<p>দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে স্থানীয় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা দিতে আজ বুধবার থেকে মাঠে নামছে সশস্ত্র বাহিনী। ভোটগ্রহণের আগে, ভোটগ্রহণের দিন ও পরে শান্তি-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখতে আগামী ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত বাহিনীর সদস্যরা মাঠে থাকবেন। এ সময়ে সশস্ত্র বাহিনী কী দায়িত্ব পালন করবে তা জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।</p> <p>মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের পরিপত্র অনুযায়ী, ফৌজদারি কার্যবিধি ও অন্যান্য বিধান অনুসারে এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জারিকৃত বিধান অনুযায়ী সশস্ত্র বাহিনী পরিচালিত হবে।</p> <p>সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা প্রতিটি জেলা, উপজেলা বা মহানগর এলাকার নোডাল পয়েন্ট এবং সুবিধাজনক স্থানে নিয়োজিত থাকবেন। ভোটগ্রহণের দিন, এর আগে ও পরে কার্যক্রম গ্রহণ ও মোতায়েনের সময়কালসহ বিস্তারিত পরিকল্পনা অবহিত করতে হবে। এ ছাড়া, বাস্তবতা ও প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাদের অনুরোধক্রমে চাহিদামতো আইনানুগ অন্যান্য কার্যক্রম সম্পাদন করবে সশস্ত্র বাহিনী।</p> <p>রিটার্নিং বা প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে ভোটকেন্দ্রের অভ্যন্তরে কিংবা ভোট গণনা কক্ষের শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে দায়িত্ব পালন করবে। উপকূলবর্তী এলাকায় নৌবাহিনী প্রয়োজন অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করবে।</p> <p>পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রয়োজন অনুযায়ী নির্দেশক্রমে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক বা মহাসড়কগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। বিমানবাহিনী প্রয়োজনীয়সংখ্যক হেলিকপ্টার দিয়ে নির্বাচন কমিশন সচিবালয় ও বাহিনীগুলোর অনুরোধে কাজ করবে। </p> <p>পরিপত্রে বলা হয়েছে, ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তায় মহানগর এলাকা, এলাকার বাইরে এবং পার্বত্য ও দুর্গম এলাকার সাধারণ ভোটকেন্দ্রে ১৫ থেকে ১৬ জন ও গুরুত্বপূর্ণ (ঝুঁকিপূর্ণ) ভোটকেন্দ্রে ১৬ থেকে ১৭ জন পুলিশ, আনসার ও গ্রাম পুলিশের ফোর্স মোতায়েন থাকবে। প্রয়োজনে রিটার্নিং কর্মকর্তা এ সংখ্যা বাড়াতে পারবেন।</p> <p>নির্বাচন কমিশন থেকে আগেই জানানো হয়েছে, এবারের নির্বাচনে পাঁচ লাখ ১৬ জন্য আনসার সদস্য, এক লাখ ৮২ হাজার ৯১ জন পুলিশ ও র‌্যাব সদস্য, দুই হাজার ৩৫০ জন কোস্ট গার্ড সদস্য এবং ৪৬ হাজার ৮৭৬ জন বিজিবি সদস্য নিয়োজিত থাকবেন।</p> <p>সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর কত জন সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন তা নির্দিষ্ট করে জানা যায়নি। তবে সশস্ত্র বাহিনীর প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার সম্প্রতি জানিয়েছিলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩৫ হাজার সদস্য নিয়োজিত ছিলেন। এবার প্রয়োজনে এর চেয়ে বেশি মোতায়েন করা হতে পারে।</p> <p><strong>এলাকাভিত্তিক দায়িত্ব</strong><br /> গতকাল মঙ্গলবার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এর পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ৬২ জেলায় সেনাবাহিনী, সমতলে সীমান্তবর্তী ৪৫ উপজেলায় এককভাবে বিজিবি ও উপকূলীয় ৪টি উপজেলায় কোস্টগার্ড বিজিবি ও সেনাবাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে দায়িত্ব পালন করবে।  </p> <p>উপকূলীয় দুটি জেলাসহ (ভোলা ও বরগুনা) মোট ১৯টি উপজেলায় বাংলাদেশ নৌবাহিনী দায়িত্ব পালন করবে। বাংলাদেশ বিমান বাহিনী হেলিকপ্টার যোগে দূর্গম পার্বত্য অঞ্চলের ভোটকেন্দ্রে সহায়তায় নিয়োজিত থাকবে। এছাড়া জরুরি প্রয়োজনে নির্বাচনী সহায়তা প্রদানের জন্য বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রয়োজনীয় সংখ্যক হেলিকপ্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে।</p>