প্রতীকী ছবি।
ভারতের বিহারে একটি নৃশংস ঘটনা ঘটেছে। পাষণা বাবার হাতেই খুন হতে হলো চার সন্তানকে। ধারালো অস্ত্র দিয়ে তিন ছেলে এবং এক মেয়েকে কুপিয়ে খুন করেছে ওই ব্যক্তি। গুরুতর আহত তার স্ত্রী এবং অপর এক মেয়েও। আর মর্মান্তিক ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসতেই রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। বিহারের বেলহা গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার।
ভারতের স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, বিহারের বেলহা গ্রামে অবদেশ চৌধুরি নামে অভিযুক্ত ব্যক্তি ঘটনার দিন সন্ধ্যাবেলা বাজার থেকে ফিরে এই কাণ্ড ঘটায়। কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই স্ত্রী এবং সন্তানদের ধারালো ছুরি দিয়ে আক্রমণ করে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় অভিষেক কুমার (১৪), মুকেশ কুমার (১০), ভোলা কুমার (১) এবং মেয়ে জ্যোতি কুমারের (১৮)। অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচেন স্ত্রী রীতা দেবী এবং আরেক মেয়ে অঞ্জলি। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁরা আপাতত পাটনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এই ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। গ্রেপ্তার করে অভিযুক্তকে। জেরাতেই উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। পুলিশ জানিয়েছে, ওই ব্যক্তি নাকি পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন। দীর্ঘদিন ধরেই ওষুধ খাচ্ছিলেন। তবে সম্প্রতি সেই ওষুধ খাওয়া নাকি বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।
ওই ব্যক্তি বলেন, ‘ঘটনার সময় আমার কিছু মনে ছিল না। বাড়ির ফেরার সময় মনে হল, আমার শরীরে কিছু ঢুকেছে। সেটাই পরিবারকে মারতে আমাকে বাধ্য করেছে। হুঁশ আসার পর আমি বুঝতেই পারিনি যে আমিই তাদের খুন করেছি।’
পুলিশ জানিয়েছে, এমন হত্যাকাণ্ডের পর ওই ব্যক্তি জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপারকেও ফোন করার চেষ্টা করেন। তবে দুই কর্মকর্তার কেউই ফোন তোলেননি। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে।
সূত্র : আজকাল।
মন্তব্য