<article> <p style="text-align: justify;">অনেকে মিনি স্ট্রোকের মৃদু উপসর্গকে আমলে নেন না। ফলে বড় ক্ষতি হয়ে যায়। মিনি স্ট্রোকের লক্ষণ চিনে চিকিৎসা নিলে বড় স্ট্রোকের ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব। বিস্তারিত জানিয়েছেন অধ্যাপক<b> ডা. শুভাগত চৌধুরী</b>, সাবেক অধ্যক্ষ, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ।</p> </article> <article> <p style="text-align: justify;">চিকিৎসাবিজ্ঞানে মিনি স্ট্রোকের নাম ‘ট্রানজিয়েন্ট ইস্কেমিক অ্যাটাক’। পরিসংখ্যান বলছে, যাদের একবার মিনি স্ট্রোক হয়, তাদের মধ্যে ২০ শতাংশের পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে বড় স্ট্রোক হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই মিনি স্ট্রোকের প্রকৃতি আর উপসর্গ ভালো করে বুঝতে পারলে এটি হবে প্রাণ বাঁচানোর শামিল।</p> <p style="text-align: justify;"><b>মিনি স্ট্রোক কী?</b></p> <p style="text-align: justify;">মস্তিষ্কে স্পাইনাল কর্ড বা রেটিনায় রক্ত প্রবাহ সাময়িকভাবে বন্ধ হলে মিনি স্ট্রোক হয়। মিনি স্ট্রোকে মস্তিষ্কের স্থায়ী ক্ষতি হয় না, হাত-পা অচল হয়ে যাওয়া কিংবা বাকশক্তি হারানোর ঘটনাও স্থায়ীভাবে ঘটে না।</p> </article> <article> <p style="text-align: justify;"><b>উপসর্গ</b></p> <p style="text-align: justify;">এর উপসর্গ মনে রাখার জন্য পাঁচটি অক্ষর ব্যবহৃত হয়। এই পাঁচটি অক্ষর হলো ‘বি’,‘ই’, ‘এফ’, ‘এ’, ‘এস’, ‘টি’। এগুলো দিয়ে বোঝানো হয়েছে—</p> <p style="text-align: justify;"><b>বি-ব্যালান্স : </b>অনেক সময়ই অকারণে আমাদের মাথা ব্যথা করে। তবে হঠাৎ করে মুখ বিকৃত করে মাথা চেপে ধরার মতো অবস্থা হলে সতর্ক হতে হবে। প্রচণ্ড মাথা ব্যথা করা একটি ‘রেড ফ্ল্যাগ’। ব্যালান্স না রাখতে পারাও অন্যতম প্রধান উপসর্গ। আক্রান্ত ব্যক্তি হঠাৎ করে কোনো একটা জিনিস আঁকড়ে ধরার প্রাণপণ চেষ্টা করবে। পা টলমল করার পর মাথা ঘুরে পড়ে যাওয়ার অবস্থা হলে এবং চোখে অন্ধকার দেখলে সতর্ক হতে হবে।</p> </article> <article> <p style="text-align: justify;"><b>ই-আইস : </b>সাময়িকভাবে এক বা দুটি চোখের দৃষ্টিশক্তি থাকবে না। হঠাৎ করেই চোখে কিছু দেখা যাবে না। এর কোনো কারণ থাকবে না। এটি মিনি স্ট্রোকের জোরালো লক্ষণ। রেটিনাতে রক্ত প্রবাহ সাময়িকভাবে রোধ হওয়ায় অস্থায়ীভাবে দৃষ্টিশক্তি লোপ পায়। এর প্রভাবে ব্যক্তি অনবরত চোখ পিটপিট করে এবং দিক ভুল করে।</p> <p style="text-align: justify;"><b>এফ-ফেস ড্রুপিং (মুখের এক পাশ ঝুলে পড়া) : </b>ফেস ড্রুপিং বলতে শরীরের এক পাশ দুর্বল বা অবশ হয়ে যাওয়াকে বোঝায়। শরীরের এক দিকের মুখ, হাত, পা অবশ হয়ে যাওয়া হলো মিনি স্ট্রোকের লক্ষণ। মুখ অবশ হওয়ার ফলে কথা জড়িয়ে যেতে পারে। কথা বলতে গিয়ে অসুবিধা বোধ করায় হঠাৎ থেমে যাওয়াও মিনি স্ট্রোকের লক্ষণ হতে পারে। এ রকম লক্ষণ থাকতে পারে অল্প কিছুক্ষণ বা এক দিন।</p> <p style="text-align: justify;"><b>এ-আর্ম উইকনেস : </b>হাত বা পা তুলতে কষ্ট হওয়া বা জোর না পাওয়াও মিনি স্ট্রোকের উপসর্গ।</p> <p style="text-align: justify;"><b>টি-টাইম টু কল ৯৯৯ : </b>ওপরের লক্ষণগুলো শনাক্ত করতে পারলে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। তিনি দেখবেন রোগীর হার্টের কোনো সমস্যা আছে কি না, উচ্চ রক্তচাপ আছে কি না, রোগী নিয়মিত ধূমপান করেন কি না। সব কিছু জেনে নিয়ে তিনি ব্যবস্থা নেবেন।</p> </article>