<p>যুক্তরাষ্ট্রের মতো তুলনামূলক খর্বশক্তির দলের বিপক্ষে হারের পর কী-ই বা বলার থাকে? বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক নাজমুল হোসেনও ব্যাখ্যা খুঁজে পেলেন না, ‘আমরা ভালো ক্রিকেট খেলিনি তাই হেরে গেছি।’ নাজমুলের এমন ব্যাখ্যা মেনে নেওয়া যেত, যদি সমমনা কোনো দলের বিপক্ষে হারত বাংলাদেশ। কিন্তু যে দলের বিপক্ষে র‍্যাংকিংয়ে ৭ ধাপ এগিয়ে, পরিসংখ্যান বা অর্জনে ধারেকাছে নেই যারা, তাদের বিপক্ষে প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে নেমে ৫ উইকেটে হার কে মানবে!</p> <p>যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজটি বিশ্বকাপের প্রস্তুতি হিসেবে খেলছে বাংলাদেশ। যেখানে প্রধান লক্ষ্য সে দেশে বিশ্বকাপ হওয়ায় সেখানকার পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া ও বিশ্বকাপের আগে নিজেদের অধারাবাহিক ব্যাটিং বিভাগ ঠিক করে নেওয়া। তবে গতকাল প্রথম টি-টোয়েন্টিতে আবার ব্যর্থ ব্যাটাররা। সেটা ম্যাচ শেষে নাজমুল স্বীকার করে নিলেন, ‘আমার মনে হয় আমরা ভালো ব্যাট করিনি। মাঝের ওভারে বেশ কিছু উইকেট হারিয়েছি। আমরা দারুণ শুরু পেয়েছিলাম। তবে শেষটা ভালোভাবে করতে পারিনি।'</p> <p>নাজমুলের অবশ্য স্বীকার না করে উপায় ছিল না। পঞ্চম উইকেটে তাওহিদ হৃদয় ও মাহমুদ উল্লাহর ৬৭ রানে জুটি না হলে দলীয় সংগ্রহ দেড় শ ছাড়াতে পারত না বাংলাদেশ। এই দুই ব্যাটার ছাড়া কেউই ইনিংস বড় করতে পারছেন না। ব্যর্থতার খোলস ছাড়তে পারছেন অধিনায়ক নিজে। লিটন দাসেরও বেহাল দশা। নাজমুলের বিশ্বাস, আগামী ১ জুন শুরু হতে যাওয়া বিশ্বকাপে স্বরূপে দেখা যাবে ব্যাটারদের, ‘হ্যাঁ সব সময়ই উন্নতির জায়গা থাকে। ব্যাটাররা নিজেদের দক্ষতা বাড়াতে কাজ করছে। আমি আশা করি, এবারের বিশ্বকাপে তারা ঘুরে দাঁড়াবে।'</p> <p>যুক্তরাষ্ট্রের অখ্যাত বোলারদের বিপক্ষে কাল পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে ৩৭ রান তুলতে ২ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। নাজমুল ১১ বলে ৩, লিটন ১৫ বলে ১৪, সাকিব আল হাসান ১২ বলে ৬ রানে আউট হলেও দুশ্চিন্তা করছেন না অধিনায়ক, ‘দুশ্চিন্তার কিছু নেই, কারণ প্রত্যেকটা ব্যাটার তাদের স্কিল নিয়ে কাজ করছে। আমরা সবাই জানি যে টপ অর্ডারদের ভালো খেলতে হবে। ব্যাটিং ইউনিট নিয়ে আমাদের সবারই দায়িত্ব। ব্যাটাররা এটা নিয়ে কাজ করছে। হ্যাঁ, এই জায়গায় আমরা অনেক দিন ধরে কাজ করছি। আশা করব যে সামনের ম্যাচ থেকে ভালোভাবে কামব্যাক করবে।' আরেক প্রশ্নের জবাবে বলেন, 'অবশ্যই ইনটেন্ট নিয়েই চেষ্টা করে প্রত্যেকটা ব্যাটার। পরের ম্যাচে যখন ব্যাট করব, চাই না ১১ বলে ১৫ বা ২০ রান করতে। চাইব এর থেকে বেশি বল খেলতে, বেশি রান করতে।' </p>