূর্ণমাত্রায় যুদ্ধ শুরুর পর এর আগেও একবার নিনেসহামন বন্দরে ভিড়েছিল।</p> <article> <p style="text-align: justify;">পর্যবেক্ষকরা বলছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের গ্যাস বাজারের জন্য নতুন বিধি জারি না করা হলে সদস্য  দেশগুলোকে রাশিয়ার গ্যাস আমদানি করা থেকে বিরত রাখা সম্ভব হবে না। আর নতুন প্রস্তাবটি প্রথমে ইইউ পার্লামেন্ট এবং মন্ত্রিপরিষদ দ্বারা অনুমোদিত হতে হবে।</p> </article> <p style="text-align: justify;">চলতি জানুয়ারি মাসেই ইইউর পার্লামেন্টে প্রস্তাবটির ওপর ভোট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তরল গ্যাস আমদানির ক্ষেত্রে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইইউ এ পর্যন্ত কোনো নিষেধাজ্ঞা না দিলেও লাটভিয়া এবং লিথুয়ানিয়ার মতো দেশগুলো নিজেরাই আমদানি নিষিদ্ধ করেছে।</p> <article> <p style="text-align: justify;">নিনেসহামন বন্দরে ফিনিশ রাষ্ট্রীয় গ্যাস কম্পানি ‘গ্যাসাম’-এর একটি গ্যাস টার্মিনালও রয়েছে। তাদের সঙ্গে রাশিয়ার গাজপ্রমের একটি দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি রয়েছে।</p> </article> <p style="text-align: justify;">ফিনিশ সংবাদপত্র হেলসিংগিন সানোমাট বলেছে, চুক্তিতে বলা হয়েছে, গ্যাসাম কিছু সময় রুশ গ্যাস না কিনলেও এর জন্য গাজপ্রমকে অর্থ প্রদান করতে বাধ্য থাকবে। ফিনল্যান্ড সরকার ২০২৫ সাল থেকে রাশিয়ার গ্যাস আমদানি নিষিদ্ধ করার ঘোষণা দিয়েছে।</p>