<p>মালয়েশিয়ার জহুর রাজ্যে অভিযান পরিচালনা করে ৮৬ জন অবৈধ প্রবাসী ও একজন স্থানীয় নিয়োগকর্তাকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির অভিবাসন বিভাগ। গত সোমবার থেকে বুধবার পর্যন্ত জহুর রাজ্যের ৪২টি স্থানে অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে ২৩ জন বাংলাদেশি নাগরিক।</p> <p>বৃহস্পতিবার (২৩ মে) মালয়েশিয়ার জহুর অভিবাসন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মোহাম্মদ ফয়জাল শামসুদ্দিনের এক বিবৃতি থেকে এই তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।</p> <p>এদিকে ২৩ বাংলাদেশিসহ গ্রেপ্তারকৃত সকল ব্যক্তিকে দেশটির অভিবাসন আইন লঙ্ঘনে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সেতিয়া ট্রোপিকা অভিবাসন ডিপোতে ১৪ দিনের রিমান্ডে রাখা হয়েছে।</p> <p>বিবৃতিতে জানানো হয়, স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগের ভিত্তিতে গত ৩ দিনের অভিযানে ৮৬ জন বিদেশি নাগরিককে আটক করা হয়েছে। যাদের মধ্যে ছয় মাস বয়সী এক শিশু রয়েছে। জহুর রাজ্যের জহুর বারু, বাতু পাহাত ও সেগামাতের এই অভিযানে স্থানীয় এক ব্যক্তিকেও আটক করা হয়েছে।</p> <p>জোহর রাজ্যে ও মালয়েশিয়ার অভিবাসন বিভাগের এনফোর্সমেন্ট ডিভিশনের অফিসারদের একটি দল, বাতু পাহাত শাখা এনফোর্সমেন্ট ইউনিট এবং সেগামাত শাখা এনফোর্সমেন্ট ইউনিট ৪২টি স্থানে অভিযান পরিচালনা করে।</p> <p>বৈধপাস বা পারমিট ছাড়া কাজ করা এবং বৈধ ভ্রমণ নথি নেই এমন বিদেশিদের বিষয়ে অভিযোগ এবং জনসাধারণের তথ্যের ভিত্তিতে রাজ্যের হটস্পট এলাকায় অপস সাপু, অপস সেলেরা, অপস পিন্টু, অপস মাহির এবং অপস পিক আপের মতো বিভিন্ন নামে এ অভিযান চালানো হয়।</p> <p>বিবৃতিতে আরো জানানো হয়, আটককৃতদের মধ্যে জোহর বাহরু জেলায় ৩১ জন ইন্দোনেশিয়ান, ২২ জন মিয়ানমারের, ৯ জন বাংলাদেশী, ৪ জন পাকিস্তানি ও ১ জন ভারতের নাগরিক রয়েছেন। গ্রেপ্তারকৃতদের বয়স ৬ মাস থেকে ৫১ বছর।</p> <p>এ ছাড়াও এই জেলা থেকে একজন ৪৯ বছর বয়সী স্থানীয় নিয়োগকর্তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদিকে ওই রাজ্যের বাতু পাহাত জেলা থেকে ১৪ জন বাংলাদেশি গ্রেপ্তার করা হয়। যাদের বয়স ২০ থেকে ৪৫ বছর। আর সেগামাত জেলা থেকে ৩ ইন্দোনেশিয়ান ও দুইজন পাকিস্তানি নাগরিক গ্রেপ্তার করা হয়। যাদের বয়স ২২ থেকে ৪৩ বছর।</p> <p>গেপ্তারকৃত প্রবাসী ও নিয়োগকর্তার শাস্তির বিষয় বিবৃতিতে জানানো হয়, অধিকতর তদন্তের জন্য সব বন্দিকে অভিবাসন আইন ১৯৫৯/৬৩ এর আইন (১৫৫) ধারার ৬ (১) (সি) অনুযায়ী সময়সীমা অতিক্রম করার জন্য এবং অভিবাসন রেগুলেশন ১৯৬৩ এর নিয়ম ৩৯ (বি) অনুযায়ী পাসের শর্ত লঙ্ঘনের জন্য সেতিয়া ট্রোপিকা অভিবাসন ডিপোতে ১৪ দিনের রিমান্ডে রাখা হয়েছে। আর স্থানীয় ব্যক্তিকে ধারা ৫৬ (১) (ডি) অনুযায়ী অবৈধ বিদেশিদের আশ্রয় দেওয়ার অপরাধে অভিযুক্ত করা হয়েছে।</p>