<article> <p style="text-align: justify;">নাক থেকে বিভিন্ন কারণে রক্তপাত হতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে কোনো কারণ বের করা যায় না। একে বলা হয় ইডিওপেথিক বা অজানা কারণ। প্রায় ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ কারণই অজানা।</p> </article> <article> <p style="text-align: justify;"><b>কাদের বেশি হয়? : </b>সাধারণত বাচ্চাদের (দুই থেকে ১০ বছর বয়স) বেশি হয়ে থাকে। দ্বিতীয় গ্রুপ হচ্ছে বয়স্ক ব্যক্তিরা, যাঁদের বয়স ৪৫ বছরের ওপর। এই বয়সে মানুষের রক্তের ক্লটিং টাইম (রক্ত জমাট বাঁধার সময়) সাধারণত বাড়তে দেখা যায়। এ ছাড়া গর্ভবতী নারীদের ক্ষেত্রে রক্তনালি ফুলে যাওয়ার কারণে নাক দিয়ে রক্ত পড়ার প্রবণতা বেশি দেখা যায়।</p> </article> <article> <p style="text-align: justify;"><b>করণীয় : </b>নাক থেকে রক্ত পড়লে ঘাবড়ে যাবেন না। নাকে ছোট ছোট রক্তনালি থাকে, তাই অনেক রক্ত পড়তে পারে। রক্ত দেখেই অনেকে ঘাবড়ে যায়। ঘাবড়ে গেলে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া কঠিন হয়।</p> </article> <article> <p style="text-align: justify;">রোগীকে প্রথমত রিলাক্স হতে হবে। রোগীকে প্রথমে চেয়ারে বসিয়ে শরীর ও মাথা সামনের দিকে ঝুঁকিয়ে রাখবেন। এরপর রোগী নিজে কিংবা না পারলে অন্য কেউ নাকের সামনের নরম অংশটি শক্ত করে দুই পাশ থেকে আঙুল দিয়ে চেপে পাঁচ মিনিট ধরে বন্ধ রাখতে হবে। সঙ্গে সঙ্গে মুখটি হাঁ করে থাকবে শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়ার জন্য।</p> <p style="text-align: justify;">পাঁচ মিনিট পর চাপ ছেড়ে দিয়ে চেক করবেন রক্তপাত বন্ধ হয়েছে কি না! যদি বন্ধ না হয় আবার ১০ থেকে ১৫ মিনিট একইভাবে চাপ দিয়ে নাক বন্ধ রাখবেন।</p> </article> <article> <p style="text-align: justify;">এই সময়ের মধ্যে কাছের হাসপাতাল বা অ্যাম্বুল্যান্সের জন্য খোঁজ করতে হবে। ডিকনজেস্টেন্ট জাতীয় নাকের কিছু ড্রপ; যেমন-অক্সিমেটাজোলিন, জাইলোমেটাজোলিন ইত্যাদি ব্যবহার করতে পারেন। রোগীর উচ্চ রক্তচাপ থাকলে ব্লাড প্রেসার চেক করুন।</p> <p style="text-align: justify;">যদি রক্তপাত বন্ধ হয়ে যায়, কিছুদিন পর্যন্ত কিছু নিয়ম-কানুন মেনে চলতে হবে। যেমন : সামনে ঝুঁকে কোনো কাজ করা যাবে না, ভারী কোনো জিনিস তোলা যাবে না, ভারী কোনো কাজ করা যাবে না, জোরে নাক ঝাড়া যাবে না, নাকে ঘষামাজা করা বা পরিষ্কার করা থেকে বিরত থাকতে হবে। আর ১৫ থেকে ২০ মিনিট পরও যদি রক্তপাত বন্ধ না হয় তাহলে দ্রুত হাসপাতালে যাওয়া উচিত।</p> <p style="text-align: justify;">পরামর্শ দিয়েছেন</p> <p style="text-align: justify;"><b>ডা. আলমগীর মো. সোয়েব</b></p> <p style="text-align: justify;">কনসালট্যান্ট, নাক, কান, গলা রোগ বিভাগ</p> <p style="text-align: justify;">চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল</p> </article>