<p>বিদায় নিলেন ঢামেক হাসপাতাল পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন। আজ রবিবার দুপুরে সকল কর্মকর্তা, কর্মচারী, চিকিৎসক, নার্সদের কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বিদায় নেন তিনি। তিনি ৫০তম পরিচালক হিসাবে ২০১৭ সালে থেকে দায়িত্ব পালন করেছেন।</p> <p>বিদায়ের আগে রবিবার সকাল ১০টায় হাসপাতালে অবস্থিত "বাংলাদেশ মেডিকেল রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন" (বিএমআরএ) এর কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে বিদায়ী অনুষ্ঠানে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একেএম নাসির উদ্দিন বলেন, আমি হাসপাতালে যোগদানের পর থেকে শুনতে থাকি হাসপাতালে জায়গা নেই, যন্ত্রপাতি নেই, জনবল নেই। এসব গল্প বলে বলে এই অগনিত মানুষের সমস্যার সমাধান হয় না। আমি আসার পর চেষ্টা করেছি আমাদের যা কিছু আছে তার মধ্যে আরো নতুন কিছু সংযোজন করে রোগীদের সেবার মান বাড়ানোর। যোগদানের পর পর্যায়ক্রমে হাসপাতালের জরুরী বিভাগ সহ সব বিভাগ কে উন্নত করা হয়েছে। এছাড়া নতুন নতুন বিভাগও চালু করা হয়েছে।</p> <p>তিনি আরো বলেন, দেশে করোনার শুরু থেকে মানুষের মনে আতঙ্ক ছিলো। আমি পরিচালক হিসেবে সেটিকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছি এবং বন্ধের দিনও হাসপাতালে এসে চিকিৎসক, কর্মচারীদের সাথে কাজ করেছি। আমাদের হাসপাতালের অনেক চিকিৎসক রোগীদের সেবা দিতে গিয়ে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। এছাড়া অনেক কর্মকর্তা কর্মচারীরাও করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। যেহেতু আমি ঢামেক পরিচালক আমার যদি করোনা পরিক্ষার পরে পজেটিভ রিপোর্ট আসতো তাহলে আইসোলেশনে থাকতে হতো, তখন হাসপাতাল চালাতো কে। এই কথা চিন্তা করে করোনা পরীক্ষা করাইনি। স্বাস্থ্যবিধি মেনে হাসপাতালের সকলকে নিয়ে করোনা রোগীদের চিকিৎসা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আজ আমার হাসপাতালে শেষ দিন। আজ করোনা পরিক্ষা করিয়ে যাবো।</p> <p>সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা সব সময় আমাদের সাথে নিবিড়ভাবে কাজ করেছেন। আমাদের যে সমালোচনা হয়েছে তা আমাদের কিছু ব্যর্থতার কারণেই হয়েছে। এ সময় হাসপাতালের নতুন পরিচালকের উদ্দেশ্যে বলেন, তিনি আরো অভিজ্ঞ, আশা করি তিনিও হাসপাতালের সেবার মান আরো উন্নত করবেন।</p> <p>এ সময় উপস্থিত ছিলেন হাসপাতালটির নতুন পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ নাজমুল হক, উপ পরিচালক ডাঃ আলাউদ্দিন আল আজাদ, সহকারী পরিচালক ডাঃ মোসাদ্দেক হোসেন, ঢামেক নার্সদের নেতা মোঃ কামাল পাটুয়ারী ও বিএমআরএ এর সভাপতি মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন বাবুসহ সংগঠনের সব সাংবাদিক নেতারা।</p> <p>হাসপাতালের নতুন পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ নাজমুল হক সাংবাদিকদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, আমারও ছোট বড় কয়েকটি হাসপাতালে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে। কিন্তু ঢাকা মেডিকেল কলেজ অনেক বড় একটি হাসপাতাল। এরই মধ্যে আমি একদিন রাত ৩টার দিকে হাসপাতালে এসেছিলাম। তখন দেখি হাসপাতালের জরুরি বিভাগসহ সবখানেই রোগীদের সেবার জন্য ব্যস্ত সময় পার করছে সকলেই।</p> <p>বিদায়ী পরিচালককে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, স্যারের কাছ থেকে অনেক কিছুই শিখেছি, অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি। তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশে করে বলেন, সাংবাদিকরা হলেন আয়না, আমি যা করছি, তা আপনাদের দ্বারাই প্রকাশিত হবে। অনুষ্ঠানের শুরুতেই সংগঠনের (বিএমআরএ) পক্ষ থেকে সদ্য বিদায়ী পরিচালক ও নতুন পরিচালককে ফুলের শুভেচ্ছা জানানো হয়।</p>