<p>রাসুল (সা.) প্রাত্যহিক জীবনের বিভিন্ন শিষ্টাচার শিখিয়েছেন। হাঁচির সময় পঠিত দোয়া ও এর উত্তরে কী পড়া হবে তাও হাদিসে এসেছে। হাঁচি দেওয়ার পর আল্লাহর প্রশংসা করা সুন্নত। তা শুনলে হাঁচিদাতার জন্য আল্লাহর অনুগ্রহের দোয়া পড়াও সুন্নত। প্রত্যুত্তরে হাঁচিদাতা অন্যদের জন্য কল্যাণের দোয়া করবে। </p> <p>আবদুল্লাহ বিন মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যখন তোমাদের কেউ হাঁচি দেবে সে যেন বলে, </p> <p><strong><span style="font-size:24px">الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ </span></strong></p> <p>উচ্চারণ : ‘আলহামদুলিল্লাহি রব্বিল আলামিন’। অর্থ : ‘সব প্রশংসা মহান আল্লাহর জন্য যিনি উভয় জগতের প্রতিপালক’।</p> <p>এরপর তার জন্য যেন অন্যরা এই দোয়া পড়ে-</p> <p><span style="font-size:24px"><strong>يَرْحَمُكَ اللَّهُ </strong></span></p> <p>উচ্চারণ : ‘ইয়ারহামকাল্লাহ’। অর্থ : ‘মহান আল্লাহ আপনার ওপর অনুগ্রহ করুন’।</p> <p>এমন দোয়া শুনলে সে যেন পড়ে- </p> <p><span style="font-size:24px"><strong>يَهْدِيكُمُ اللَّهُ ويُصْلِحُ بالَكُمْ</strong></span></p> <p>উচ্চারণ : ইয়াহদিকুমুল্লাহ ওয়া ইউসলিহু বালাকুম’। অর্থ : ‘মহান আল্লাহ তোমাদের সুপথ প্রদর্শন করুন এবং তোমাদের অবস্থা শুদ্ধ করুন’।</p> <p>অন্য বর্ণনায় এসেছে, সে বলবে- </p> <p><span style="font-size:24px"><strong>يَغْفِرُ اللَّهُ لَنَا وَلَكُمْ</strong></span></p> <p>উচ্চারণ : ‘ইয়াগফিরুল্লাহু লানা ওয়া লাকুম।’ অর্থ : ‘মহান আল্লাহ আপনাদের ও আমাদের ক্ষমা করুন’। </p> <p>(সহিহ বুখারি, হাদিস নং : ৬২২৪, আবু দাউদ, হাদিস নং : ৫০৩১)</p>