<article> <p style="text-align: justify;">গ্রামীণ অসচ্ছল নারীদের স্বাবলম্বী করতে দেশব্যাপী বিভিন্ন প্রত্যন্ত অঞ্চলে বসুন্ধরা শুভসংঘ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। এই প্রশিক্ষণকেন্দ্রে গ্রামীণ নারীরা তিন-চার মাস দক্ষ প্রশিক্ষকের কাছ থেকে সেলাইয়ের যাবতীয় কাজ শিখতে পারছেন। সাফল্যের সঙ্গে কাজ শেখার পর প্রত্যেক প্রশিক্ষণার্থীকে বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষ থেকে একটি করে সেলাই মেশিন দেওয়া হচ্ছে। বসুন্ধরা গ্রুপের দেওয়া সেলাই মেশিন পেয়ে এই নারীরা স্বাবলম্বী হয়ে উঠছেন।</p> </article> <article> <p style="text-align: justify;">এরই ধারাবাহিকতায় নাটোরের লালপুর উপজেলার ডেবরহাটা গ্রামে যাত্রা শুরু করেছে ২৬তম ‘বসুন্ধরা শুভসংঘ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র’। প্রশিক্ষণকেন্দ্রে প্রথম পর্যায়ে ৩০ অসচ্ছল নারী প্রশিক্ষণ নেওয়ার সুযোগ পাবেন। প্রশিক্ষণ শেষে প্রত্যেকেই বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষ থেকে সেলাই মেশিন পাবেন।</p> <p style="text-align: justify;">সম্প্রতি লালপুর শ্রীসুন্দরী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক মো. রফিকুল ইসলাম মুকুলের সভাপতিত্বে ‘বসুন্ধরা শুভসংঘ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র’ উদ্বোধন করেন উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শাহিনা সুলতানা।</p> </article> <article> <p style="text-align: justify;">বিশেষ অতিথি ছিলেন  উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আলেয়া ফেরদৌসী।</p> <p style="text-align: justify;">উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শাহিনা সুলতানা বলেন, বসুন্ধরা গ্রুপ সব সময়ই দেশ ও মানুষের কল্যাণে কাজ করে। অসহায় দরিদ্র নারীদের বিনা মূল্যে সেলাই প্রশিক্ষণ শেষে তাঁদের সেলাই মেশিন দেবে বসুন্ধরা গ্রুপ। এর মাধ্যমে অসহায় নারীরা স্বাবলম্বী হবেন।</p> </article> <article> <p style="text-align: justify;">বসুন্ধরা গ্রুপের এমন উদ্যোগে উপজেলার অনেক মানুষ উপকৃত হবে। অসচ্ছল নারীদের পরিশ্রমী হয়ে এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে জীবনমানের উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে হবে।</p> <p style="text-align: justify;">প্রশিক্ষণ নিতে আসা নারীদের বেশির ভাগই দরিদ্র পরিবারের শিক্ষার্থী। এ ছাড়া বিধবা, স্বামী পরিত্যক্তা নারীরা এসেছেন বসুন্ধরা শুভসংঘ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে বিনা মূল্যে সেলাই প্রশিক্ষণ নিতে। এখানে এসে তাঁরা জানতে পারেন, সেলাইয়ের কাজ ভালোভাবে শেখার পর তাঁদের সেলাই মেশিন দেবে বসুন্ধরা গ্রুপ।</p> </article> <article> <p style="text-align: justify;">এই কথা শোনার পর আনন্দের ঝিলিক দেখা মেলে তাঁদের চোখেমুখে। স্বাবলম্বী হওয়ার আশায় সেলাই প্রশিক্ষণ নিতে আসা কয়েকজন বলেন, অভাবের কারণে নিজের সন্তানদের ঠিতমতো পড়াতেও পারছি না। তিন বেলা খাওয়া যেখানে কষ্টকর, সেখানে সন্তানদের পড়াব কিভাবে। এখন অনেকটা চিন্তামুক্ত আমরা। ভালো করে সেলাই প্রশিক্ষণ নিতে পারলে বসুন্ধরা গ্রুপ আমাদের সেলাই মেশিন দেবে। সেলাই মেশিনের আয় দিয়ে সংসারে সচ্ছলতা ফেরাতে পারব। সন্তানদের ঠিকমতো পড়াতে পারব। বসুন্ধরা গ্রুপের জন্য অন্তরের অন্তস্তল থেকে অনেক দোয়া করি।</p> </article>