<p>ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বদলি নেমেই গোল করে ব্রাজিলকে জিতিয়েছেন এন্দ্রিক। স্পেনের বিপক্ষেও দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে নেমেই পেলেন জালের দেখা। তবে এবার আর দলকে জেতাতে পারেননি এই তরুণ। তাঁর গোলেই ম্যাচে ফিরলেও রদ্রির গোল স্পেনকে জয়ের পথে রেখেছিল কিন্তু শেষ মুহূর্তে লুকাস পাকেতার গোল ব্রাজিলকে এনিয়ে দিয়েছে স্বস্তির ড্র। সুবাদে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে স্পেন-ব্রাজিলের রোমাঞ্চকর লড়াই শেষ হয়েছে ৩-৩ সমতায়।</p> <p>বর্ণবাদ বিরোধী বার্তা দিতেই এই প্রীতি ম্যাচ আয়োজন করেছিল স্পেন ও ব্রাজিল। ম্যাচের আগে ‘এক ত্বক, একই পরিচয়’ স্লোগানও দিতে দেখা যায়। জাতীয় সঙ্গীতের সময় ব্রাজিলের খেলোয়াড়রা পরেন প্রতিবাদ স্বরূপ কালো রংয়ের জার্সি। </p> <p>বার্নাব্যুতে অবশ্য শুরুতে আধিপত্য দেখিয়েছে স্পেনই। ম্যাচের বয়স ১২ মিনিট না পেরোতেই স্বাগতিকদের গোলের আনন্দ। লামিন ইয়ামালকে ফাউল করে বসেন জোয়াও গোমেজ। পেনাল্টির বাঁশি বাজাতে কার্পন্য করেননি রেফারি। সফল স্পট কিকে দলকে এগিয়ে নেন রদ্রি। স্পেনের আক্রমণাত্মক ফুটবলের সামনে সেভাবে মেলে ধরতে পারছিলেন না রদ্রিগো, ভিনিসিয়ুসরা। </p> <p>উল্টো ৩৬ মিনিটে দুই গোল করে পিছিয়ে পড়ে দরিভাল জুনিয়রের দল। ইয়ামালের পাস ধরে জালের দেখা পান দানি ওলমো। কিন্তু দুই গোলের ব্যবধান বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি স্পেন। চার মিনিট পরেই রদ্রিগো গোল করে ব্রাজিলকে ম্যাচে রাখেন।</p> <p>পিছিয়ে পড়া ব্রাজিল দ্বিতীয়ার্ধে কৌশলে পরিবর্তন আনে। একসঙ্গে চার ফুটবলারকে পরিবর্তন করেন দরিভাল। সুবাদে মেলে সাফল্য। বদলি নেমেই জালের দেখা পান এন্দ্রিক। কর্নার থেকে উড়ে আশা বল স্পেনের ডিফেন্ডাররা ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হলে জোরাল ভলিতে জালে পাঠান এই বিস্ময় বালক।</p> <p>এরপর দুই দলের লড়াই হয়েছে সমান তালে। ৮৫ মিনিটে আবারো স্পেনকে পেনাল্টি উপহার দেয় ব্রাজিল। দানি কার্ভাহালকে ফাউল করেন বেরালদু। এবারও জালের দেখা পান রদ্রি। ৩-২ গোলে পিছিয়ে পড়ে স্পেনের রক্ষণে প্রবল চাপ প্রয়োগ করে সেলেসাওরা।। আক্রমণগুলো যেন কাজে আসছিল না। অবশেষে যোগ করা ষষ্ঠ মিনিটে কার্ভাহাল ফাউল করলে পেনাল্টি পায় ব্রাজিল। সফল স্পট কিকে বল জালে পাঠিয়ে ব্রাজিলের হার এড়ান লুকাস পাকেতা। ফলে ব্রাজিলিয়ানদের বিপক্ষে স্পেনের জয়ের অপেক্ষা আরও বাড়ল। সবশেষ ১৯৯০ সালে তারা জিতেছিল।</p>