<p>চাকরি জাতীয়করণসহ ঈদ বোনাস পুনর্বহালের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় দপ্তরি কাম প্রহরী নামক একটি সংগঠন। এর পাশাপাশি উৎসব, বৈশাখী ও শিক্ষা ভাতা পুনর্বহাল, ২০২৩ সালে সরকার ঘোষিত ৫ শতাংশ প্রণোদনা এবং ২৪ ঘণ্টার ডিউটি থেকে মুক্তির দাবি জানায় সংগঠনটি।</p> <p>আজ বুধবার (৩ এপ্রিল) রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক অবস্থান কর্মসূচিতে এসব দাবি জানায় তারা। আট দিন যাবৎ এসব দাবিতে একই স্থানে অবস্থান করে আসছে সংগঠনটি।</p> <p>অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, ২০১৩ সালে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় দপ্তরি কাম প্রহরী আউটসোর্সিং নীতিমালায় নিয়োগ দেওয়া হয়। আমরা সরকারের আস্থা রেখে দীর্ঘ ১১ বছর আউটসোর্সিং নীতিমালায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ২৪ ঘণ্টা দায়িত্ব পালন করে আসছি। বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় দপ্তরি কাম প্রহরী কেন্দ্রীয় পরিষদের প্রচেষ্টায় চাকরি জাতীয়করণের লক্ষ্যে ২০১৮ সালে ১১ জুন সংসদে প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়। এরপর আউটসোর্সিংয়ের পরিবর্তে এই পদটি রাজস্ব খাতে নেওয়ার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানানো হয়। কিন্তু দুঃখের বিষয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় দপ্তরি কাম প্রহরী পদটি আউটসোর্সিং দেখিয়ে চিঠি জারির মাধ্যমে পদটি রাজস্ব খাতে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই বলে জানিয়ে দেয়।</p> <p>বক্তারা আরো বলেন, বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় দপ্তরি কাম প্রহরী কেন্দ্রীয় পরিষদ দ্বিতীয়বার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করলে তারা অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে। এই আলোচনার পর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়কে প্রস্তাব পাঠানোর জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় হতে আজ (বুধবার) পর্যন্ত প্রস্তাবটি পাঠানো হয়নি। আমরা অবিলম্বে আমাদের এই দাবি বাস্তবায়ন চাই। যতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের দাবি বাস্তবায়ন না হবে আমরা কেউ ঘরে ফিরব না।</p> <p>বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় দপ্তরি কাম প্রহরী কেন্দ্রীয় পরিষদের আহ্বায়ক মো. মামুন সরদারের সভাপতিত্বে অবস্থান কর্মসূচিতে আরো অংশ নেয়, সংগঠনটির সদস্যসচিব মো. আব্দুর রহমান, যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মিজানুর রহমান ও মো. শামীম রেজাসহ বঞ্চিত দপ্তরি কাম প্রহরীরা।</p>