<p>সূর্যই মহাবিশ্বের একক নক্ষত্র নয়, যাকে কেন্দ্র করে কয়েকটি গ্রহ ঘোরে। অসংখ্য নক্ষত্র রয়েছে যাদের নিজস্ব কক্ষপথে ঘুরে বেড়াচ্ছে তাদের নিজস্ব গ্রহ। এই ধারণাটি শতাব্দীর ওপর সময় ধরে কল্পনায়, ভাবনায় রয়েছে। যদিও বিংশ শতাব্দীর শেষ পর্যন্ত মানুষজন এমন কোনও জগতের সাথে পরিচিত ছিল না। সুইস জ্যোতির্পদার্থবিজ্ঞানী মিশেল মেয়র ও তাঁর ছাত্র দিদিয়ের কুইজল বৃহস্পতির মতো বিশাল ৫১ পেগাসি নক্ষত্রের মহাকর্ষীয় বিচলতা আবিষ্কার করেন।</p> <p>এর পর থেকে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা হাজার হাজার বহির্গ্রহ শনাক্ত করেছেন। তাঁদের এই আবিষ্কারগুলো আধুনিক টেলিস্কোপের বদৌলতে সম্ভব হয়েছে। আদতে এই গবেষণায় কিছুই নির্দিষ্ট হয়নি। কিছু গ্রহ বাইনারি নক্ষত্রের চারদিকে ঘোরে আসে। কিছু কারও সাথে সম্পর্কে জড়াতে চায় না। কিছু আবার মহাকাশে মুক্ত পাখির মতো ভেসে বেড়ায়। এদের বৈশিষ্ট্যেও পার্থক্য রয়েছে। কারও পৃষ্ঠ গলিত-ঝলসানো, কোনওটা আবার কালো কুচকুচে। কোনো গ্রহের পুরো পৃষ্ঠে পানির স্তর। অর্থাৎ— সামুদ্রিক পৃষ্ঠ।</p> <p>পৃথিবীর জমজ অনুসন্ধানের এই যাত্রায় বিজ্ঞানীরা বিস্তর গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন। জ্যোতির্পদার্থবিজ্ঞান, ভূপদার্থবিজ্ঞান, জীববিজ্ঞানের সমন্বয় ঘটিয়ে সেই গবেষণা দিন দিন নতুন তথ্যে সমৃদ্ধ করছে। তাঁরা সফল হলে দিনশেষে তো ‘আমরা’-ই সেটার ফল ভোগ করব।  </p> <p>বহির্গ্রহ— সৌরজগতের বাইরের গ্রহ। জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের বহির্জগত ভাবনা মহাবিশ্বে প্রাণের সম্ভবনা বেশ বাড়িয়ে দিয়েছে। </p> <p><strong>পরিমণ্ডল</strong><br /> ‘বাইরের জগত’ খুঁজে পাওয়া মোটেও সহজ নয়। তবে অত্যন্ত চ্যালিঞ্জিং। পৃথিবী থেকে পাঠানো আমাদের নিজস্ব প্রোবই কার্যত অদৃশ্য হয়ে গিয়েছে সৌরজগতের প্রান্তের দিকে পৌঁছে। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা মূলত মহাকর্ষীয় কিছু প্রভাব বিবেচনায় নিয়ে এগুলোর আভাস পেয়েছেন। সেটা ভিন্ন ধাঁচের বা ধরনের আলোর উৎস বা দেখা পাওয়াতেই হয়েছে। এভাবেই প্রবল হয়েছে মহাকাশে বহির্গ্রহ থাকার ধারণাটি।</p> <p><strong>সম্পর্কিত বিষয়</strong><br /> সুপার-আর্থ এবং সামুদ্রিক গ্রহ<br /> অন্য পৃথিবীর পথে</p> <p>বিজ্ঞানী<br /> <strong>জিওর্দানো ব্রুনো</strong><br /> ১৫৪৮-১৬০০<br /> ইতালীয় জ্যোতির্বিজ্ঞানী। যাঁকে রোমান (অ)বিচারে পুড়িয়ে মারা হয়েছিল। তিনি দাবি করেছিলেন, মহাবিশ্বে আরও জীবনসমৃদ্ধ পৃথিবী থাকতে পারে।</p> <p><strong>মিশেল মেয়র এবং দিদিয়ের কোয়েলোজ</strong><br /> ১৯৪২-বর্তমান এবং ১৯৬৬-বর্তমান<br /> সুইস জ্যোতির্পদার্থবিজ্ঞানী এবং বহির্গ্রহ অনুসন্ধানের অগ্রদূত</p> <p>বর্ণনা<br /> ফ্রাঁসোয়া ফ্রেসিন।</p>