<p>মেধাসম্পদ সুরক্ষা সম্মাননা ২০২৩ ঘোষণা করেছে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ কপিরাইট অফিস। সফটওয়্যার উদ্ভাবনা, শিল্প, সাহিত্য ও চলচ্চিত্র এই চার অঙ্গণে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ এই সম্মাননা পেয়েছেন চার ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান। আগামী বছর মেধাসম্পদ সুরক্ষা সম্মাননা-২০২৪ উদযাপনকালে এসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে সম্মাননা হিসেবে ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট দেওয়া হবে।</p> <p>আজ মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বাংলাদেশ কপিরাইট অফিসের সম্মেলন কক্ষে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে মেধাসম্পদের গুরুত্ব’ শীর্ষক সেমিনারে এই ঘোষণা দেওয়া হয়। একইসঙ্গে মেধাসম্পদ সুরক্ষা সম্মাননা-২০২২ বিজয়ীদের মধ্যে ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট বিতরণ করা হয়। </p> <p>এতে প্রধান অতিথি হিসেবে ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট হস্তান্তর করেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব খলিল আহমেদ। এরআগে আন্তর্জাতিক কপিরাইট দিবস উদযাপন উপলক্ষে বাংলাদেশ কপিরাইট অফিসের আয়োজনে সকাল ৯টায় র‍্যালি শেষে এই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।</p> <p>প্রধান অতিথির বক্তব্যে সচিব খলিল আহমেদ বলেন, ‘মিডিয়াতে অনেকেই কপি রাইট অফিসকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করেন, যা উচিত না। কপিরাইট নিয়ে যে সমস্যা আছে, তা জানতে আগামী ১৫-২০ দিনের মধ্যে বড় আকারে একটি সেমিনার করব। সেখানে সবার সুচিন্তিত মতামত চাই। কপিরাইট আইনের কোথায় কি ব্যস্তয় আছে, সেগুলো আমাদের জানাবেন। বড় বড় শিল্পী ও তাদের পরিবারের সহযোগিতার জন্য আমরা সবসময় প্রস্তুত। এ বিষয়ে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। যেসব শিল্পীরা তাদের কাঙ্ক্ষিত সম্মানি থেকে বঞ্জিত, তাদের সমস্যাগুলো শুনবো, এবং তা সমাধানে একটি প্রবিধানমালা গড়তে চাই। সুরক্ষার সব বিষয় এখানে উন্মুক্ত থাকবে।</p> <p>বিশেষ অতিথি হিসেবে কপিরাইট বোর্ড চেয়ারম্যান মো. ইমরুল চৌধুরী বলেন, আমাদের দেশে অনেক শিক্ষিত লোকজনও কপিরাইট বিষয়ে সচেতন না। কপিরাইট নিয়ে আইন হয়েছে, নিজস্ব ভবন হয়েছে, বর্তমানে দক্ষ জনবল নিয়োগের কাজ চলছে। এখন প্রধান কাজ হলো জনগণের মধ্যে কপিরাইটের গুরুত্ব উপস্থাপন করা।</p> <p>সেমিনারে কপিরাইট বিষয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন শেষে মুক্ত আলোচনায় কপিরাইট বোর্ড সদস্য জাফর রাজা চৌধুরী বলেন, আমি বিগত ৫ বছরে ৬ জন সচিব পেয়েছি। কপিরাইট বিষয়টি বোঝার আগেই সচিব পরিবর্তন হয়ে যান। যা এই খাতের সবচেয়ে বড় সমস্যা। আশা করি, নীতিনির্ধারকরা বিয়টি অনুধাবন করে বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করবেন।</p> <p>সেমিনারে মুখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কপিরাইড বিশেষজ্ঞ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের খণ্ডকালীন শিক্ষক খান মাহবুব। সভার সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ কপিরাইট অফিসের রেজিস্ট্রার মো. দাউদ মিয়া, এনডিসি এবং স্বাগত বক্তব্য রাখেন ডেপুটি রেজিস্ট্রার আবুল কাশেম মোহাম্মদ ফজলুল হক।</p>