<article> <p>বেশ কয়েকটি কিডনি রোগ রয়েছে, যা দ্রুত বিকাশ লাভ করতে পারে এবং অ্যাকিউট কিডনি ইনজুরি সৃষ্টি করতে পারে। যেহেতু কিডনির ফিলট্রেশন কার্যকারিতা কমে যায়, তাই পানির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করা খুব জরুরি। রোগের প্রাথমিক পর্যায়ে স্বাভাবিক পরিমাণ অর্থাৎ ব্যক্তি নিজের প্রতি কেজি ওজনের জন্য ০.০৩ লিটার পানি গ্রহণ করতে পারবে। কিডনির রোগ শনাক্ত হওয়ার পর প্রতি কেজি দৈহিক ওজনের জন্য ০.৫-০.৮ গ্রাম প্রোটিনের প্রয়োজন।</p> </article> <p>গুরুতর রোগীর প্রয়োজন জন্য ০.৫ গ্রাম। রোগের পরবর্তী তৃতীয়, চতুর্থ বা পঞ্চম স্টেজে জিএফআর অনুযায়ী ডাক্তারের পরামর্শ মতে পানির পরিমাণ নির্ধারিত হবে।</p> <article> <p><strong>অ্যাকিউট কিডনি ইনজুরির যত কারণ</strong></p> <p><strong>সংক্রমণ :</strong> যেকোনো গুরুতর সংক্রমণ কিডনিকে চাপে ফেলতে পারে, এমনকি যদি সংক্রমণ কিডনিতে না-ও থাকে।</p> <p><strong>ডিহাইড্রেশন : </strong>গুরুতর ডিহাইড্রেশন কিডনিতে রক্তপ্রবাহ কমিয়ে দেবে। রক্তপ্রবাহ কিডনিতে অক্সিজেন সরবরাহ না করলে কিডনিও কাজ করে না।</p> </article> <article> <p><strong>ওষুধ :</strong> অ্যাকিউট কিডনি ইনজুরি আক্রান্ত যে কারো ক্ষেত্রে কোন ওষুধ খাচ্ছেন তা ডাক্তারদের জানা গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে ব্যথানাশক ওষুধগুলো।</p> <p><strong>প্রস্রাবের প্রবাহে বাধা : </strong>প্রস্রাব কিডনিতে তৈরি হয়ে দীর্ঘ পাতলা টিউব মূত্রাশয়ের দিকে যায়। এরপর মূত্রাশয় সময়ে সময়ে প্রস্রাব ছেড়ে দেয়। ড্রেনেজ টিউব বা মূত্রাশয় ব্লকেজ অ্যাকিউট কিডনি ইনজুরি হতে পারে। পরীক্ষার মাধ্যমে সাধারণত ব্লকেজ শনাক্ত করা যায়।</p> </article> <article> <p><strong>অস্ত্রোপচার :</strong> অস্ত্রোপচারের সময় কিডনিতে রক্তের প্রবাহ কমে যেতে পারে। এতে করে অ্যাকিউট কিডনি ইনজুরি হতে পারে। অপারেশন করার আগে অজ্ঞানের ডাক্তার ওষুধ পর্যালোচনা করবেন এবং কিডনি রক্ষা করার জন্য কিছু পরিবর্তন করতে পারেন।</p> </article> <article> <p><strong>খাদ্যতালিকা যেমন হবে</strong></p> <p>কিডনির রোগীদের সব সময় যে নানা ধরনের ফল বা শাক-সবজি খাওয়া নিষেধ, এ ধারণা ঠিক নয়। শুধু কারো রক্তে যদি পটাসিয়ামের মাত্রা বেশি থাকে বা কিডনির জিএফআর যদি ৩০-এর কম হয়, তাহলে পটাসিয়ামসমৃদ্ধ খাবার কম খেতে হবে।</p> <p>♦ ডাবের পানি, কলা, খেজুর, শুকনা ফল, আলু, টমেটো, শসা, পালংশাক, ফলের রসে পটাসিয়াম বেশি থাকে।</p> <p>♦ আপেল, পেয়ারা, আঙুর, নাশপাতি, জাম, তরমুজের মতো ফলগুলোয় পটাসিয়াম তুলনামূলক কম থাকে। এ ফলগুলো পরিমাণমতো খাওয়া যাবে।</p> <p>♦ শাক-সবজি সেদ্ধ করে পানি ফেলে দিয়ে এরপর রান্না করতে হবে।</p> <p>♦ খাবারে অতিরিক্ত লবণ পরিহার করতে হবে</p> <p>♦ কিডনির জিএফআর ৬০-এর কম হলে দিনে এক হাজার গ্রামের বেশি ক্যালসিয়াম না খাওয়া ভালো। ছয় মাস অন্তর রক্তে ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি-এর মাত্রা পরীক্ষা করা প্রয়োজন হয়।</p> <p> </p> <p><strong>পরামর্শ দিয়েছেন</strong></p> <p>ডা. মো. সাইদুল হক</p> <p>সহকারী অধ্যাপক</p> <p>বারডেম বিইউএইচএস ইউনিভার্সিটি ঢাকা</p> </article>