<p>মহাবিশ্ব আকারে বিশাল। একটা বস্তু থেকে আরেকটা বস্তুর সেখানে দূরত্বও অনেক। এখানে একটা বস্তু থেকে আরেকটা বস্তুর দূরত্ব হিসাব করার জন্য মাইল বা কিলোমিটারে করলে অনেক অসুবিধা দেখা দেয়। বিশাল সব সংখ্যা এসে যায়। </p> <p>তাই বড় সংখ্যা বয়ে বেড়ানোর হাত থেকে বাঁচার জন্য বড় কিছু সংখ্যাকে এক হিসাবে ধরে নেওয়ার বুদ্ধি বের করেছেন বিজ্ঞানীরা। আলোক বর্ষ এর মধ্যে অন্যতম। </p> <p>আলো এক বছরে যতটকু দূরত্ব পাড়ি দেয়, সেটাকে ১ আলোকবর্ষ বলে। আলোকবর্ষ দিয়ে সহজেই বহুদূরের বস্তুগুলোর দূরত্ব হিসাবে রাখা সম্ভব। কিন্তু তুলনামূলক কম দূরত্ব, যেমন বৃহস্পতি আর পৃথিবী, কিংবা সূর্য ও প্লুটোর মধ্যে দূরত্ব হিসাব করতে গেলে আলোক বর্ষ চলে না।<br /> কারণ, এসব দূরত্ব আলোক বর্ষের চেয়ে অনক কম। তখন ভগ্নাশের ঝামেলা এসে যায়। এই ঝামেলা থেকে বাঁচার জন্য মাঝামাঝি আরেকটা একক ব্যবহার করা হয়। সেটাই হলো অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল ইউনিট। একে AU দিয়ে প্রকাশ করা হয়।</p> <p>এক অ্যাস্ট্রোনমিক্যার ইউনিট হলো সূর্য আর পৃথিবীর মধ্যে গড় দূরত্বের সমান। সূর্য থেকে পৃথিবীর ১৫০ মিলিয়ন কিলোমিটার। অর্থাৎ, ১৫ কোটি কিলোমিটার। </p> <p>সৌরজগতের প্রান্তে একেবারে প্রান্তের দিকে রয়েছ কুইপার বেল্ট। সূর্য থেকে এর দূরত্ব ৩০-৫৫ এইউ। আরও কিছুটা দূরে ওর্ট মেঘ (বরফযুক্ত বস্তু) সূর্য থেকে ৫,০০০ এইউ থেকে ১,০০,০০০ এইউ দূরত্বে অবস্থিত।</p>