<p>নবম পে-স্কেল ঘোষণাসহ বেতন বৈষম্য দূরীকরণে ৬ দাবি জানিয়েছেন ১১ থেকে ২০ তম গ্রেডে কর্মরত সরকারি চাকরিজীবীরা। দাবি আদায়ে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান ছাড়াও ৬৪ জেলার প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধনের ঘোষণা দেন তারা।</p> <p>আজ শুক্রবার (৮ মার্চ) সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবে '১১-২০ গ্রেড সরকারি চাকরিজীবী ফোরাম' এর আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে নেতারা দাবিগুলো উত্থাপন করেন।</p> <p>এ সময় লিখিত বক্তব্য পাঠে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. মাহমুদুল হাসান বলেন, ২০১৫ সালে অষ্টম পে-স্কেল দেওয়া হয়েছে। দীর্ঘ ৯ বছর পার হলেও নবম পে-স্কেল বাস্তবায়নে কোনো উদ্যোগ নেই। আবার পে-স্কেল ৪ বছর পূর্ণ হলেই সব সরকার মহার্ঘ ভাতা দিয়ে থাকে। এখন পর্যন্ত তাও দেওয়া হচ্ছে না। অষ্টম পে-স্কেল ঘোষণার সময় স্থায়ী পে-কমিশন গঠনের কথা ছিল। তাও অদ্যাবধি বাস্তবায়ন হয়নি এবং বাজার প্রবৃদ্ধির সঙ্গে সমন্বয় করে বেতন যে ৫ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে তাও মূল বেতনের সঙ্গে যুক্ত হয়নি।</p> <p>আলোচনায় বক্তারা বলেন, বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি ৫ শতাংশই বহাল আছে। বর্তমান মাসিক বেতন ভাতা দিয়ে কোনো কর্মচারী ১০ দিনের বেশি চলতে পারে না। তাই অতি দ্রুত পে-কমিশন গঠন পূর্বক বৈষম্য মুক্ত নবম পে-স্কেল ঘোষণার মাধ্যমে বেতন বৈষম্য নিরসনসহ বেতন স্কেলের পার্থক্য সমহারে নির্ধারণ ও গ্রেড সংখ্যা কমানোর দাবি জানান তারা।</p> <p>সংগঠনের সভাপতি মো. লুৎফর রহমানের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে সহসভাপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন ও সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আব্দুর রাজ্জাকসহ বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।</p> <p>ছয় দাবির মধ্যে জানানো হয়, পে-কমিশন গঠন পূর্বক বৈষম্য মুক্ত নবম পে-স্কেল ঘোষণা; যে সকল কর্মচারী মূল বেতনের শেষ ধাপে পৌঁছে গেছে তাদের বাৎসরিক বেতন বৃদ্ধি নিয়মিত করা; টাইম স্কেল, সিলেকশন গ্রেড, বেতন জ্যেষ্ঠতা পূণর্বহাল, ব্লক পোস্ট নিয়মিত করনসহ সকল পদে পদোন্নতি বা ৫ বছর পর পর উচ্চতর গ্রেড প্রদান; বাজারমূল্যের ঊর্ধ্বগতির সঙ্গে সমন্বয় পূর্বক সকল ভাতাদি পুনঃনির্ধারণ ও ১১-২০ গ্রেডের চাকরিজীবীদেরও রেশন ব্যবস্থা প্রবর্তন অথবা ন্যায্য মূল্যে সরকারিভাবে পণ্য সরবরাহ করা: সব সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত দপ্তর, অধিদপ্তরে কাজের ধরণ অনুযায়ী পদ নাম ও গ্রেড পরিবর্তনসহ এক ও অভিন্ন নিয়োগবিধি প্রণয়ন করা; এবং সব স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে গ্রাচ্যুয়িটির পরিবর্তে পেনশন প্রবর্তনসহ বিদ্যমান গ্রাচুইটি/আনুতোষিকের হার ৯০ শতাংশের স্থলে শতভাগ নির্ধারণ ও পেনশন গ্রাচুইটি ১ টাকার সমান ৫০০ টাকা নির্ধারণ করা।</p>