<article> <p style="text-align: justify;">মাথা ব্যথা থেকে শুরু করে কোমরে কিংবা হাতে-পায়ে বাতের ব্যথাসহ নানা কারণে অনেকেই দীর্ঘদিন ধরে ব্যথার ওষুধ সেবন করে থাকে। সাময়িকভাবে ব্যথার ওষুধ ক্ষতিকারক না হলেও দীর্ঘদিন সেবনে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি দেখা দিতে পারে। সাধারণত ব্যথানাশক ওষুধগুলোকে এনএসএইডস এবং ওপিওয়েড—এই দুই গ্রুপে ভাগ করা হয়।</p> <p style="text-align: justify;"><b>স্বাস্থ্যঝুঁকি : </b>ব্যথানাশক হিসেবে আইবুপ্রফেন, ন্যাপ্রক্সেন, ডাইক্লফেনাক—এই ওষুধগুলো বেশি ব্যবহৃত হয়। এর মধ্যে প্যারাসিটামলসহ কিছু ওষুধ ওটিসি হিসেবে স্বীকৃত, অর্থাৎ এ ধরনের ওষুধ কেনার জন্য কোনো রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশনের প্রয়োজন হয় না। তবে অতিরিক্ত ডোজে নির্দিষ্ট সময়ের বাইরে একাধারে দীর্ঘদিন এ ওষুধ সেবন করলে এর মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি রয়েছে।</p> <p style="text-align: justify;">তীব্র ব্যথার ক্ষেত্রে ওপিওয়েড ওষুধ ব্যবহার করা হয়। এনএসএইডের তুলনায় এর ব্যবহার বেশ সীমিত বললেই চলে। এর কারণে ওপিয়েড আসক্তি, বিষণ্নতা, কোষ্ঠকাঠিন্যসহ বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে।</p> </article> <article> <p style="text-align: justify;"><b>স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে করণীয়: </b>গ্যাস্ট্রিক আলসারের ঝুঁকি এড়াতে ব্যথার ওষুধ খেতে হবে ভরা পেটে, খাওয়ার আগে অবশ্যই গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ খেতে হবে। একই গ্রুপের দুটি ব্যথার ওষুধ একসঙ্গে কিংবা একাধিক ডোজ খাওয়া উচিত নয়। এতে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বাড়ে।</p> </article> <article> <p style="text-align: justify;">যেমন—দিনে প্যারাসিটামল ৫০০ মিলিগ্রামের আটটি ট্যাবলেটের বেশি সেবনে লিভারের ক্ষতি হতে পারে। ৬৫ বছরের বেশি বয়স্কদের ক্ষেত্রে ব্যথার ওষুধ ব্যবহারে বিশেষ সতর্ক হতে হবে। আগে থেকে কিডনি, লিভারের সমস্যা বা পেটে আলসার আছে কি না ভালোভাবে জেনে নিতে হবে। এ ছাড়া রোগী নিয়মিত অন্য কোনো ওষুধ খায় কি না সেটাও জানা জরুরি।</p> <p style="text-align: justify;"><strong>পরামর্শ দিয়েছেন</strong></p> <p style="text-align: justify;"><b>ডা. ইসরাত জাবীন</b></p> <p style="text-align: justify;">সহকারী অধ্যাপক, মেডিসিন বিভাগ</p> <p style="text-align: justify;">গ্রিন লাইফ মেডিক্যাল কলেজ, ঢাকা</p> </article>