<p>শিশু বয়স হলো দুরন্তপনার সময়। পড়ে গিয়ে চোট পাওয়া ছোটবেলায় ঘটতে পারে। এতে কখনো বা ফ্র্যাকচার পর্যন্ত হয়। কোন হাড় ভাঙল, তা বেশি না কম—এসব না ভেবে ফ্র্যাকচার হলেই মনে রাখতে হবে অযথা দেরি না করে তাৎক্ষণিক মেডিক্যাল ব্যবস্থাপনা শুরু করতে হবে।</p> <p>আর এই বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন—</p> <p><strong>প্রফেসর ডা. প্রণব কুমার চৌধুরী</strong></p> <p>সাবেক বিভাগীয় প্রধান, শিশু স্বাস্থ্য বিভাগ</p> <p>চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল</p> <p><strong>লক্ষণ</strong></p> <p>* ইনজুরির সময় হাড় ভাঙার শব্দ শোনা যেতে পারে।</p> <p>* ওই স্থান নড়াচড়াতে সমস্যা হয়। ছুঁইলে বা সরাতে গেলে কিংবা এই অংশে ওজন বহনের সময় অত্যধিক ব্যথা হয়।</p> <p><strong>কী  করা করা উচিত?</strong></p> <p>* ক্ষত অংশ থেকে কাপড়চোপড় সরিয়ে নেওয়া।</p> <p>* কাপড়ে মোড়ানো বরফ ইনজুরি স্থানে লাগানো।</p> <p>* ক্ষত অংশ যেভাবে পড়ে ছিল, সেভাবেই হাত বা পায়ের অবস্থান দেখে নেওয়া।</p> <p>* যদি সম্ভব হয়, তবে ভাঙা হাড়ের ওপর সাধারণ ধরনের এসপ্লিন্ট বেঁধে দিতে হয়।</p> <p>* যদি সার্জারি লাগবে মনে হয় শিশুকে কিছু খেতে না দেওয়া।</p> <p><strong>শিশুকে নড়াচড়া না করানো</strong></p> <p>* যদি গলা-পিঠে মারাত্মক ইনজুরি হয়েছে মনে হয়ে থাকে।</p> <p>* যদি চামড়া ভেদ করে হাড় বেরিয়ে আসে। বরং তাড়াতাড়ি অ্যাম্বুল্যান্স, ডাক্তার ডাকতে হবে।</p> <p>প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা—</p> <p>* ইনফ্যান্ট ওয়াকার ব্যবহার না করা শ্রেয়।</p> <p>* শিশু মোটরসাইকেল আরোহী হলে তাকে হেলমেট পরানো। সেফটি গিয়ার রুলস মেনে চলা।</p> <p>* শোবার ঘর, সিঁড়ি পথ—এসবে সুরক্ষামূলক গেটের বন্দোবস্ত রাখা।</p>