<p><strong>উপাদান</strong><br /> ১৮৯০ সালের ঘটনা। বায়ুকে তরলিকরণের পদ্ধতি ব্যবহার করে ক্ষুদ্র গ্যাসীয় মৌলগুলো আবিষ্কারে নামলেন র‍্যামজে। এর আগে এমন গ্যাস থাকতে পারে— এই ধারণাই কেউ করতে পারেননি। নিয়ন-সহ পরপর পাঁচটি মৌল তিনি আলাদা করলেন। যেগুলো বায়ুর ৬০ হাজার উপাদানের ১ ভাগ মাত্র। আর এই অবদানের জন্যই ১৯০৪ সালে পান নোবেল পুরস্কার। বর্ণালি পরীক্ষার মাধ্যমে পাওয়া গ্যাসগুলো একদম নতুন। অনন্য বৈশিষ্ট্যের। বৈদ্যুতিক ডিসচার্জে উত্তেজিত অবস্থায় বর্ণালিতে সেই বৈশিষ্ট্যগুলোর অস্তিত্ব প্রমাণিত হয়। তাঁর সহকর্মী ও সহযোগী ব্রিটিশ রসায়নবিদ মরিস ট্র্যাভার্স নিয়নের একটি বৈশিষ্ট্য দেখে রোমাঞ্চিত হন। তিনি নিয়নে ক্রিমসন আলোর উজ্জ্বলছটা দেখতে পান। নিয়ন এমনই আদর্শ যে রাসায়নিক কোনো যৌগ গঠন করে না। বিক্রিয়ায় অংশ নেয় না। তবুও নিয়ন আমাদের অতি পরিচিত মৌল। </p> <p>ল্যাবরেটরির বাইরেও নিয়ন সুপরিচিত হওয়ার কারণ এর অনন্য আলো। নিয়ন পরমাণুর শেষ শক্তিস্তরের পূর্ণ-ইলেকট্রনগুলো বৈদ্যুতিক ডিসচার্জের কারণে উত্তেজিত হয়। এরপর স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে। শোষিত শক্তিও ছেড়ে দেয়। বর্তমান ডিজিটাল যুগে নিয়ন সব ধরনের আলোকময় সংকেতের জন্য জনপ্রিয় নাম। তবে নিয়ন লাল ছাড়া অন্য কোনো আলো তৈরি করতে পারে না। অনান্য নিষ্ক্রিয় গ্যাস এভাবে বৈদ্যুতিক ডিসচার্জড হলে অনান্য রং পাওয়া যায়। নিয়ন বাতি, আলোকসজ্জা, টেলিভিশন, ভোল্টমিটার, রেক্টিফায়ার, বৈদ্যুতিক যন্ত্রের রক্ষাকবচ হিসেবে নিয়নের ব্যবহার আছে বেশ।</p> <p><strong>দশা</strong><br /> রাসায়নিক সংকেত: Ne<br /> পারমাণবিক সংখ্যা: ১০<br /> নামকরণ: গ্রিক নিয়ন (নতুন)।</p> <p><strong>বিক্রিয়া</strong><br /> নিয়ন অন্যতম হালকা ও রাসায়নিকভাবে স্থিতিশীল একটি মৌল। হাইড্রোজেন, হিলিয়াম, অক্সিজেন ও কার্বনের পর পঞ্চম প্রাচুর্যের মৌল নিয়ন। এটি আলফা প্রক্রিয়ার একটি ফল (হালকা পরমাণুর সাথে আলফা কণা বা হিলিয়াম নিউক্লিয়াস যোগ করে ভারী উপাদান তৈরি হয়)। হিলিয়ামের নিউক্লিয়াসে নিউক্লিয়নের সংখ্যা চার। দুটো প্রোটন ও দুটো নিউট্রন। অপরদিকে কার্বন ১২, অক্সিজেন ১৬ এবং নিয়ন ২০টি করে নিউক্লিয়ন ধারণ করে।</p> <p><br /> <strong>নিয়নের সাথে সম্পর্কিত মৌল</strong><br /> হিলিয়াম (He 2)<br /> আর্গন (Ar 18)<br /> ক্রিপটন (Kr 36)</p> <p><strong>বিজ্ঞানী</strong><br /> দিমিত্রি মেন্দেলিভ<br /> ১৮৩৪-১৯০৭<br /> রাশিয়ান রসায়নবিদ। র‍্যামজে মৌল আবিষ্কারের পর দিমিত্রি মেন্দেলিভের সারণিতেই নিজের মৌলগুলোর স্থান দেন। তিনি সারণি সম্প্রসারণে রাজি ছিলেন না।</p> <p><strong>জর্জেস ক্লাউড  </strong><br /> ১৮৭০-১৯৬০<br /> ফ্রেঞ্চ নিয়ন সাইনের উদ্ভাবক।</p> <p><strong>ব্রুস নওমান  </strong><br /> ১৯৪১-বর্তমান<br /> মার্কিন শিল্পী। যিনি নিয়ন নিয়ে শিল্পচর্চা করেন।</p> <p><br /> <strong>বর্ণনা</strong><br /> হিউ অ্যাল্ডারসে-উইলিয়ামস<br />  </p>