<p>ম্যাচ শেষে দুইদলের খেলোয়াড়দের মধ্যে হাতাহাতি কিংবা মারামারি হওয়াটা ফুটবলে স্বাভাবিক ঘটনা। কখনো আবার সমর্থকদের সঙ্গেও খেলোয়াড়দের মারামারি করতে দেখা যায়। এবারের কোপা আমেরিকার শেষ চারের ম্যাচেও যেমন দেখা গেছে।</p> <p>আজ ম্যাচ শেষে যেমন কলম্বিয়ার সমর্থকদের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েছেন উরুগুয়ের স্ট্রাইকার দারউইন নুনেজ ও ডিফেন্ডার রোনাল্ড আরাউহো। দুই পক্ষের মারামারিই সেই দৃশ্য এখন সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল। এটার রেশ কাটতে না কাটতেই ব্রাজিল ফুটবলের ভয়ংকর একটা ঘটনা শোনা গেছে।</p> <p>ফুটবলে যা সচরাচর দেখা যায় না। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে এসে এক দলে গোলরক্ষককে গুলি করেছেন স্থানীয় পুলিশ। মাঠে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর গোলরক্ষককে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। গুলিবিদ্ধ গোলরক্ষক হচ্ছেন র‌্যামন সুজা। গ্রেমিও অ্যানাপলিসের হয়ে ব্রাজিলের দ্বিতীয় বিভাগ ফুটবলে খেলেন তিনি।</p> <p>ব্রাজিলের গোইয়ানো চ্যাম্পিয়নশিপে এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাটি ঘটেছে বলে  জানা যায়। ব্রাজিলের সংবাদ মাধ্যম ও গ্লোবো জানিয়েছে, গত বুধবার সেন্ট্রো ওয়েস্তে ও গ্রেমিও ম্যাচ শেষে দুই দলের খেলোয়াড়েরা একে অপরে বাদানুবাদ ও হাতাহাতিতে জড়ায়। এক পর্যায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বাইরে গেলে পুলিশ এসে সমাধানের চেষ্টা করে। কিন্তু মারামারি নিয়ন্ত্রণ করতে এসে গ্রেমিওর গোলরক্ষক সুজাকে গুলি করেন এক পুলিশ। গ্রেমিওর এক ফুটবলারকে সেন্ট্রোর একজন ধাক্কা দিলে গোলরক্ষক সুজা ক্ষিপ্ত হয়ে মারতে উদ্যত হন। আর এ সময়েই সুজার পা বরাবর লক্ষ্য করে রাবার বুলেট ছুঁড়েন পুলিশ।</p> <p>এর আগে সেন্ট্রোর কাছে ম্যাচেও ২-১ গোলে হেরেছে গ্রেমিও। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ইতিমধ্যে শুরু করে দিয়েছে ব্রাজিল পুলিশ। গ্রেমিও পুলিশের কাজকে অপরাধমূলক বলে নিন্দা জানিয়েছে। সঙ্গে ওই পুলিশের শাস্তি নিশ্চিত করতে জোরালো আবেদন করেছে। ব্রাজিলের ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এমন ঘটনাকে অগ্রহণযোগ্য বলে বিবৃতিতে জানিয়েছে, মিলিটারি পুলিশের এমন আচরণ আইনের লঙ্ঘন। </p> <p><br />  </p>