<p>ইউক্রেন পারমাণবিক বিপর্যয়ের ঝুঁকি তৈরি করছে বলে রাশিয়া বৃহস্পতিবার অভিযোগ করেছে। জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক কেন্দ্রের কাছে রুশ বাহিনী ৯টি ইউক্রেনীয় ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করেছে দাবি করে এ অভিযোগ করে তারা। এটি ইউরোপের বৃহত্তম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র হিসেবেও পরিচিত।</p> <p>ইউক্রেনের জাপোরিঝিয়া প্লান্টটি ২০২২ সালের মার্চের শুরু থেকে রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সেখানে ইউরেনিয়াম ২৩৫ সহ ছয়টি সোভিয়েত সময়কার ভিভিইআর-১০০০ ভি-৩২০ ওয়াটার-কুলড ও ওয়াটার-মডারেটেড চুল্লি রয়েছে। তবে চারটি চুল্লি বন্ধ হয়ে গেছে এবং দুটি চুল্লি তথাকথিত ‘হট শাটডাউন’ অবস্থায় রয়েছে বলে রাশিয়ার নিযুক্ত প্লান্ট পরিচালনাকারী সংস্থা জানিয়েছে।</p> <p>রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বিপর্যয়ের হুমকি সৃষ্টি এবং আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থার (আইএইএ) কর্মীদের পালাক্রমে দায়িত্ব পালন ব্যাহত করার লক্ষ্যে কিয়েভ সরকার উসকানি চালিয়ে যাচ্ছে।</p> <p>মন্ত্রণালয় বলেছে, রুশ বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনী রাশিয়ার নিয়ন্ত্রিত শহর এনেরহোদারের কাছে ৯টি ইউক্রেনীয় ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করেছে। সেখানে প্লান্টের অনেক কর্মী বাস করে।</p> <p>রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা ড্রোন হামলা সম্পর্কে বলেছেন, ‘কিয়েভ বিপজ্জনক কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছে এবং অপরাধমূলক ও দায়িত্বজ্ঞানহীন উসকানি দিচ্ছে।’</p> <p>জাখারোভা বলেন, আইএইএর উচিত রাশিয়ার প্রস্তাবের দিকে নজর দেওয়া, তার কর্মীরা যেন শুধু রাশিয়ার দখলে থাকা অঞ্চলের মাধ্যমেই প্লান্ট পর্যবেক্ষণ করেন।</p> <p>আইএইএ তাৎক্ষণিকভাবে মন্তব্যের অনুরোধে সাড়া দেয়নি। ইউক্রেনও তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি।</p> <p>আইএইএ বারবার বলেছে, বিশ্ব ভাগ্যবান যে জাপোরিঝিয়া প্লান্টে এখনো কোনো পারমাণবিক দুর্ঘটনা ঘটেনি। সেখানে পারমাণবিক নিরাপত্তা অত্যন্ত ভঙ্গুর বলে সতর্ক করেছে সংস্থাটি।</p> <p>২০২২ সালে ইউক্রেনে সেনা পাঠানোর অল্প সময়ের মধ্যে রুশ বাহিনী জাপোরিঝিয়া প্লান্টের নিয়ন্ত্রণ নেয়। ইউক্রেন ও রাশিয়া—উভয়ই সেখানে হামলার জন্য একে অপরকে অভিযুক্ত করেছে।</p> <p>সূত্র : রয়টার্স</p>