<p>বাঁদরের মুখের চেহারা যে অনেকটা মানুষের মতো তা দেখলেই বোঝা যায়; বিশেষত ওরাং ওটান, শিম্পাঞ্জি প্রভৃতি বুদ্ধিমান বাঁদরের চালচলন আর মুখের ভাব দেখলে মানুষের মতো আশ্চর্য সাদৃশ্য দেখতে পাওয়া যায়।</p> <figure class="image"><img alt="ওরাং ওটান" height="338" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/RONY/takai-orangutan-blog-1280x720.jpg" width="600" /> <figcaption><em>ওরাং ওটান</em></figcaption> </figure> <p>কোনো কোনো বাঁদর আছে তাদের মাথার লোমগুলো দেখলে ঠিক টেরিকাটা মানুষের মাথার মতো মনে হয়, যেন কেউ চিরুনি দিয়ে চুল ফিরিয়ে সিঁথি কেটে দিয়েছে। </p> <figure class="image"><img alt="টামারিন" height="400" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/RONY/1f7046a468b15955277d57cb7ac1bc5850bf38fd.jpg" width="600" /> <figcaption><em>গোঁফের জন্য টামারিনের মুখে একটা গাম্ভীর্যের ভাব দেখা যায়</em></figcaption> </figure> <p>একধরনের বাঁদরের যে রকম গোঁফের বাহার খুব কম মানুষেরই সে রকম আছে। এর বাড়ি আমেরিকায়। ছোট্ট আধ হাত উঁচু বাঁদরটি, কিন্তু ওই গোঁফের জন্য তার মুখে একটা গাম্ভীর্যের ভাব দেখা যায়। এদের রং কালো, হাতে লম্বা লম্বা নখ থাকে, তাই দিয়ে কাঠবিড়ালির মতো গাছে খামচিয়ে ওঠে। এই জাতীয় বাঁদরের নাম টামারিন। এদের সকলের এ রকম গোঁফ থাকে না; গুঁফো বাঁদরদের এম্পারার টামারিন অর্থাৎ সম্রাট টামারিন বলে। তা সম্রাটের মতো চেহারাই বটে। সম্রাটের প্রিয় খাদ্য হচ্ছে কলা। </p> <figure class="image"><img alt="সাকি" height="400" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/RONY/white-faced-saki-shutterstock_616022240-resize.jpg" width="600" /> <figcaption><em>দাড়ির বহর যতই হোক না কেন, আসলে সাকিরা ভীতুর একশেষ</em></figcaption> </figure> <p>গুঁফো বাঁদরের পর দাড়িওয়ালা বাঁদর, তার নাম হচ্ছে কাল সাকি। এরও বাড়ি আমেরিকায়। সে দেশের লোকেরা এই বাঁদরকে শয়তান বাঁদর বলে। এ রকম অন্যায় নাম দেওয়ার কোনো কারণ পাওয়া যায় না। কেননা এদের মেজাজ যেমন ঠাণ্ডা, স্বভাবও তেমনি নিরীহ। দাড়ির বহর যতই হোক না কেন, আসলে এরা ভীতুর একশেষ। মানুষের কোনো অনিষ্ট করা দূরে থাক, কাছে কোথাও মানুষ আছে জানতে পারলে এরা তার ত্রিসীমানা ছেড়ে পালায়। এদের কোনো রকমে পোষ মানানো যায় না; ধরে আনলে অতি অল্প দিনের মধ্যে মরে যায়। আর এক জাতের সাকি বাঁদর রয়েছে। এর গায়ের রং খুব হালকা, তাই একে সাদা সাকি বলা হয়। এর চেহারা যেন আরো উদ্ভট গোছের। দাড়িও অন্য রকমের।</p> <p>এই রকমের গালপাট্টা দেওয়া চেহারা আর বিকট ধেড়ান মুখ দেখে বোঝাবার জো নেই যে বেচারার স্বভাবটি মোটেও তার চেহারার মতো নয়। </p> <figure class="image"><img alt="সিন্ধুঘোটক" height="400" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/RONY/shutterstock_1504064579-1.jpg" width="600" /> <figcaption><em>সিন্ধুঘোটকদের চেহারাও অনেক সময় খুব মাতব্বর গোছের মানুষের মতো মনে হয়</em></figcaption> </figure> <p>বুড়ো-ধাঁঁড়ি সিন্ধুঘোটকদের চেহারাও অনেক সময় খুব মাতব্বর গোছের মানুষের মতো মনে হয়। গোঁফ-দাড়ি, মাথায় টাক, সবই বেশ মানিয়ে যায়, কেবল হাতির মতো ওই প্রকাণ্ড দাঁত দুটোতেই সব মাটি করে দেয়।</p> <p>*আংশিক সম্পাদিত</p>