<p>মার্শকপটার ইনজেন্যুইটির সঙ্গে আবার যোগাযোগ করতে সক্ষম হয়েছেন নাসার গবেষকরা। এর আগে ১৮ জানুয়ারি এই মঙ্গলকপ্টারটির সঙ্গে নাসার সব রকম যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়। ফলে বিজ্ঞানীরা দুশ্চিন্তায় ছিলেন। তবে ২২ জানুয়ারি আবার যোগাযোগ পুনঃস্থাপনের পর স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন বিজ্ঞানীরা।</p> <p>ইনজেন্যুইটি হলো মানুষের তৈরি প্রথম হেলিকপ্টার, যেটা পৃথিবীর বাইরের কোনো গ্রহে উড়েছে। ২০২১ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি একে মঙ্গলের উদ্দেশে উৎক্ষেপণ করা হয়। মূলত মঙ্গলযান পারসিভ্যারেন্সের সঙ্গে ছোট্ট হেলিকপ্টারটিকে মঙ্গলে পাঠানো হয়। সে বছর ৩ এপ্রিল এটি পারসিভারেন্সের সঙ্গে মঙ্গলে অবতরণ করে। ১৯ এপ্রিল প্রথমবারের মতো এটি মঙ্গলের আকাশে উড়ে ইতিহাস সৃষ্টি করে।</p> <p>মূলত মঙ্গলের দুর্গম এলাকায়, যেখানে ল্যান্ড রোভারগুলো যেতে পারে না, সেইসব এলাকা পর্যবেক্ষণের জন্য এ ধরনের ক্ষুদ্র হেলিকপ্টারের কথা ভাবা হয়। ইনজেন্যুইটি ছিল প্রথম পদক্ষেপ। আসলে মঙ্গলের হালকা বায়ুমণ্ডলে আদৌ কোনো আকাশযান উড়তে সক্ষম কি না সেটা পরীক্ষা করাও ইনজেন্যুইটি অভিযানের অন্যতম লক্ষ্য ছিল।</p> <p>গত তিন বছরে ইনজেন্যুইটি ৭১টি সফল উড্ডয়ন সম্পন্ন করেছে। কিন্তু ৭২তম উড্ডয়ন শেষ করার ঠিক আগ মুহূর্তে নাসার সঙ্গে এর যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়। তার পরেই বিজ্ঞানীরা বিচলিত হয়ে পড়েন। অবশ্য একে যখন মঙ্গলে পাঠানো হয়, তখন মাত্র পাঁচটি সফল উড্ডয়নের লক্ষ্যমাত্রা ছিল বিজ্ঞানীদের। খুব অল্প সময় পরেই ইনজেন্যুইটি তাঁর লক্ষ্য পূরণ করে। তখন বিজ্ঞানীরা এর সক্ষমতা বিশ্লেষণ করে দেখেন, ইনজেন্যুইটির পক্ষে এখনো উড্ডয়ন করা সম্ভব। তার পর থেকে একের পর এক উড্ডয়ন সম্পন্ন করেছে।</p> <p>সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর গত ২০ জানুয়ারি নাসার বিজ্ঞানীরা সংযোগ পুনরুদ্ধার করার জন্য চেষ্টা চালাতে থাকেন। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার আগে এর পাঠানো ডাটা গভীরভাবে বিশ্লেষণ করেন। সেই সূত্র ধরে আবার যোগাযোগ পুনঃস্থাপনে সক্ষম হন তাঁরা। যোগাযোগ পুনঃস্থাপনের এই খবরটি বিজ্ঞানীদের তো বটেই, সারা বিশ্বের বিজ্ঞানপ্রেমীদেরও স্বস্তি দিয়েছে।<br /> সূত্র : স্পেস ডট কম</p> <p><br />  </p>