<article> <p>ক্লাব ফুটবল সূচির সঙ্গে সাংঘর্ষিক যেন না হয় সে জন্য জুন-জুলাইয়ে মাঠে গড়াচ্ছে কোপা আমেরিকা ও ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ। ফুটবলাররা যেন জাতীয় দলের পাশাপাশি ক্লাবেও পুরোটা সময় দিতে পারেন এ জন্য এমনভাবে সূচি সাজানো হয়েছে। এবার কোপা আমেরিকা শুরু হচ্ছে ২০ জুন, তারও ছয় দিন আগে শুরু হবে ইউরোপ সেরার লড়াই। তত দিনে শেষ হয়ে যাবে ২০২৩-২৪ মৌসুম।</p> </article> <article>দুটি আসরেরই ফাইনাল হবে একই দিনে, ১৪ জুলাই। কিন্তু বিপত্তি বাধিয়েছে অন্য দুই মহাদেশীয় আসর; এশিয়ান কাপ ও আফ্রিকা কাপ অব নেশনস। জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে এই দুটি টুর্নামেন্ট হওয়ায় ইউরোপের শীর্ষ লিগগুলোর অনেক দলই শক্তি হারাচ্ছে। অনেক ক্লাব হারাচ্ছে দলের সেরা তারকাকেও। তাতে প্রভাব ফেলতে পারে শিরোপার যুদ্ধে কিংবা লিগে টিকে থাকার লড়াইয়ে।</article> <article> <p><img alt="এশিয়া-আফ্রিকার প্রভাব ইউরোপে" height="247" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/1.Print/2024/january/04-01-2024/Slp/kalerkantho-OA-8%E0%A6%93.jpg" style="float:left" width="300" />আগামী ১২ জানুয়ারি কাতারে শুরু হবে এশিয়ান কাপ এবং এক দিন পর আইভরি কোস্টে শুরু হচ্ছে আফ্রিকা কাপ অব নেশনস। এই দুটি টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়া দেশগুলোর ফুটবলারদের ছেড়ে দিতে হচ্ছে ক্লাবগুলোকে। অন্তত এক মাস এই দুই অঞ্চলের খেলোয়াড়দের ছাড়া খেলতে হবে লিভারপুল, টটেনহাম, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, নাপোলির মতো ক্লাবগুলোকে।</p> </article> <article>জানুয়ারির শুরুতেই খেলোয়াড় ছেড়ে দেওয়ার জন্য ক্লাবগুলোকে চিঠিও দিয়েছে ফিফা। বেশির ভাগ খেলোয়াড় এরই মধ্যে যোগ দিয়েছেন জাতীয় দলের সঙ্গে। মহাদেশীয় টুর্নামেন্টে ফুটবলাররাও জাতীয় দলকে বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকেন। তাই ক্লাবও ফুটবলার ছাড়ার ব্যাপারে কঠোর হয় না। তবে ক্লাবগুলো এতে যে বিপাকে পড়বে না, এর নিশ্চয়তা নেই।</article> <article> <p>কারণ এশিয়া বা আফ্রিকার অনেক ফুটবলারই কোনো কোনো ক্লাবের প্রাণভোমরা। এই যেমন লিভারপুলের মোহামেদ সালাহ, টটেনহামের সন হিউং মিন, নাপোলির ভিক্টর ওসিমেন।</p> <p>চলতি মৌসুমে দারুণ ছন্দে আছেন সালাহ। আর্লিং হালান্ডের সমান ১৩ গোল নিয়ে যৌথভাবে সর্বোচ্চ গোলদাতার শীর্ষে মিসরীয় এই তারকা ফরোয়ার্ড। আফ্রিকার মহাদেশীয় টুর্নামেন্টে মিসর যদি ফাইনালে খেলে তাহলে প্রায় দেড় মাস তাঁকে পাবে না লিভারপুল। এই সময়ে প্রিমিয়ার লিগে পাঁচ রাউন্ড এবং এফএ কাপ মিলিয়ে ছয়টি ম্যাচ খেলবে অলরেডরা। এই মুহূর্তে টেবিলের শীর্ষে আছে ইয়ুর্গেন ক্লপের দল। সালাহ না থাকায় এই সময় লিভারপুলের পথ হারানোর শঙ্কাও করছেন অনেকে। আবার অনেক ফুটবলার ক্লাবে ছিলেন ছন্দে। কিন্তু জাতীয় দল থেকে ফিরে ছন্দ হারিয়ে বসতে পারেন, এমন শঙ্কাও করা হচ্ছে। লিভারপুলের জাপানিজ মিডফিল্ডার ওয়াতারু এন্দোকে নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন ইয়ুর্গেন ক্লপ, ‘এটা কিছুটা লজ্জার। সে এখন (এন্দো) ছন্দ ফিরে পেয়েছে এবং এমন সময় তাকে এশিয়ান কাপ খেলতে যেতে হচ্ছে। ফিরে এসে সে কেমন করে সেটা ভাবনার বিষয়।’</p> <p>একই অবস্থা টটেনহামেরও। দলের অধিনায়ক ও সেরা তারকা সন হিউং মিনকে পাচ্ছে না স্পাররা। এশিয়ান কাপে দক্ষিণ কোরিয়ার জার্সিতে খেলবেন তিনি। চলতি লিগে এরই মধ্যে ১২ গোল করেছেন এই ফরোয়ার্ড। খেলোয়াড় হারাতে হচ্ছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও আর্সেনালকেও। রেড ডেভিলদের নিয়মিত গোলরক্ষক আন্দ্রে ওনানা খেলবেন ক্যামেরুনের জার্সিতে। চারে থাকা আর্সেনাল পাচ্ছে না তিন ফুটবলারকে; মিসরের মোহামেদ এলনেনি, ঘানার টমাস পার্টে এবং জাপানের তাকেহিরো তোমিয়াসু। ইংলিশ লিগ থেকে সব মিলিয়ে ৪৯ জন ফুটবলার খেলবেন দুই মহাদেশীয় আসরে। প্রিমিয়ার লিগে শুধুমাত্র ম্যানচেস্টার সিটি ও নিউক্যাসল ইউনাইটেডের স্কোয়াডে নেই এশিয়া ও আফ্রিকার কোনো দেশের ফুটবলার। এই সময়ে পূর্ণ শক্তির দলই পাচ্ছে দুটি ক্লাব।</p> <p>সবচেয়ে বেশি সিরি ‘এ’ থেকে ৫১ জন ফুটবলার দেশের হয়ে খেলবেন। গত মৌসুমে নাপোলিকে লিগ শিরোপা জেতাতে বড় অবদান রাখা ভিক্টর ওসিমেন খেলবেন নাইজেরিয়ার হয়ে। এ ছাড়া স্প্যানিশ লা লিগা থেকে ২৯ জন, জার্মান বুন্দেসলিগা থেকে ৩৫ জন এবং ফ্রেঞ্চ লিগ থেকে ২৫ জন খেলবেন দেশের জার্সি গায়ে। টিভি দর্শকও হারাতে হচ্ছে ইউরোপের লিগগুলোকে। এশিয়া ও আফ্রিকার বড় একটা অংশ নিয়মিত ইউরোপিয়ান লিগ দেখে থাকে। দুই টুর্নামেন্ট একসঙ্গে চলায় এশিয়া ও আফ্রিকার সমর্থকদের চোখ থাকবে নিজেদের টুর্নামেন্টের দিকেই। তাই নিশ্চিতভাবেই বলা যায়, এশিয়া ও আফ্রিকার টুর্নামেন্ট প্রভাব ফেলতে যাচ্ছে ইউরোপের লিগগুলোতে।</p> <p>সূত্র : <strong>এফপি</strong></p> </article>