<p>সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স ও প্রধানমন্ত্রী মুহাম্মদ বিন সালমান চলতি বছর বাংলাদেশ সফরে আসবেন। তিনি বাংলাদেশ সরকারের এ আমন্ত্রণ গ্রহণ করলেও এখনো সফরের দিন-তারিখ নির্ধারিত হয়নি বলে জানান ঢাকায় ‍নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইউসুফ আল-দুহাইলান। এ সফরের মাধ্যমে উভয় দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছাবে বলে আশা প্রকাশ করেন রাষ্ট্রদূত। </p> <p>আজ বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) রাজধানীর বারিধারায় সৌদি দূতাবাসে পবিত্র রমজান উপলক্ষে বাংলাদেশে খাদ্য ঝুড়ি বিতরণ কর্মসূচীর উদ্বোধনকালে একথা জানান সৌদি রাষ্ট্রদূত। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পশ্চিম এশিয়া বিভাগের পরিচালক শফিকুর রহমান, দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব অঞ্জন চন্দ্র পাল, কেএস রিলিফের পরিচালক আব্দুর রহমান আল-মুতাইরি ও প্রকল্প পরিচালক সালেহ ইউসুফ আবাল খাইল, সুনবুলাহ ওয়েলফেয়ারের চেয়ারম্যন ড. মুহাম্মদ শাকির হুসাইনসহ আরো অনেকে। </p> <p>সৌদি রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘ক্রাউন প্রিন্সের এই সফরে সৌদি আরব ও বাংলাদেশের সাধারণ স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে এবং দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরো জোরদার হবে।’</p> <p>রাষ্ট্রদূত আরো বলেন, ‘সৌদি আরব বাংলাদেশে ১ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের পরিকল্পনা করছে।’ তা ছাড়া এ বছরের মধ্যে সৌদি কোম্পানি রেড সি গেটওয়ে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা বে টার্মিনালের কার্যক্রম শুরু করবে বলে জানান তিনি। </p> <p>পবিত্র রমজান মাসে বাংলাদেশে ১৫ হাজার ৭০০ খাদ্য ঝুড়ি বিতরণ শুরু করেছে সৌদি দাতব্য সংস্থা কিং সালমান হিউম্যানিটেরিয়ান অ্যাইড অ্যান্ড রিলিফ সেন্টার (কেএস রিলিফ)। এর প্রতি ঝুড়িতে রয়েছে চাল, ডাল, তেল, লবণ, চিনিসহ ২৪ কেজি খাদ্য সামগ্রী। দেশীয় দাতব্য সংস্থা সুনবুলাহ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের মাধ্যমে তা রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরসহ দেশের ৩২টি অঞ্চলে বিতরণ করা হবে। </p> <p>সৌদি রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘এই খাদ্য ঝুড়ি বিতরণের মাধ্যমে সৌদি আরব ও বাংলাদেশের মধ্যকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরো গভীর হবে।’</p> <p>সৌদি আরবের সহায়তা সংস্থা কেএস রিলিফ ২০১৫ সালে চালুর পর থেকে বিশ্বের ৯৩টি দেশে মানবসেবামূলক কার্যক্রম চালু রেখেছে। নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোকে উন্নয়ন ও মানবিক সহায়তার অংশ হিসেবে এ সহায়তা করা হয়। এসব দেশে আড়াই হাজারের বেশি প্রকল্পে সংস্থাটি ছয় বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি ব্যয় করেছে। বর্তমানে বাংলাদেশে কেএস রিলিফের ৫২টি প্রকল্প রয়েছে, যেখানে ২১ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি খরচ করা হয়েছে। </p>