<p>ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার রাজধানীর ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জয় গোপাল সরকারকে পৃথক চার মামলায় জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। নিম্ন আদালতে পাসপোর্ট জমা রাখার শর্তে এই জামিন দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে নিম্ন আদালতকে দ্রুত মামলার বিচার সম্পন্ন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।</p> <p>বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি এস এম মজিবুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এ রায় দেন। জামিন প্রশ্নে জারি করা রুলের ওপর শুনানি শেষে শর্ত সাপেক্ষে এই জামিন মঞ্জুর করে রায় দিলেন আদালত। আদালতে জয় গোপালের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন সাবেক খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মো. কামরুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট আবদুর রহমান হাওলাদার ও মুনমুন নাহার। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান ও শাহীন আহমেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।</p> <p>ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে ২০১৯ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর গেন্ডারিয়ায় এনু-রুপনের বাড়িতে অভিযান চালায় র‌্যাব। তাদের বাসায় টয়লেটে স্বর্ণের কমোট পাওয়া যায়। সেখান থেকে বিপুল পরিমাণ নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার জব্দ করা হয়। এরপর ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের কর্মচারী আবুল কালাম ও এনুর বন্ধু হারুন অর রশিদের বাসায় অভিযান চালানো হয়। ওই অভিযানে ৫ কোটি ৫ লাখ টাকা, ৮ কেজি স্বর্ণালঙ্কার ও ৬টি আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ করে র‌্যাব। এরই ধারাবাহিকতায় গত বছরের ১৩ জানুয়ারি এনু ও রুপনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর তারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তাদের জবানবন্দিতে জয় গোপাল সরকারের নাম উঠে আসায় তাকে গত বছরের ১৩ জুলাই গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে ২০১৯ সালে গেণ্ডারিয়া, সূত্রাপুর ও ওয়ারী থানায় করা পৃথক চার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। গেণ্ডারিয়া থানায় ওই বছরের ২৫ মে একটি (মামলা নম্বর ২৮), সূত্রাপুর থানায় ২৬ সেপ্টেম্বর দুটি (মামলা নম্বর ২৭ ও ২৯) এবং ওয়ারী থানায় ২৫ সেপ্টেম্বর একটি (মামলা নম্বর ৩৪) মামলা করা হয়। গত বছরের ২২ জুলাই এসব মামলায় অভিযোগপত্র দাখিল করেছে সিআইডি। গেণ্ডারিয়া থানার মামলায় ১৬ জন, সূত্রাপুরের দুটি মামলায় ১৫ ও ১০ জন করে এবং ওয়ারী থানার মামলায় ১১ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।</p> <p>মামলার অভিযোগে বলা হয়, জয় গোপাল ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের একজন ফুটবলার ছিলেন। অবসরে গিয়ে পরিচালনা পর্ষদের সদস্য, পরে ক্যাশিয়ারের দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৪ সালে ক্লাবটির সাধারণ সম্পাদক হয়ে এনু-রুপনের সঙ্গে সখ্য গড়ে তোলেন এবং ক্লাবে ক্যাসিনো পরিচালনায় প্রত্যক্ষ সহযোগিতা করেন।</p>