<article> <p style="text-align: justify;">চট্টগ্রামের কর্ণফুলী থানার আখতারুজ্জামান চত্বর এলাকায় অভিযান চালিয়ে গত ২৯ এপ্রিল বিরল প্রজাতির চশমাপরা হনুমানের দুটি বাচ্চা উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় রাসেল চৌধুরী (৪৫) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। একাধিক সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রাম, তিন পাবর্ত্য জেলা ও কক্সবাজার থেকে ধরা বন্য প্রাণী এভাবে চট্টগ্রাম হয়ে ছড়িয়ে পড়ছে সারা দেশে।</p> <p style="text-align: justify;"><img alt="পাচারের রুট" height="246" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/1.Print/2024/05.May/24-05-2024/mk/kk-2-2024-05-24-01a.jpg" style="float:left" width="300" />গ্রেপ্তারের পর রাসেল চৌধুরী পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, তিনি মূলত বাহক।</p> </article> <article> <p style="text-align: justify;">কক্সবাজারের চকরিয়া থেকে হনুমানের বাচ্চা দুটি তাঁকে বুঝিয়ে দেন একজন। এগুলো নওগাঁ নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। তবে বন্য প্রাণী পাচারের মূল হোতাকে আইনের আওতায় আনতে পারেনি পুলিশ।</p> <p style="text-align: justify;">সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, বন্য প্রাণী পাচারের অন্যতম ট্রানজিট পয়েন্ট হচ্ছে চট্টগ্রাম।</p> </article> <article> <p style="text-align: justify;">পুলিশ এবং বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে শজারু, মুখপোড়া হনুমান, কাক ধনেশ, কচ্ছপ, মেছো বিড়াল, সুন্দি কাছিম, লজ্জাবতী বানর, কাকাতুয়া, গুইসাপ, হনুমান ও বিভিন্ন প্রজাতির সাপ পাচারের সময় জব্দ করেছে।</p> <p style="text-align: justify;">কর্ণফুলী থানার ওসি জহির হোসেন কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘কক্সবাজারের চকরিয়া থেকে এক ব্যক্তি চশমাপরা হনুমানের বাচ্চা দুটি নওগাঁয় পৌঁছে দেওয়ার জন্য রাসেলকে বলেছিলেন। কিন্তু সেই ব্যক্তির বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দিতে পারেননি রাসেল। তাই মূল হোতাকে আইনের আওতায় আনা সম্ভব হয়নি।’</p> </article> <article> <p style="text-align: justify;">বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ চট্টগ্রামের তথ্য মতে, ২০২৩ সালের মার্চ মাস থেকে চলতি বছরের এপ্রিল মাস পর্যন্ত ১৩৫টি অভিযান পরিচালনা করেছে তারা। এসব অভিযানে দুটি শজারু, পাঁচটি মুখপোড়া হনুমান, একটি কাক ধনেশ, ১৬৩টি কচ্ছপ, দুটি মেছো বিড়াল, ১২টি সুন্দি কাছিম, দুটি প্যাঁচা, একটি খয়রা মেছো প্যাঁচা, দুটি বানর, দুটি লজ্জাবতী বানর, একটি কাকাতুয়া, একটি মায়া হরিণ, একটি হনুমান, দুটি ময়না, ৮৩টি মুনিয়া, ৪৬৯টি টিয়া, ১৯টি বনমোরগসহ বিভিন্ন প্রাণী উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার করা সাপের মধ্যে আছে ৪৯টি অজগর, একটি শঙ্খিনী, একটি দাঁড়াশ, একটি কিং কোবরা, চারটি ঘর গিন্নি, ছয়টি পদ্ম গোখরা। এসব বন্য প্রাণী উদ্ধারের ঘটনায় ১৬টি মামলা করা হয়েছে। আর তিনটি ঘটনায় মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জরিমানা করা হয়েছে।</p> </article> <article> <p style="text-align: justify;">পুলিশ ও বন্য প্রাণী সংরক্ষণ বিভাগের কর্মকর্তাদের তথ্য মতে, খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি ও বান্দরবান—এই তিন পার্বত্য জেলার গহিন বনাঞ্চল, কক্সবাজার, চট্টগ্রামের বাঁশখালীর চুনতির গহিন অরণ্য থেকে প্রাণীগুলো ধরা হয়। পাচারের সময় বাহকরা গ্রেপ্তার হলেও জামিনে বের হয়ে তাঁরাই বারবার এসব অপরাধে জড়াচ্ছেন।</p> <p style="text-align: justify;">বন্য প্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের পরিচালক ছানাউল্যা পাটওয়ারী কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘বেশির ভাগ ক্ষেত্রে বাহকরাই ধরা পড়েন। মূল হোতাদের বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায় না, চিনলেও ধরতে পারি না। অনেক সময় দেখা যায় তাঁরা দেশের বাইরে থেকেও এসব পরিচালনা করেন।’</p> </article>