<p>পাঠ্যপুস্তক সংশোধন কমিটি থেকে ইসলামবিদ্বেষী দুই সদস্য অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন করেছে সচেতন নাগরিক সমাজ। বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় বক্তারা কমিটিতে ইসলামী স্কলার অন্তর্ভুক্তির দাবি জানান।</p> <p>মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীদের হাতে ‘আমাদের সন্তানদের গিনিপিগ বানানো চলবে না’, ‘যৌন শিক্ষা পরিবার দেবে, স্কুল না’, ‘পাঠ্যপুস্তক সমন্বয় কমিটিতে ইসলামবিদ্বেষী কেন?’, ‘পাঠ্যপুস্তকে পশ্চিমা বিকৃত মতবাদ ঢোকানো যাবে না’, ‘এনজিওদের কবল থেকে, বাঁচাতে হবে প্রজন্মকে’, ‘সমকামিতার আমদানি, অধিকার নয় বিকৃতি, পাঠ্যপুস্তকের সংস্কার, আলেম ছাড়া আশঙ্কার, ইসলামবিদ্বেষী কুলাঙ্গার, কমিটি থেকে বহিষ্কার’ ইত্যাদি প্ল্যাকার্ড দেখা যায়। এ সময় তারা প্ল্যাকার্ডে লেখা এসব বক্তব্য দিয়ে স্লোগান দেন।</p> <p>ডা. মেহেদী হাসানের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে অংশ নেন হেফাজতের নায়েবে আমির মাওলানা আহমদ আলী কাসেম, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা জালাল উদ্দিন ইউনুস, জামায়াতের উলামা পরিষদের সভাপতি ড. খলিলুর রহমান মাদানি, ধানমণ্ডি তাকওয়া মসজিদের খতিব মুফতি সাইফুল ইসলাম, মাওলানা রেজাউল করিম আববার, প্রফেসর মোখতার আহমাদ, মাওলানা মুহাম্মদ রজীবুল হক, মাওলানা গাজী ইয়াকুব, মাওলানা সাইমুম সাদী, ড. হাবীবুর রহমান, মাওলানা আবু মুহাম্মাদ রহমানী, মাওলানা আবদুল গাফফার, মাওলানা নিজাম বিন মুহিব, মাওলানা গাজী সানাউল্লাহ রাহমানী, ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. সারোয়ার হোসেন, ডা. শামসুল আরেফীন শক্তি, শরীফ আবু হায়াত অপু, মাওলানা ইসমাঈল হোসেন সিরাজী, সচেতন নাগরিক সমাজের আহ্বায়ক মাওলানা আব্দুল হাই মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ।</p> <p>সভায় বক্তারা বলেন, ‘শখানেক আলেম-হাফেজের শাহাদাতবরণ, প্রায় দেড় সহস্র ইসলামদরদি ছাত্র-জনতার জীবন দান এবং প্রায় ৩০ হাজার আহত মানুষের রক্তের ওপর দিয়ে এই সরকার গঠিত হয়েছে। অথচ এর ফসল হিসেবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে এসে তারা পশ্চিমাদের চাপানো ইসলামবিদ্বেষী ও ঈমান হরণকারী বিষয় আমাদের আগামী প্রজন্মের পাঠ্যপুস্তকে অনুপ্রবেশ ঘটানোর দুঃসাহস করছে, যা বিগত রাজনৈতিক সরকারগুলোও করেনি। সম্প্রতি জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) প্রণীত ও মুদ্রিত সব পাঠ্যপুস্তক সংশোধন ও পরিমার্জনে ১০ সদস্যের সমন্বয় কমিটি গঠন করেছে, যা প্রতিটি অভিভাবক ও সচেতন নাগরিকদের প্রাণের দাবি ছিল। কিন্তু কাদের ইশারায় কাদের খুশি করার জন্য তাদের মধ্যে ঢাবির পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক কামরুল হাসান মামুন ও ঢাবির সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সামিনা লুৎফা নিত্রাকে রাখা হয়েছে তা বিস্ময়ের জন্ম দিয়েছে।’ </p> <p>অধ্যাপক মামুন বিগত দিনগুলোতে তার ক্লাসে ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সামাজিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধবিদ্বেষী নানা বক্তব্য দিয়েছেন বলে দাবি করেছেন বক্তারা। এ ছাড়া সামিনা লুৎফাকে সমকামিতা ও লিঙ্গ স্বাধীনতার নামে বিকৃত মতবাদের সক্রিয়কর্মী বলে দাবি করেন তারা। </p> <p>মানববন্ধনে বক্তারা আলটিমেটাম দিয়ে বলেন, আগামী সাত দিনের মধ্যে পাঠ্যপুস্তক সংশোধন কমিটি থেকে এই দুজনকে বহিষ্কার এবং দেশপ্রেমী ও বিশেষজ্ঞ আলেম-স্কলারকে অন্তর্ভুক্ত না করলে এনসিটিবি ঘেরাওসহ কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।</p>