<p>বৃহস্পতির গ্রেট রেড স্পট প্রায় চার শ বছর ধরে বয়ে চলা এক মহা ঝড়। মহাকাশের সবচেয়ে বিখ্যাত এবং রহস্যময় প্রাকৃতিক ঘটনাগুলিরও একটি। এটাবিশাল বায়ুমণ্ডলীয় ঝড়। এটা আকারে পৃথিবীর থেকে কয়েকগুণ বড়। এই ঝড়টি বৃহস্পতির বিজ্ঞানীদের জন্য একটি গবেষণার বিষয়বস্তু হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিজ্ঞানীরা এর আকার এবং গতিবিধিতে নানা অস্বাভাবিকতা লক্ষ করছেন। ফলে এর ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="চলছে ড্রাকোনিড উল্কাবৃষ্টি" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/10/1728549837-519917e76edee02f758365dca0fea9cc.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>চলছে ড্রাকোনিড উল্কাবৃষ্টি</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/10/10/1433768" target="_blank"> </a></div> </div> <p>বৃহস্পতির গ্রেট রেড স্পট আসলে একটি অ্যান্টিসাইক্লোন। অর্থাৎ এটি একটি বিপুল আকারের উচ্চ চাপের অঞ্চল। সেখানে বাতাস বিপরীতমুখী হয়ে ঘুরছে। এই ঝড়টির ব্যাস প্রায় ১৬,০০০ কিলোমিটার। যা পৃথিবীর বাসের প্রায় দুইগুণ। রেড স্পটের বাতাসের গতি প্রতি ঘণ্টায় প্রায় ৪০০ কিলোমিটার পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। মহাকাশযান এবং টেলিস্কোপের মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা কয়েক শতাব্দী ধরে এই ঝড়টি পর্যবেক্ষণ করতে সক্ষম হয়েছি।</p> <p>গ্রেট রেড স্পট বৃহস্পতির বৈশিষ্ট্য হিসেবে বিখ্যাত এবং এটি দীর্ঘস্থায়ী ঝড় হিসেবে মহাকাশ বিজ্ঞানীদের কৌতূহল জাগিয়ে তুলেছে। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে এই ঝড় মহাকাশের অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। পৃথিবীতে ঝড় সাধারণত কয়েকদিন বা সপ্তাহের মধ্যে শেষ হয়, কিন্তু গ্রেট রেড স্পট কয়েক শতাব্দী বছর ধরে টিকে আছে। ফলে একে নিয়ে আগ্রহের শেষ নেই বিজ্ঞানীদের মধ্যে।<br /> বিজ্ঞানীরা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে লক্ষ্য করেছেন, গ্রেট রেড স্পট ক্রমাগত সংকুচিত হচ্ছে। ১৮০০ সালের দিকে এর ব্যাস ছিল প্রায় ২৫,০০০ কিলোমিটার। এখন হ্রাস পেয়ে এটা ১৬,০০০ কিলোমিটারে পৌঁছেছে। এই সংকোচনের কারণ এখনো পুরোপুরি পরিষ্কার নয়, তবে বিভিন্ন তত্ত্ব রয়েছে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="আসছে শক্তিশালী সৌরঝড় : সতর্ক করলেন বিজ্ঞানীরা!" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/05/1728128578-58c64e693179b1dae19de397b24dd704.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>আসছে শক্তিশালী সৌরঝড় : সতর্ক করলেন বিজ্ঞানীরা!</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/10/05/1432082" target="_blank"> </a></div> </div> <p>একটি সম্ভাব্য কারণ হল বৃহস্পতির বায়ুমণ্ডলীয় পরিবর্তন। বায়ুমণ্ডলে নানা প্রক্রিয়া, যেমন গ্যাসের মিশ্রণ এবং বায়ুচাপের পরিবর্তন, রেড স্পটের আকার এবং গতিবিধিকে প্রভাবিত করতে পারে। এছাড়া বৃহস্পতির অন্যান্য ছোট ছোট ঝড়গুলো রেড স্পটের সাথে সংঘর্ষ ঘটায়। এসব ব্যাপারগুলো ঝড়টিকে ধীরে ধীরে নিষ্ক্রিয় করে ফেলতে পারে।</p> <p>বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন, গ্রেট রেড স্পট একসময় সম্পূর্ণভাবে ছোট হয়ে গিয়ে শেষ হয়ে যেতে পারে। কারণ আকার ক্রমাগত কমছে এবং গতি পরিবর্তিত হচ্ছে। অনেক বিজ্ঞানী মনে করছেন যে এটি মহাকাশের ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হয়ে থাকবে, তবে একসময় হয়তো এটি ধ্বংস হয়ে যাবে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="গ্রহাণু ধ্বংসের যত প্রযুক্তি: মানবজাতি কি রক্ষা পাবে?" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/01/1727768959-ad0aa022bf0a8dd3fb7fe0eb7e596be7.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>গ্রহাণু ধ্বংসের যত প্রযুক্তি: মানবজাতি কি রক্ষা পাবে?</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/10/01/1430737" target="_blank"> </a></div> </div> <p>তবে রেড স্পটের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে কোনো নির্দিষ্ট ধারণা দেওয়া সম্ভব নয়। মহাকাশের প্রাকৃতিক ঘটনা অত্যন্ত জটিল এবং অনেক অনিয়মিত প্রভাবের কারণে দ্রুত পরিবর্তন হতে পারে। বিজ্ঞানীরা টেলিস্কোপ এবং মহাকাশযান ব্যবহার করে রেড স্পটের প্রতি নজর রাখছেন, যাতে এর ভবিষ্যতের কোনো স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায়।</p> <p>বিজ্ঞানীদের জন্য বৃহস্পতির গ্রেট রেড স্পট একটি গবেষণার ভান্ডার। মহাকাশযান জুনোর মতো মিশনগুলি এই ঝড় সম্পর্কে আরও বিশদ তথ্য সংগ্রহ করছে। এই ঝড়টি বৃহস্পতির বায়ুমণ্ডল, গ্যাসের ঘূর্ণাবর্ত এবং মহাকাশের অন্যান্য জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক উপাদানের সম্পর্কে অনেক মূল্যবান তথ্য সরবরাহ করছে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="নতুন চাঁদ এসে গিয়েছে পৃথিবীর আকাশে" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/09/30/1727686149-c281537306a39ceec86d867502e11248.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>নতুন চাঁদ এসে গিয়েছে পৃথিবীর আকাশে</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/09/30/1430464" target="_blank"> </a></div> </div> <p>বৃহস্পতির রেড স্পট যেমন জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের জন্য একটি গবেষণার ক্ষেত্র, তেমনি সাধারণ মহাকাশপ্রেমীদের জন্য এটি মহাকাশের অন্যতম বিস্ময়কর প্রাকৃতিক দৃশ্য।</p> <p>সূত্র: স্পেস ডট কম</p>