<article> <p align="left">স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের ক্ষেত্রে শুধু খাদ্যাভ্যাস ও ব্যায়াম নয়, মানবদেহের অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়াগুলোরও প্রভাব রয়েছে বলে এক নতুন সমীক্ষায় দাবি করা হয়েছে। অন্ত্রে কোন ভাইরাসগুলো বাস করে এবং সেগুলো কোন কোন ব্যাকটেরিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করে সে ব্যাপারেও ধারণা পাওয়া গেছে এ গবেষণায়। পাকস্থলী থেকে মলদ্বার পর্যন্ত দীর্ঘ নাড়িকে সাধারণভাবে অন্ত্র বলা হয়, যার মূলত দুটি অংশ আছে।</p> <p align="left">অনেক বছর ধরেই গবেষকরা অন্ত্রের অণুজীবের বৈচিত্র্যের ওপর গবেষণা চালিয়ে মূলত সেখানে বসবাসরত ব্যাকটেরিয়ার ওপরই দৃষ্টি নিবদ্ধ করেছেন।</p> </article> <p>সম্প্রতি পরিচালিত নরওয়েজীয় গবেষণায় ভাইরাস কিভাবে অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করে সেই প্রক্রিয়াটি ঘনিষ্ঠভাবে দেখা হয়েছে। এতে হাজার হাজার অজানা ভাইরাসের সন্ধান পেয়েছেন বলে জানান গবেষকদলের নেতৃত্বদানকারী অসলো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ট্রিন বি রাউঞ্জ। তাঁদের গবেষণার ফলাফল সম্প্রতি আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন জার্নাল ‘দ্য নেচার কমিউনিকেশনে’ প্রকাশিত হয়েছে। নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করে গবেষকরা বিভিন্ন দেশের এক হাজারেরও বেশি মানুষের মল পরীক্ষা করেছেন।</p> <p>তাঁরা  অন্ত্রে প্রায় ২০ হাজার বিভিন্ন ধরনের ভাইরাসের সন্ধান পেয়েছেন। এর দুই-তৃতীয়াংশই এর আগে অজানা ছিল। গবেষকদলের নেতা অধ্যাপক ট্রিন বি রাউঞ্জের মতে, বিভিন্ন মানুষের অন্ত্রের অণুজীব সম্ভারের গঠন প্রক্রিয়া ভিন্ন হওয়ায় ভাইরাসের সংখ্যায় রয়েছে ভিন্নতা। নির্দিষ্ট প্রশ্নাবলির মাধ্যমে জরিপ চালিয়ে এবং নরওয়ের চিকিৎসকদের দেওয়া ব্যবস্থাপত্র পর্যালোচনার মাধ্যমে জরিপে অংশগ্রহণকারীদের জীবনধারা সম্পর্কে গবেষকরা প্রচুর তথ্য পেয়েছেন।</p> <p>কিছু সাধারণ ভাইরাস এবং অংশগ্রহণকারীদের জীবনধারার মধ্যে এক ধরনের যোগসূত্র দেখা গেছে। সংশ্লিষ্ট গবেষকরা দেখেছেন ধূমপান, ব্যায়াম এবং আঁশসমৃদ্ধ খাদ্য গ্রহণের অভ্যাসের ওপর ভিত্তি করে ব্যক্তিভেদে ভাইরাসের উপস্থিতি পরিবর্তিত হয়।  অধ্যাপক রাউঞ্জ বলেন, ‘সবাই জানতেন, অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়া খাদ্য এবং জীবনধারা দ্বারা প্রভাবিত হয়। কিন্তু আমরা এটা দেখে অবাক হয়েছি যে শুধু ব্যাকটেরিয়া নয়, ভাইরাসের ক্ষেত্রেও একই প্রক্রিয়াগত সংযোগ রয়েছে। এই গবেষণা অনুসারে, ধূমপান এবং শারীরিক নিষ্ক্রিয়তা উভয়ই অন্ত্রের ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়।’</p> <article> <p>এ গবেষণার দুর্বলতা প্রসঙ্গে অধ্যাপক রাউঞ্জ বলেন, ‘আমরা শুধু মলে রক্তযুক্ত ব্যক্তিদেরই পরীক্ষা করেছি, যদিও তা অন্ত্রে ভাইরাসের গঠন প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করে না।’ নরওয়েতে এটি এ পর্যন্ত এ ধরনের সবচেয়ে বড় গবেষণা। এটি আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটেও অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে গবেষকদলটি।</p> </article>