আধুনিক মডেলের প্রায় সব গাড়িতেই এখন ডিস্ক ব্রেক দেওয়া হয়। এর কার্যকারিতা নির্ভর করে ডিস্ক ব্রেক অয়েল বা ব্রেক ফ্লুইডের ওপর। যা নির্দিষ্ট সময় অন্তর অন্তর বদলাতে হয়। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায় তার উল্টো।
ব্রেক অয়েলের কাজ কী, কত দিন পর বদলাতে হয়
জীবনযাপন ডেস্ক

ডিস্ক ব্রেক এমন প্রযুক্তি, যাতে চোখের নিমেষে গাড়ি থামানো বা গতি কমানো যায়। এতে চাকার সঙ্গে যুক্ত ডিস্কের ওপর ব্রেক প্যাড চাপ দেয়, ফলে ঘর্ষণ তৈরি হয়। এই ঘর্ষণ গতির শক্তিকে তাপে পরিণত করে।
টু হুইলার বিশেষজ্ঞরা বলেন, নির্দিষ্ট সময় অন্তর অন্তর ডিস্ক ব্রেক অয়েল পরিবর্তন করতেই হবে। কারণ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এটা আর্দ্রতা শুষে নেয়।
ব্রেক অয়েল কখন বদলানো উচিত
প্রতি ২ বছর অন্তর কিংবা ২০ হাজার থেকে ৩০ হাজার কিলোমিটার গাড়ি চালানোর পর ব্রেক অয়েল বদলাতে হয়।
নতুন ব্রেক ফ্লুইড সাধারণত হালকা হলুদ রঙের হয়। দেখতেও স্বচ্ছ। অনেক সময় ব্রেল অয়েল লিক করে। ব্রেক লিভার চাপলে তেল পড়ে। এই পরিস্থিতিতে দ্রুত পরীক্ষা করানো জরুরি।
ব্রেক অয়েল না বদলালে কী হতে পারে
ব্রেকের ক্ষমতা কমে যাবে। তখন ব্রেক চাপলেও গাড়ি সহজে থামবে না। ব্রেক জ্যাম হয়ে যেতে পারে। তখন চাকা লক হয়ে স্কিড করার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। ব্রেক অয়েল অত্যধিক গরম হয়ে গেলে টগবগ করে ফুটতে শুরু করে। এটি খুবই বিপজ্জনক। গরমের সময় বা খুব স্পিডে গাড়ি চালালে ব্রেক ফেল করতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যারা নিয়মিত গাড়ি চালান, বিশেষ করে হাইওয়েতে কিংবা পাহাড়ি এলাকায়, তাদের এর চেয়েও কম সময়ের ব্যবধানে ব্রেকিং ফ্লুইড বদলানো উচিত। যাতে ব্রেকিং পারফরম্যান্স সব সময় সর্বোচ্চ পর্যায়ে থাকে। তাতে দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়।
সূত্র : নিউজ ১৮
সম্পর্কিত খবর

প্রতি মাসে সব কর্মীর বেতন পর্যালোচনা করেন এনভিডিয়া সিইও
এনডিটিভি

এনভিডিয়ার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) জেনসেন হুয়াং জানিয়েছেন, তিনি প্রতি মাসে প্রতিষ্ঠানের ৪২ হাজার কর্মীর সবার বেতন পর্যালোচনা করেন, যা তার ব্যবস্থাপনা পদ্ধতির মূল অংশ।
অল-ইন পডকাস্টে তিনি আরো বলেন, প্রতিটি বেতন চক্র শেষে তিনি মেশিন লার্নিং ও অন্যান্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে মাসিক বেতনের তথ্য বিশ্লেষণ করেন এবং প্রয়োজন অনুযায়ী সমন্বয় করেন।
হুয়াং বলেন, ‘আমাকে সবার বেতনের সুপারিশ পাঠানো হয়, আমি পুরো কম্পানির তালিকা দেখি, আর ১০০ শতাংশ ক্ষেত্রেই অপারেটিং ব্যয়ে বাড়তি বরাদ্দ দিই। মানুষের যত্ন নিলে বাকি সব ঠিক হয়ে যায়।
তার মতে, এই কৌশল শীর্ষ নেতৃত্ব ধরে রাখতে সহায়ক ভূমিকা রেখেছে। তিনি দাবি করেন, ‘আমার ব্যবস্থাপনা দলে আমি অন্য যেকোনো সিইওর চেয়ে বেশি বিলিয়নেয়ার তৈরি করেছি।’
গত বছর হুয়াং ফোর্বসের বিশ্বের শীর্ষ ১০ ধনী ব্যক্তির তালিকায় স্থান পান এবং এ বছর ফরচুনের ব্যবসায় বিশ্বের ১০০ প্রভাবশালী ব্যক্তির তালিকায় শীর্ষে উঠে আসেন।

যেভাবে বাড়াবেন মোবাইল ফোনে ইন্টারনেট স্পিড
অনলাইন ডেস্ক

এই সময়ের দৈনন্দিন জীবনে ইন্টারনেট ছাড়া চলার কথা যেন কল্পনাই করা যায় না। কিন্তু হঠাৎ মোবাইল ইন্টারনেটের স্পিড কমে গেলে নানা গুরুত্বপূর্ণ কাজে সৃষ্টি হয় বিঘ্ন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার থেকে শুরু করে অনলাইন ক্লাস, অফিসের জরুরি মেইল বা ভিডিও কনফারেন্স— সবকিছুতেই দেখা দেয় অসুবিধা, বাড়ে ভোগান্তি।
যদিও কিছু সাধারণ সেটিংস পরিবর্তন এবং কার্যকর কিছু পদক্ষেপ নিলেই মোবাইল ইন্টারনেটের ধীরগতির সমস্যা দূর করা সম্ভব।
ফোন রিস্টার্ট করুন
মোবাইল ধীরগতিতে কাজ করলে প্রথমেই ফোনটি রিস্টার্ট করে দেখতে পারেন। এতে অনেক সময় ফোনের ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যাপ, টেম্পোরারি বাগ এবং নেটওয়ার্ক সংযোগজনিত সমস্যা আপনা-আপনি সমাধান হয়ে যায়।
নেটওয়ার্ক মোড ঠিক করুন
নেটওয়ার্ক সেটিংসে গিয়ে চেক করুন ফোনটি ৪জি বা ৫জি মোডে রয়েছে কি না। অনেক সময় ২জি বা ৩জি মোডে থাকলে ইন্টারনেট স্পিড অপ্রত্যাশিতভাবে কমে যায়।
পদ্ধতি:
Settings > Mobile Network > Preferred Network Type > Select 4G/5G
ফোন আপডেট দিন
সফটওয়্যার আপডেট না দিলে ফোনের পারফরম্যান্স ও নেটওয়ার্ক উভয়ই প্রভাবিত হতে পারে। তাই ডিভাইসে কোনো আপডেট এলে দ্রুত সেটি ইনস্টল করে নিন।
ক্যাশ মেমোরি ও অপ্রয়োজনীয় ফাইল পরিষ্কার
মোবাইলের স্টোরেজ ভরে গেলে বা ক্যাশ জমে গেলে ফোন ধীরগতির হয়। ফলে ইন্টারনেট ব্যবহারে সমস্যা হয়।
পদ্ধতি:
Settings > Storage > Clear Cache/Data
ফ্লাইট মোড অন-অফ করুন
হঠাৎ স্পিড কমে গেলে ফোনের ফ্লাইট মোড কয়েক সেকেন্ডের জন্য চালু করে আবার বন্ধ করুন। এতে নেটওয়ার্ক রিফ্রেশ হয়ে ইন্টারনেট গতিতে উন্নতি আসতে পারে।
ব্রাউজার পরিবর্তন করুন
অনেক সময় ব্যবহৃত ব্রাউজারটি স্পিড কমানোর জন্য দায়ী হতে পারে। Chrome-এর বদলে Opera Mini, Firefox Lite ইত্যাদি হালকা ব্রাউজার ব্যবহার করে দেখতে পারেন।
স্পিড বুস্টিং অ্যাপ ব্যবহার
Google Play Store-এ বেশ কিছু অ্যাপ রয়েছে যা মোবাইল ইন্টারনেট স্পিড বাড়াতে সহায়ক হতে পারে।
উল্লেখ্য, নির্দিষ্ট কোনো জায়গায় নেটওয়ার্ক সমস্যার জন্য ইন্টারনেট স্পিড কমে গেলে মোবাইল অপারেটরের কাস্টমার সার্ভিসে যোগাযোগ করাও কার্যকর হতে পারে।

হোয়াটসঅ্যাপে যুক্ত হলো নতুন ফিচার, পাবেন যেসব সুবিধা
অনলাইন ডেস্ক

হোয়াটসঅ্যাপ আরো এক ধাপ এগিয়ে গেল ব্যবহারকারীদের অভিজ্ঞতা উন্নত করতে। নতুন ভয়েস চ্যাট ফিচারের মাধ্যমে এবার আপনি সরাসরি মেটা এআইয়ের সঙ্গে রিয়েল টাইমে কথা বলতে পারবেন—একটি স্মার্ট, দ্রুত ও হ্যান্ডস-ফ্রি যোগাযোগের অভিজ্ঞতা। টাইপ করার ঝামেলা ছাড়াই জানতে পারবেন তথ্য, নিতে পারবেন সাহায্য, এমনকি ব্যাকগ্রাউন্ডেও চলবে এই ভয়েস চ্যাট!
এই আপডেট বিশেষভাবে কাজে আসবে ড্রাইভিং, মাল্টিটাস্কিং বা চলাফেরায় অসুবিধা থাকা ব্যক্তিদের জন্য। নতুন ইন্টারফেস, সহজ নিয়ন্ত্রণ এবং গোপনীয়তা সুরক্ষার মাধ্যমে এটি হয়ে উঠেছে আরো স্মার্ট ও নিরাপদ।
ডব্লিউবেটা ইনফোর তথ্য অনুসারে, আইওএস ২৫.২১.১০.৭৬ আপডেট ভার্সনটি আগামী সপ্তাহগুলোয় আরো ব্যাপকভাবে চালু হবে। হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীরা চ্যাট ট্যাবে ওয়েভফর্ম আইকনে ট্যাপ করে মেটা এআইয়ের সঙ্গে একটি ভয়েস সেশন শুরু করতে পারবেন।
এ ছাড়া হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীরা এই ট্যাব থেকে মেটা এআই খোলার সময় স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভয়েস চ্যাট শুরু করার জন্য সেটিং করতে পারবেন। এ সেটিংটি ডিফল্টরূপে বন্ধ থাকে, যা ব্যবহারকারীদের ভয়েস ইন্টারঅ্যাকশন কখন শুরু হবে তার ওপর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ দেয়।
কিছু ব্যবহারকারীকে অতিরিক্ত কোনো পদক্ষেপ ছাড়াই কল ট্যাব থেকে সরাসরি মেটা এআইয়ের সঙ্গে তাৎক্ষণিকভাবে একটি ভয়েস কথোপকথন শুরু করার অনুমতি দেয়।
আপডেট করা ইন্টারফেসে ব্যবহারকারীদের বিভিন্ন বিষয়ে কথোপকথন শুরু করতে সাহায্য করার জন্য আগে থেকেই একটি পরামর্শমূলক প্রম্পট যুক্ত করা রয়েছে। বিশেষ করে যারা মেটা এআইকে কী জিজ্ঞাসা করবেন বা বলবেন তা নিশ্চিত নন, তাদের জন্য দরকারি।
এ ছাড়া ব্যবহারকারীরা তাদের প্রশ্ন বা বার্তাগুলো দৃশ্যমান করার জন্য টেক্সট ইনপুট এরিয়ার মধ্যে তাদের গ্যালারি বা ক্যামেরা থেকে দ্রুত ছবি সংযুক্ত এবং শেয়ার করতে পারবেন।
‘কোলাপস’ আইকনে ট্যাপ করে ব্যবহারকারীরা অন্যান্য অ্যাপে স্যুইচ করার সময় মেটা এআইয়ের সঙ্গে ভয়েস চ্যাট ব্যাকগ্রাউন্ডে চলতে পারে। এটি মেটা এআইকে ব্যবহারকারীদের জোরে নোট পড়ার সময় বা ওয়েবসাইট ব্রাউজ করার সময় শুনতে এবং প্রতিক্রিয়া জানাতে সক্ষম করে; যা একটি নিরবচ্ছিন্ন, ফোন কলের মতো অভিজ্ঞতা তৈরি করে।
গুরুত্বপূর্ণ বা গোপনীয়তা হিসেবে ব্যবহারকারীরা মাইক্রোফোনটি নিঃশব্দ করতে পারবেন অথবা ক্লোজ বোতামটি ট্যাপ করে বা টেক্সট চ্যাটে ফিরে যাওয়ার মাধ্যমে ম্যানুয়ালি ভয়েস সেশনটি শেষ করতে পারবেন।
আইওএস-এ, যখনই কোনো অ্যাপ সক্রিয়ভাবে মাইক্রোফোন ব্যবহার করে, তখন স্ক্রিনের ওপরের ডান দিকে (সিগন্যাল এবং ব্যাটারি আইকনের কাছে) একটি কমলা বিন্দু দেখা যায়। এটি অ্যাপলের সিস্টেম-স্তরের গোপনীয়তা সুরক্ষার অংশ এবং হোয়াটসঅ্যাপসহ কোনো অ্যাপ দিয়ে এটি পরিবর্তন, লুকানো বা ওভাররাইড করা যাবে না।
এ নতুন ভয়েস চ্যাট বৈশিষ্ট্যটি টাইপ করার প্রয়োজনীয়তা দূর করে, বিশেষ করে মাল্টিটাস্কিং, ড্রাইভিং বা গতিশীলতার সমস্যাযুক্ত ব্যবহারকারীদের জন্য সহায়ক।

ওয়াই-ফাই রাউটারে কত টাকার বিদ্যুৎ খরচ হয়?
অনলাইন ডেস্ক

বর্তমানে প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই ওয়াই-ফাই ব্যবহৃত হয়, আর রাউটারটি ২৪ ঘণ্টায় সচল থাকে। অনেকেই আবার রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে রাউটার বন্ধ করে দেন। তবে প্রশ্ন থাকে— রাতে রাউটার চালু থাকলেও, যদি কোনো ডিভাইস না চালানো হয়, তাহলে বিদ্যুৎ খরচ কতটা হয়?
বাসায় আমরা নানা ধরনের বৈদ্যুতিক ডিভাইস ব্যবহার করি। মাস শেষে বিদ্যুৎ বিল দেখেই অনেক সময় হতাশ হতে হয়।
একটি ওয়াই-ফাই রাউটারের বিদ্যুৎ খরচ খুব বেশি না। এসব রাউটার সাধারণত ৫ থেকে ২০ ওয়াটের হয়ে থাকে।
রাউটারে মাসে গড়ে ১০ ওয়াট বিদ্যুৎ খরচ হলে, মোট ২৪×৩০ = ৭২০ ঘণ্টা হয়। তাহলে বিদ্যুৎ খরচ দাঁড়ায়, ১০×৭২০ ওয়াট বা ঘণ্টা = ৭,২০০ ওয়াট বা ঘণ্টা। ৭,২০০÷১০০০ ইউনিট = ৭.২ ইউনিট।
এবার বিদ্যুৎ বিল প্রতি ইউনিট যদি হয় ৭ টাকা ৫০ পয়সা হয় তাহলে এক মাসে খরচ হবে ৭.২×৭.৫০ = ৫৪ টাকা। রাতের ১২ ঘণ্টা বন্ধ রাখলে বিদ্যুৎ খরচ হবে এর অর্ধেক, অর্থাৎ ২৭ টাকা।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ওয়াই-ফাই রাউটার বারবার বন্ধ ও চালু করলে এর কার্যক্ষমতা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।