<article> <p style="text-align: justify;">মালয়েশিয়া তাদের কাছ থেকে পাম তেল কেনা দেশগুলোর জন্য ‘ওরাংওটান কূটনীতি’ কর্মসূচি চালু করতে যাচ্ছে। এই কর্মসূচি চীনের আলোচিত ‘পান্ডা কূটনীতি’ থেকে অনুপ্রাণিত জানিয়ে দেশটির মন্ত্রী জোহারি আবদুল গনি বলেন, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে মালয়েশিয়ার প্রতিশ্রুতি তুলে ধরার অংশ হিসেবে এই কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে।</p> <p style="text-align: justify;">ইন্দোনেশিয়ার পর বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম বড় ভোজ্য তেল উৎপাদনকারী দেশ মালয়েশিয়া। তবে পাম তেল উৎপাদনসহ ব্যাপক শিল্পায়নের কারণে বন উজাড় হওয়ায় বনমানুষজাতীয় প্রাণী ওরাংওটানের আবাসস্থল মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।</p> </article> <article> <p style="text-align: justify;">ওরাংওটান শুধু ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা ও প্রতিবেশী মালয়েশিয়ায় আংশিকভাবে অন্তর্ভুক্ত বোর্নিও দ্বীপে বাস করে। বোর্নিওর বাকি অংশে আছে ব্রুনেই নামের ক্ষুদ্র তেলসমৃদ্ধ দেশ। আন্তর্জাতিক পরিবেশ ও বন্য প্রাণী সংরক্ষণ সংগঠন ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচারসের (আইইউসিএন) হিসাব অনুযায়ী মানুষের চাপ ও আবাসস্থল কমে যাওয়ায় বোর্নিও দ্বীপে ওরাংওটানের সংখ্যা ২০২৫ সালের মধ্যে ৪৭ হাজারে নেমে আসবে। অন্যদিকে সুমাত্রা দ্বীপে মাত্র ১৩ হাজার ৫০০টি ওরাংওটান আছে।</p> </article> <article> <p style="text-align: justify;">মালয়েশিয়ার মন্ত্রী আবদুল গনি বলেন, পাম তেলের ক্রেতা চীন, ভারত ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের কয়েকটি দেশ সম্ভবত সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে ওরাংওটান নেবে। তবে কর্মসূচিটি কিভাবে বাস্তবায়িত হবে অথবা কবে নাগাদ শুরু হবে, তা স্পষ্ট করেননি তিনি। এক সম্মেলনে মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের বিশ্বকে দেখাতে হবে—মালয়েশিয়া একটি টেকসই পাম তেল উৎপাদনকারী দেশ এবং বনভূমি রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’</p> <p style="text-align: justify;">চীনে অনেক দিন ধরে অতি বিরল প্রাণী পান্ডার প্রজনন কর্মসূচি পরিচালিত হচ্ছে। বিশেষ যত্ন নেওয়ার শর্তে বিভিন্ন দেশকে ১০ বছরের জন্য পান্ডা ধার দিয়ে থাকে চীন। এর অংশ হিসেবে ২০১৪ সালে দুটি পান্ডা পেয়েছে মালয়েশিয়া। তাদের যত্নে রাখতে কুয়ালালামপুরের জাতীয় চিড়িয়াখানায় বিলাসবহুল শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত আবাসস্থল বানিয়েছে দেশটি।</p> </article> <article> <p style="text-align: justify;">ওরাংওটানের কৃত্রিম প্রজননের কোনো কর্মসূচি নেই মালয়েশিয়ার। তবে বোর্নিও দ্বীপের সারাওয়াক ও সাবাহয় এদের জন্য রয়েছে সংরক্ষণকেন্দ্র। এ ছাড়া প্রাণীটির আবাসস্থল পুনরুদ্ধারে কাজ করছে বেশ কয়েকটি বেসরকারি সংস্থা (এনজিও)।</p> <p style="text-align: justify;">সূত্র : <strong>আলজাজিরা</strong></p> </article>