<p>১৯৯৪ সালে বেতন-ভাতাসহ জাতীয়করণের দাবিতে আন্দোলন করতে গিয়ে চাকরিচ্যুত হয়েছিলেন কয়েকশ আনসার সদস্য। ২০২২ সালে চাকরিচ্যুত এই সদস্যরা তাদের চাকরি পুনঃবহালের রায় পেয়েছে। তবে এ রায় দ্রুত বাস্তবায়নে তারা প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। </p> <p>আজ মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে এ হস্তক্ষেপ কামনা করে চাকুরিচ্যুত আনসার সদস্যরা।</p> <p>মানববন্ধনে চাকরিচ্যুত আনসার সদস্য আবুল কাশেম বলেন, ‘আমরা আনসার ব্যাটালিয়ন থেকে চাকরিচ্যুত হয়েছি। ১৯৯৪ সালের ১লা ডিসেম্বর সব আনসার সদস্যরা বেতন ভাতাসহ জাতীয়করণের দাবিতে কর্মবিরতি পালন করছিল। ঠিক সেই সময় জামাত বিএনপির সরকার আনসারদের দাবির কথা বিবেচনায় না নিয়ে তাদের কিছু অসাধু নেতার কথায় আনসার বিদ্রোহ নামকরণ করেন। পাশাপাশি আনসারদের প্রতি নির্মম আচরণ করা হয়। যার বলি হয়েছি আমরা শত শত আনসার সদস্যরা। কোনো কারণ ছাড়াই সেনাবাহিনী, বিডিআর ও পুলিশ দ্বারা আনসারদের ঘেরাও করে রাখা হয়। অমানুষিক নির্যাতনের পর অবিচারিকভাবে বন্দী করে রাখা হয় কারাগারে। আবার বিচারবিহীনভাবেই ছেড়ে দেওয়া হয় কারাগার থেকে। দুর্ভাগ্য হলেও সত্য কারাগার থেকে ছেড়ে দিলেও চাকরি থেকে করা হয় বহিষ্কার।'</p> <p>তিনি আরো বলেন, ‘আনসার বিদ্রোহ মামলায় হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে সরকারপক্ষের করা আপিল বিভাগের রায়ের সন্তুষ্টি প্রকাশ করছি। প্রায় তিন দশক ধরে দুঃখ কষ্টে, অর্ধাহারে ও অনাহারে থাকা চাকরিচ্যূত আনসারদের পক্ষে আপিল বিভাগের দেওয়া পুনঃবহাল রায় অতিদ্রুত বাস্তবায়ন প্রয়োজন। আমরা এই রায় বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ একান্তভাবে কামনা করছি।’</p>