<p>মৌসুমের শুরুটা দারুণ করেছিল চেন্নাই সুপার কিংস। নিজেদের প্রথম ছয় ম্যাচে চার জয় নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের ওপরের দিকে ছিল দলটি। তবে শেষ দিকে এসে ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারেনি চেন্নাই। গতকাল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে বাঁচা-মরার ম্যাচে শেষ ওভারে তাদের জয়ের জন্য প্রয়োজন পড়ে ৩৫ রান। তবে রান রেটের হিসেবে ১৭ রান তুলতে পারলে প্লে-অফে জায়গা হতো রুতুরাজ গায়কোয়াড়ের দলের। কিন্তু পারেনি তারা। মার্ক দয়ালের সে ওভার থেকে তোলে মোটে ৭ রান।</p> <p>১৪ ম্যাচে ৭ জয়ে ১৪ পয়েন্ট। রান রেটের মারপ্যাঁচে বেঙ্গালুরুর সমান ১৪ পয়েন্ট নিয়েও শেষ হলো চেন্নাইয়ের এবারের আইপিএল যাত্রা। ম্যাচ হেরে বাংলাদেশের বাঁহাতি পেসার মুস্তাফিজুর রহমানকে পুরো মৌসুম না পাওয়ার আক্ষেপ ঝরল চেন্নাইয়ের অধিনায়কের কণ্ঠে। একই সঙ্গে মাথিশা পাথিরানা এবং ডেভন কনওয়ে থাকলে পরিস্থিতি অন্যরকম হতে পারত বলে মনে করেন তিনি।</p> <p>রুতুরাজ বলেন, 'শুরু থেকেই আমাদের অনেক চ্যালেঞ্জের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে। পাথিরানার ইনজুরি, তারপর ফিজের না থাকাটা, এরপর পাথিরানা আসলো, দেশে ফিরে গেল, ফিজকেও আমরা হারিয়েছি। এরকম চলতে থাকলে স্কোয়াডে ভারসাম্য আনাটা কষ্ট। ম্যাচের জন্য একাদশ বাছাইও কঠিন হয়ে যায়। পুরো আসরে যেভাবে চোট, ক্রিকেটারদের না পাওয়ার সঙ্গে আমরা লড়েছি তাতে ১৪ ম্যাচে ৭ জয় খারাপ কিছু নয়।'</p> <p>এবারের আসরের শুরু থেকেই কনওয়েকে পায়নি চেন্নাই। চোটের কারণে দলের সঙ্গে থাকলেও ম্যাচ খেলতে পারেননি কিউই এই ওপেনার। আসরের শুরু থেকে পাথিরানা ছিলেন চোটে। এরপর চেনাইয়ের হয়ে ছয়টি ম্যাচ খেলে ১৩ উইকেট নিয়ে দেশে ফিরে যান লঙ্কান এই পেসার। আসরের শুরু থেকে নিয়মিতই চেন্নাইয়ের হয়ে খেলেছেন মুস্তাফিজ। যদিও গত ১ মে দেশে ফিরতে হয়েছে বাংলাদেশের এই পেসারকে। নয় ম্যাচে ১৪ উইকেট নিয়ে আইপিএল শেষ করেন তিনি।</p> <p>মুস্তাফিজ আর পাথিরানাকে চেন্নাইয়ের সম্পদ উল্লেখ করে রুতুরাজ বলেন, 'আমাদের সামনের সারির দুজন বোলার ছিল না। যারা আমাদের জন্য অনেক বড় সম্পদ ছিল। কনওয়েকে আমরা শুরুতে পাইনি। তিন জন মূল ক্রিকেটারের না থাকাটা বড় ধরনের পার্থক্য গড়ে দিয়েছে। চেন্নাইয়ের ম্যানেজমেন্ট, স্টাফরা সবাই পুরো আসর জুড়ে আমাদের অনেক সমর্থন করেছে।'</p>