<p>টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কারটা হয়তো একটু ভারী লাগছিল হামেস রদ্রিগেজের। ট্রফি নেওয়ার সময় কলম্বিয়ান অধিনায়কের মুখে ছিল না কোনো হাসি। আসলে হাসি থাকবে কি করে।</p> <p>কিছুক্ষণ আগেই যে আর্জেন্টিনার কাছে ১-০ গোলে হেরে কোপা আমেরিকায় স্বপ্ন ভঙ্গ হয়েছে কলম্বিয়ার। ২০০১ সালের পর মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের পুরস্কার জিততে এসেছিল কলম্বিয়া। টুর্নামেন্টে দুর্দান্ত গতিতে ছুটছিলও তারা। আর্জেন্টিনার মতোই অপরাজিত থেকে ফাইনালে উঠেছিল তারা। সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন রদ্রিগেজই। কিন্তু ফাইনালে এসে ধরাশায়ী হলেন তারা। তাতে ২৩ বছর পর ট্রফি জয়ের স্বপ্নেরও মৃত্যু হলো।</p> <p>টুর্নামেন্টে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে আবারো ফুটবলপ্রেমীদের হৃদয় জয় করেছেন রদ্রিগেজ। টুর্নামেন্টে তার অবিশ্বাস্য পারফরম্যান্স দেখে কেউ কেউ বলছেন কলম্বিয়ান তারকার পূর্নজন্ম হয়েছে। কোপায় ১ গোলের বিপরীতে ৬ অ্যাসিস্ট করেছেন তিনি। যার পুরস্কার হিসেবে সেরা খেলোয়াড়ের স্বীকৃতি পেয়েছেন তিনি। তবে পুরস্কার নেওয়া সময় তাকে দেখে মনে হয়েছে এই পুরস্কার জিততে আসেননি, লিওনেল মেসিদের হাতে যা শোভা পাচ্ছে সেটা চেয়েছিলেন তিনি। তবে ভাগ্যে ছিল না তার।</p> <p>টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার রদ্রিগেজ পেলেও বাকি দুই মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার জিতেছেন দুই আর্জেন্টাইন লাউতারো মার্তিনেজ ও এমিলিয়ানো মার্তিনেস। ফাইনালের গোলদাতা স্ট্রাইকার মার্তিনেজ জিতেছেন গোল্ডেন বুটের পুরস্কার। আর গোলরক্ষক মার্তিনেস জিতেছেন সেরা গোলরক্ষকের পুরস্কার। সেরা গোলরক্ষকের পুরস্কার পাওয়াটাকে যেন এক রকম সম্পত্তিই বানিয়েছেন আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক। সবশেষ দুই মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের টুর্নামেন্টসহ বিশ্বকাপেও সেরা গোলরক্ষকের পুরস্কার জিতেছেন তিনি। অ্যাস্টন ভিলার গোলরক্ষকের যেন তুলনাই হয় না।</p> <p><br /> <strong>পুরস্কারজয়ী খেলোয়াড়দের তালিকা-</strong></p> <p><strong>সেরা খেলোয়াড় (গোল্ডেন বল)</strong>: হামেস রদ্রিগেজ (৬ অ্যাসিস্ট ও ১ গোল)।</p> <p><strong>সর্বোচ্চ গোলদাতা (গোল্ডেন বুট)</strong>: লাউতারো মার্তিনেজ (৫ গোল)।</p> <p><strong>সেরা গোলরক্ষক</strong>: এমিলিয়ানো মার্তিনেস (৫ ম্যাচ ক্লিনশিট)।</p> <p><strong>ফেয়ার প্লে অ্যাওয়ার্ড</strong>: কলম্বিয়া।</p>