<p>চেঙ্গিস খান, মঙ্গোল সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা এবং বিশ্বের ইতিহাসে অন্যতম প্রভাবশালী নেতা। সামরিক কৌশল এবং দ্বিগ্বিজয়ের জন্য বিখ্যাত তিনি। কিন্তু মৃত্যুর পর থেকে তাঁর সমাধির অবস্থান এক বিস্ময়কর রহস্য হিসেবে রয়ে গেছে। চেঙ্গিস খানের সমাধি কোথায় সেটি কেউ আজও সঠিকভাবে জানে না। চেঙ্গিস খানের সমাধি এবং এর সাথে জড়িত রহস্যগুলো আজও ইতিহাসবিদ ও প্রত্নতাত্ত্বিকদের কাছে এক বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে রয়েছে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="সাগরতলে অদ্ভুত পোস্ট বক্স : চিঠি আসে আজও" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/02/1727864170-d022cca4ddf0431b52f3dcdf9e9c6d33.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>সাগরতলে অদ্ভুত পোস্ট বক্স : চিঠি আসে আজও</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/10/02/1431079" target="_blank"> </a></div> </div> <p>তলে</p> <p>চেঙ্গিস খানের জন্ম ১১৬২ সালে, মঙ্গোলিয়ার তলাই অঞ্চলে। তার আসল নাম ছিল তেমুজিন। তাঁর নেতৃত্বে মঙ্গোল সাম্রাজ্য বিস্তৃত হয়েছিল ইউরোপ থেকে এশিয়ার বিশাল অংশজুড়ে। চেঙ্গিস খান কেবল একজন সামরিক নেতা ছিলেন না, তিনি সাংস্কৃতিক এবং প্রশাসনিক উন্নয়নের জন্যও পরিচিত ছিলেন। তবে তাঁর মৃত্যুর পর তার কবর নিয়ে গড়ে উঠেছে অনেক রকমের ধাঁধা ও রহস্য।<br /> চেঙ্গিস খানের মৃত্যু হয় ১২২৭ সালে, চীনের শিয়া রাজ্য বিজয়ের সময়। তবে মৃত্যুর পর তাঁর সমাধি কোথায় তা সম্পূর্ণ গোপন রাখা হয়েছিল। চেঙ্গিস খানের শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী, তাঁর দেহ মঙ্গোলিয়ায় সমাহিত করা হয়। তবে সমাধিস্থলের কোনো চিহ্ন রাখা হয়নি। কিছু গল্প অনুযায়ী, তাঁর সমাধির অবস্থান গোপন রাখতে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় অংশ নেওয়া সবাইকে হত্যা করা হয়েছিল। এমনকি সমাধির চারপাশের ভূমি সমান করতে হাজার হাজার ঘোড়া ব্যবহার করা হয়।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="মৃত মানুষের গ্রাম" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/02/1727862351-ff56bd62ae15c9381aea4cf1aac17847.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>মৃত মানুষের গ্রাম</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/10/02/1431068" target="_blank"> </a></div> </div> <p>বিভিন্ন ইতিহাসবিদ ও প্রত্নতাত্ত্বিকরা চেঙ্গিস খানের সমাধি সম্পর্কে বিভিন্ন তত্ত্ব উপস্থাপন করেছেন। বেশিরভাগ গবেষক মনে করেন তার সমাধি বুরখান খালদুন পাহাড়ের আশেপাশে কোথাও রয়েছে। কারণ এই অঞ্চলটা তার জীবনের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত ছিল। মঙ্গোলিয়ার দুর্গম এলাকা এবং ঘন জঙ্গলে ঢাকা এই পাহাড়গুলোতে বহুবার খোঁজ চালানো হয়েছে, কিন্তু কোনো স্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়নি।<br /> অনেকে বিশ্বাস করেন, চেঙ্গিস খানের সমাধিতে অমূল্য রত্নভান্ডার রাখা হয়েছে। ধারণা করা হয়, বিজিত ৭৮টি দেশের রাজাদের মুকুট এবং বিশ্বের অর্ধেক ধনসম্পদ সেখানে লুকানো আছে। সমাধিস্থলে অনেক রত্ন এবং মূল্যবান ধাতু রয়েছে, এমনটাও বিশ্বাস করা হয়। তবে আজ পর্যন্ত কেউ তা খুঁজে বের করতে পারেনি, এবং এই ধনসম্পদের ধারণা নিয়ে প্রচুর কল্পকাহিনি প্রচলিত রয়েছে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="ফিলাডেলফিয়া রহস্য : পর্ব ১৮" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/01/1727764588-52aa34b8e4bb4f5ddd6856b94bc0184a.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>ফিলাডেলফিয়া রহস্য : পর্ব ১৮</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/10/01/1430724" target="_blank"> </a></div> </div> <p>১৯৯০-এর দশকে, মঙ্গোলিয়ার উলানবাটার স্টেট ইউনিভার্সিটির প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগের প্রধান ড. দিমাজাব আরডেনেবাটারি জাপানের সাথে যৌথভাবে ‘তিন নদী প্রকল্প’ নামে একটি অভিযান চালান। এই প্রকল্পের লক্ষ্য ছিল চেঙ্গিস খানের সমাধি খুঁজে বের করা। আধুনিক প্রযুক্তি এবং স্যাটেলাইট চিত্র ব্যবহার করে অনুসন্ধান চালানো হলেও প্রকল্পটি সফল হয়নি। এই অনুসন্ধানের ফলে শুধু ধারণার উন্নতি ঘটেছে, কিন্তু সমাধি এখনো এক রহস্যই রয়ে গেছে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="চাঁদ কেন আমাদের সঙ্গে চলে?" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/09/28/1727521509-5e13a2f4d8b06de66e213d5ac2de65a7.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>চাঁদ কেন আমাদের সঙ্গে চলে?</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/09/28/1429777" target="_blank"> </a></div> </div> <p>সমাধি খুঁজতে আধুনিক প্রত্নতাত্ত্বিকরা স্যাটেলাইট ইমেজিং, গ্রাউন্ড-পেনিট্রেটিং রাডার (GPR) এবং ড্রোন প্রযুক্তি ব্যবহার করছেন। মঙ্গোলিয়ার বিশাল এবং দুর্গম ভূখণ্ড অনুসন্ধানে এই প্রযুক্তি বেশ কার্যকর হতে পারে, তবে এখনো স্পষ্ট কোনো প্রমাণ মেলেনি।<br /> চেঙ্গিস খানের সমাধি আজও ইতিহাসের সবচেয়ে রহস্যময় বিষয়গুলোর মধ্যে একটি। হাজার বছরেরও বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও তার সমাধির অবস্থান এবং সেখানে থাকা রত্নভান্ডারের ধারণা এখনও মানুষের মনে কৌতূহল জাগায়। অনেক অভিযান, প্রযুক্তি, এবং প্রচেষ্টা সত্ত্বেও এই রহস্যের সমাধান হয়নি। হয়তো ভবিষ্যতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নতির মাধ্যমে একদিন এই রহস্য উন্মোচিত হবে। তবে এখন পর্যন্ত, চেঙ্গিস খানের সমাধি এক চিরন্তন ধাঁধা হিসেবে ইতিহাসের পাতায় লেখা রয়েছে।</p> <p>সূত্র: অল অ্যাবাউট হিস্ট্রি<br />  </p>