<p>দেশে প্রায় আড়াই কোটি মানুষ কোনো না কোনোভাবে কিডনি রোগে ভুগছে। এর প্রধান কারণ নেফ্রাইটিস, ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ। দুর্ভাগ্যজনক বিষয় হলো, প্রাথমিক পর্যায়ে কিডনি রোগের কোনো উপসর্গ পরিলক্ষিত হয় না। ৮০ থেকে ৮৫ ভাগ কিডনি অকেজো হওয়ার পরই নানা উপসর্গ দেখা দেয়। কিডনি রোগ থেকে বাঁচতে হলে বেশি বেশি স্ক্রিনিং বা রুটিন চেকআপের কোনো বিকল্প নেই।</p> <p>বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) বিশ্ব কিডনি দিবস উপলক্ষে কিডনি ফাউন্ডেশনে আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতাল এন্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আর রশিদ। দিনব্যাপি ফ্রি হেলথ ক্যাম্পসহ নানা আয়োজনের মাধ্যমে দিবসটি পালন করে তারা।</p> <p>কিডনি ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আর রশিদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক ডা. মো. সাকিব উজ্জামান আরেফিন, সহযোগী অধ্যাপক ডা. বখতিয়ার মোহাম্মদ সোয়েব নোমানী, ডা. তাসনুভা সারাহ কাশেম, ডা. ফারনাজ নবী রিমা, ডা. অমিত বারী, ডা. সানজিদা সুলতানা জুথি প্রমুখ। এতে চিকিৎসক, নার্স, ট্রান্সপ্লান্ট রোগী, ডায়ালাইসিস রোগীরা উপস্থিত ছিলেন। </p> <p>জানা গেছে, কারো কিডনি রোগ আছে কিনা তা জানার জন্য কিডনি ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ডাক্তার, নার্স, গাড়ি চালক, রিকশাচালক ও কিডনি রোগীদের আত্মীয়-স্বজনদের বিনামূল্যে স্ক্রিনিং করানোর ব্যবস্থা করা হয় হাসপাতাল সংলগ্ন খোলা জায়গায়।</p> <p>এ ছাড়াও কিডনির নানা সমস্যায় বিনামূল্যে পরামর্শ দেওয়া হয় হেলথ ক্যাম্পে আসা রোগীদের। চিকিৎসকরা রোগীদের নানা প্রশ্নের উত্তর দেন এবং কিডনি রোগ সম্পর্কে ব্যাপক সচেতন হওয়ার আহবান জানান।</p>