<p>ইরাক ও সিরিয়ায় নিযুক্ত মার্কিন বাহিনী এক মাসেরও কম সময়ে কমপক্ষে ৩৮ বার আক্রমণের শিকার হয়েছে বলে পেন্টাগন জানিয়েছে। এর মধ্যে গত দুই দিনের ছয়টি ঘটনাও রয়েছে। ইরান সমর্থিত প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলো এ হামলা চালিয়েছে বলে মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের সদর দপ্তর জানিয়েছে।</p> <p>অধিকাংশ হামলায় রকেট ও ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছে। সোমবার ইরাকের আনবার গভর্নরেটের আইন আল-আসাদ ঘাঁটি এবং সিরিয়া-ইরাক-জর্দান সীমান্তে আল-তানফের ঘাঁটি লক্ষ্য করে একাধিক ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করা হয়েছে বলে জানা গেছে। </p> <p>পেন্টাগনের প্রেস সেক্রেটারি প্যাট রাইডার সোমবার সাংবাদিকদের বলেন, আক্রমণগুলো সেনাদের ‘হয়রানি করছে’। এর ফলে ৪৬ জন মার্কিন সামরিক সদস্য আহত হয়েছেন, যা আগে জানানো সংখ্যার দ্বিগুণেরও বেশি। ২৫ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্র জানায়, ২১ জন সামরিক সদস্য সামান্য আহত হয়েছেন।</p> <p>রাইডার জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র নিশ্চিত করার চেষ্টা করছে, যাতে এ সংখ্যা বৃদ্ধির দিকে না যায়। সেই সঙ্গে এই অঞ্চলে সেনাদের সুরক্ষা অব্যাহত রাখা হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা নিশ্চিত করব যে আমরা আমাদের বাহিনীকে রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছি।’</p> <p>এর আগে গাজার বিরুদ্ধে ইসরায়েলের চলমান যুদ্ধে ওয়াশিংটন হস্তক্ষেপ করলে ইরাকের প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলো মার্কিন ঘাঁটিতে হামলার হুমকি দিয়েছিল। অঞ্চলটিতে দায়েশের পুনরুত্থান রোধের প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে ইরাকে আনুমানিক আড়াই হাজার মার্কিন সেনা এবং প্রায় ৯০০ অবৈধভাবে সিরিয়ায় অবস্থান করছে। তবে তাদের সবাই সিরিয়ার তেলক্ষেত্রের চারপাশে অবস্থান করছে।</p> <p>সূত্র : মিডল ইস্ট মনিটর</p>