যেভাবে শুরু
২০১৪ সালে গ্রাফিক ডিজাইনার হিসেবে সুদীপ্ত কুমার মণ্ডলের (অপু) কাজের শুরু। ২০১৮ সাল থেকে কয়েক বছর কাজ করেছেন খুলনার ‘এন্ড আইটি’ নামের একটি প্রতিষ্ঠানে। বেতন ছিল মাত্র আট হাজার টাকা। রুম ভাড়াই দিতে হতো তাঁকে এক হাজার টাকা।
যেভাবে শুরু
২০১৪ সালে গ্রাফিক ডিজাইনার হিসেবে সুদীপ্ত কুমার মণ্ডলের (অপু) কাজের শুরু। ২০১৮ সাল থেকে কয়েক বছর কাজ করেছেন খুলনার ‘এন্ড আইটি’ নামের একটি প্রতিষ্ঠানে। বেতন ছিল মাত্র আট হাজার টাকা। রুম ভাড়াই দিতে হতো তাঁকে এক হাজার টাকা।
অপু বলেন, ‘এমনও হয়েছে যে সারা রাতে ঘুমিয়েছি মাত্র তিন-চার ঘণ্টা।
মার্কেটপ্লেসে তাঁর জীবনে প্রথম উপার্জন একটি লোগো ডিজাইনের কনটেস্ট থেকে ৩০ ডলার। তখন ছিল শীতকাল। এই টাকা দিয়ে মাকে একটি চাদর কিনে দিয়েছিলেন।
অবশেষে নিজের প্রতিষ্ঠান
ঝুঁকি তো কিছুটা ছিলই। তার পরও ২০২০ সালের শেষের দিকে অপু নিজেই অফিস নিয়ে বসলেন। মাত্র ১২ জন ছাত্রকে নিয়ে তাঁর প্রথম ব্যাচ। তাঁদের গ্রাফিক ডিজাইন শেখাতে শুরু করেন। প্রতিষ্ঠানের নাম দেন ‘ডিজাইন বিডি আইটি ফার্ম’। অপু জানান, প্রথম ব্যাচের প্রায় সবাই এখন সফল ফ্রিল্যান্সার। এরপর তিনি আরো ২৫ জনকে প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। তাঁরাও ফ্রিল্যান্সিং করে ভালোই আয় করছেন। নিজে ফ্রিল্যান্সিং করে অন্যদের শেখানোর সময় পান? এমন প্রশ্নের জবাবে অপু বলেন, ‘বিকেলে এক ঘণ্টা সময় বাঁচিয়ে একটি মাত্র ব্যাচ চালু রেখেছি এবং ওই ব্যাচে নিজের আত্মীয়দের কাজ শেখাচ্ছি। ’ নিজের প্রতিষ্ঠানকে ভবিষ্যতে আরো উচ্চতায় নিয়ে যেতে চান অপু। আরো মানুষকে শিখিয়ে একটা কম্পানির আকার দেবেন, যার চেয়ারম্যান হবেন তিনি নিজে। এমনটাই তাঁর পরিকল্পনা।
মার্কিন প্রতিষ্ঠানের লোগো ডিজাইনার
মার্কিন প্রতিষ্ঠান টিভি স্টার্টআপে লোগো ডিজাইনার অ্যান্ড এনিমেশন মেকার হিসেবে দেড় বছর ধরে ফুল-টাইম কাজ করছেন অপু। বেতন, সুযোগ-সুবিধার কমতি নেই মোটেও। রাত ১০টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত টানা সাত ঘণ্টা ডিউটি তাঁর। নিজের কাজ সম্পর্কে অপু বলেন, ‘আমার করা সবচেয়ে আলোচিত কাজ হলো ডমিনিকান রিপাবলিকের এক ক্লায়েন্টের আরএম অটোস নামের অফিস স্টেশনারি ডিজাইন, যেটা ক্লায়েন্ট খুব বেশি পছন্দ করেন এবং আমাকে প্রজেক্ট ভ্যালু থেকে বোনাস বেশি দেন। ’
অপু আপওয়ার্ক ও ফাইবারে লোগো, ব্র্যান্ডিং, ফ্লায়ার, ব্রশিউর, টি-শার্ট, কার রপিং, ভেক্টর আর্ট ও এনিমেশন নিয়ে কাজ করেন। ফাইবারে গিগ এবং গিগের র্যাংকিং ভালো থাকার কারণে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই তিনি অর্ডার পান। অপুর কাজে খুশি তাঁর প্রতিষ্ঠান। অপুর রিপোর্টিং বস আবনার হিল বলেন, ‘সুদীপ্ত আমাদের সঙ্গে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে কাজ করেছেন। সারা বিশ্বে টিভি স্টার্টআপ গ্রাহকদের জন্য সর্বোচ্চ মানের এনিমেশন ও গ্রাফিক ডিজাইন করে থাকেন তিনি। ’
অর্জন
যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, জার্মানি, নাইজেরিয়া, ইতালি, ইন্ডিয়া, পাকিস্তানসহ বিভিন্ন দেশের ক্লায়েন্টদের ৫০০-এও বেশি প্রজেক্ট তিনি সফলভাবে সম্পন্ন করেছেন। শেষ তিন বছরে তাঁর আয় ৩০ হাজার ডলারেরও বেশি। মাসে তাঁর গড় আয় দুই লাখ টাকার মতো।
সমস্যাও ছিল অনেক
যখন-তখন বিদ্যুৎ চলে যেত। ইন্টারনেট থেকে শুরু করে পারিপার্শ্বিক পরিবেশ কোনো কিছুই তাঁর অনুকূলে ছিল না। তার ওপর জানতেন না ভালো ইংরেজি। অপু বলেন, ‘ইংরেজি ও কাজের অদক্ষতার কারণে আমাকে অনেক প্রজেক্টে খারাপ ফিডব্যাক দিয়েছিলেন ক্লায়েন্টরা। এমনকি অনেক কাজ হাতছাড়াও হয়েছে। আবার ফ্রিল্যান্সার হিসেবে সামাজিক পরিচয়ে সমস্যা তো আছেই। ’
এত সমস্যার কোনোটাই অপুর যাত্রা রোধ করতে পারেনি। কারণ তত দিনে তিনি ফ্রিল্যান্সিং কাজটাকে ভালোবেসে ফেলেছেন।
প্রফাইল সাসপেন্ডের দুঃখ ভোলার নয়
১০০-এর ওপর জব সম্পন্ন করেছে—এমন একটি অ্যাকাউন্ট যদি হুট করে সাসপেন্ড হয়, কেমন লাগে! অপুর একটি অ্যাকাউন্টের অবস্থা এমনই হয়েছিল। অপু বলেন, ‘এত বড় ক্ষতি হলেও হাল ছাড়িনি। পরিবারের সান্ত্বনা আর নিজের ভালো কিছু করার অদম্য মনোবল নিয়ে আবার অ্যাকাউন্ট তৈরি করে কাজ শুরু করি। ’
আরেকবার কিছু ফ্রিল্যান্সার দিয়ে ‘ক্রিয়েটিভ ফেব্রিকা’ শপের জন্য ৮০০+ টি-শার্ট করেন তিনি। ওগুলোর মধ্য অনেক কপিরাইট ছিল। কপিরাইট চেক না করেই অপলোড করেছিলেন। ফলে ক্রিয়েটিভ ফেব্রিকা অ্যাকাউন্টটিও সাসপেন্ড হয়। এই অ্যাকাউন্ট থেকে প্রতি মাসে ২০০ ডলার আয় হতো তাঁর।
২০২০ সালের একটি ঘটনা মনে পড়লে আজও খারাপ লাগে অপুর। একজন ক্লায়েন্ট তাঁকে দিয়ে টানা ৯ ঘণ্টা কাজ করানোর পর টাকা রিফান্ড করতে বলেন। তিনি নাকি আরেকজন ভালো ডিজাইনার পেয়েছেন। সত্যি ছিল কি না, অপুর জানা নেই। তবে তিনি টাকা ঠিকই রিফান্ড করেছিলেন।
ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে কিছু ভুল
ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে প্রচলিত কিছু ভুলের কথা জানতে চাইলে অপু বলেন, ‘ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য অনেক পড়াশোনা করতে হয়—এ কথা সম্পূর্ণ ভুল। আপনার যদি কর্মদক্ষতা ও যোগাযোগ দক্ষতা থাকে, তাহলে আপনি ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবেন। আপনি দেশের একজন রেমিট্যান্স যোদ্ধা এবং বেকারত্ব দূর করছেন। এমনটা ভাবতে হবে।
লোকের কথায় কান দিতে নেই। ফ্রিল্যান্সিংয়ের কোনো ভবিষ্যৎ নেই—এ কথা সম্পূর্ণ মিথ্যা। বাংলাদেশে প্রায় সাত লাখ ফ্রিল্যান্সার। এর মধ্যে প্রায় সাড়ে তিন লাখ ফ্রিল্যান্সার সফলভাবে কাজ করে ডলার আয় করে দেশ, পরিবারকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। এটাই বা কম কিসে!’
পরিবার
অপুর গ্রামের বাড়ি বাগেরহাটের রামপালের গিগাতলা। বাবা চিংড়ি মাছের ঘেরের ব্যবসায়ী। মা-বাবা, স্ত্রী ও একমাত্র পুত্রসন্তান নিয়ে তাঁর পরিবার। তিনি সরকারি পিসি কলেজ বাগেরহাট থেকে বিবিএস সম্পন্ন করেছেন। কাজের সুবিধার জন্য এখন তিনি খুলনায় থাকেন।
আপওয়ার্ক স্পটলাইট
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের আইটি অভিজ্ঞরা কাজ করেন আপওয়ার্কে। পেশাদার ফ্রিল্যান্সারদের এত বড় কমিউনিটি আর নেই। কাজের পূর্ব অভিজ্ঞতা, টপ রেটেড প্লাস প্রফাইলসহ অন্যান্য যোগ্যতা এবং সব শর্ত পূরণ করেই অপু আপওয়ার্ক স্পটলাইট হয়েছেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিশ্বের সবচেয়ে বড় মার্কেটপ্লেস আপওয়ার্ক। এখানে পৃথিবীর তাবৎ পেশাদার ফ্রিল্যান্সার কাজ করেন। এত পেশাদার মানুষের মধ্য থেকে তাঁদের কমিউনিটিতে আমার গল্প ও পারিবারিক ছবি পোস্ট করাটা আমার জন্য অনেক বড় অর্জন। এর মধ্য দিয়ে নিজের দেশকে বিশ্বের সামনে উপস্থাপন করার সুযোগ পেয়েছি। ’ অপুর আগে যে চারজন আপওয়ার্ক স্পটলাইট হয়েছেন তাঁরা হলেন শাহরিয়ার কবির (২০১৮), ওয়াহিদুল ইসলাম মুরাদ (২০২০), মাহবুব রাতুল (২০২১) ও সাইফুর রহমান (২০২১)।
আজকাল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রিলস বা শর্ট ভিডিও অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। শত কাজের মাঝে একটু সময় পেলেই অনেকে ঢুঁ মারেন ইনস্টাগ্রাম, ফেসবুক কিংবা ইউটিউবে। কিন্তু রিলস দেখতে গেলে বারবার স্ক্রল করতে হয়। তবে এখন থেকে আর তেমনটা স্ক্রল করতে হবে না ইনস্টাগ্রামে।
কী এই ফিচার
খুব শিগগির রিলসে ‘অটো স্ক্রল’ ফিচার আনছে ইনস্টাগ্রাম। এর ফলে রিলস দেখতে গেলে আর স্ক্রল করতে হবে না। মোবাইল স্ক্রিনে চলতে থাকবে একের পর এক রিলস।
কিভাবে এই ফিচারটি চালু করবেন
‘অটো স্ক্রল’ ফিচারটি চালু করতে গেলে প্রথমে যেকোনো একটি রিলস ওপেন করতে হবে। তারপর ডানদিকে নিচে তিনটি বিন্দু দেওয়া একটি অপশন ক্লিক করতে হবে।
সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন
উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনার পরপরই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে ‘অ্যানোনিমাস মেইন পেজ’ নামের একটি ফেসবুক পেজ থেকে দেওয়া এক স্ট্যাটাস। এই স্ট্যাটাসটি ছিল ২০ জুলাইয়ের। যেখানে দাবি করা হয়, ‘একটি বিদ্যালয়ের বিল্ডিং ধসে পড়বে, অনেক শিশুর প্রাণহানি ঘটবে। এমনটা ঘটবে বিদ্যালয়ের বিল্ডিংয়ের দুর্বল রক্ষণাবেক্ষণের কারণে।
এরপরই সোমবার উত্তরায় মাইলস্টোন কলেজের প্রাইমারি ভবনে বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার পরেই অনেকে দাবি করতে শুরু করেন, হয়তো এই ঘটনার সঙ্গে স্ট্যাটাসের কোনো যোগসাজশ রয়েছে। শুধু তাই নয়, ওই একই পেজ থেকে উত্তরায় বিমান দুর্ঘটনার কিছুক্ষণ পরই অপর এক স্ট্যাটাসে দাবি করা হয়, তারা আগেই সতর্ক করেছিল। একদিন আগেই এমন কিছু ঘটবে, সেটার আগাম বার্তা দিয়েছিল। একের পর এক গুজব ছড়ানো হচ্ছিল পেজটি থেকে।
মুহূর্তের মধ্যেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হুলস্থূল শুরু হয়। অনেকেই তাদের সেই পোস্ট শেয়ার করে এক ধরনের আতঙ্ক-উদ্বিগ্নের কথাও প্রকাশ করেন।
নিজের ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, ‘অনলাইন জুয়াড়িদেরকে খোদা বানিয়ে ফেলা বন্ধ করুন! আজকের এই দিনে এমন জিনিসে অ্যাটেনশন দিতে হবে তা ভাবাও কষ্টকর। ‘অ্যানোনিমাস মেইন পেজ’ নিয়ে যে হাইপ তোলা হয়েছে, তারপর একটু সময় দিলাম পেইজটার পেছনে। যা পেলাম তা হচ্ছে--- প্রথমত, এটি অ্যানোনিমাস হ্যাকার গ্রুপের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কিছু নয়। অ্যানোনিমাস এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যে ফেসবুক পেইজ দেওয়া আছে সেটি এই পেইজ নয়।
‘দ্বিতীয়ত, ‘অ্যানোনিমাস মেইন পেজ’ নামক পেইজটি ঘেঁটে জানা গেছে, এটি একটি অনলাইন জুয়ার পেইজ। মূলত অনলাইন জুয়া প্রমোট করা (টিকিট বিক্রির), নতুন সদস্য সংগ্রহের জন্য এটি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তারা অনলাইন গেমিং বা জুয়া সংক্রান্ত পোস্ট দিয়ে থাকে। তৃতীয়ত, তাদের যে পোস্ট ভাইরাল হয়েছে ‘স্কুল ভবন ধসে’ পড়া সংক্রান্ত সেটিতে লেখা হয়েছিল: ‘A school building will collapse leaving lots of kids l!veless. We see a terrible disaster fast coming, This will be as a result of poor maintenance on the building. We shall do everything in our power to avert this terrible catastrophe we’ve seen coming.’
‘এখানে কোনোভাবেই বাংলাদেশের নাম উল্লেখ নেই। আর বাংলাদেশে আজ যে ঘটনা ঘটেছে তাতে স্কুল ভবন ধসে পড়েনি। ভবনের ওপর বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। যারা মারা গেছেন কেউ ভবনের ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত কারণে মারা যাননি। মারা গেছেন বিমান বিস্ফোরিত হয়ে লাগা আগুনে। ফলে এটা কোনোভাবেই বলার সুযোগ নেই যে, ওই পেইজে বাংলাদেশের এই ঘটনার ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছিল।’
‘গুজবে আজমসহ কিছু আওয়ামী লীগার তাদের ফেসবুক পেইজগুলোতে এই উপসংহার টানার চেষ্টা করেছেন, যা আসলে মূল পোস্টের সঙ্গে মিলে না। চতুর্থত, এই পেইজটি যে একটি স্ক্যামার জুয়াড়ি গ্রুপ দ্বারা পরিচালিত তা স্পষ্ট হচ্ছে তাদের ওই পোস্টটি বাংলাদেশে ভাইরাল হওয়ার পর থেকে। ভাইরাল হওয়ার প্রথম দিকেও পেইজটির ট্রান্সপারেন্সি সেকশন চেক করে দেখা গেছে এটি ৩টি দেশ থেকে চালানো হয়। এর মধ্যে একটি হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াই দ্বীপ, আরেকটি নাইজেরিয়া এবং তৃতীয়ত দেশের নাম এডমিন প্রকাশ করেনি।’
‘পোস্ট ভাইরাল হওয়ার পর তাদের পেইজের নির্ভরযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠায় এডমিনদের অবস্থানকারী দেশের তথ্য তারা হাইড করে দিয়েছে। আফ্রিকায় নাইজেরিয়া অনলাইন জুয়াড়িদের আশ্রয়স্থল হিসেবে পরিচিত। জুয়ার প্রমোশনমূলক ওদের একটা পুরনো ভিডিওতে একজন আফ্রিকানকে দেখা গেছে। অর্থাৎ, এটির সঙ্গে নাইজেরিয়ান জুয়াড়িদের কানেকশন থাকার খুবই সম্ভাবনা রয়েছে।’
‘তাদের পোস্টটি ভাইরাল হওয়ার পরে যখন বুঝতে পেরেছে তারা বাংলাদেশিদের অ্যাটেনশন পাচ্ছে (বিকেল থেকে তাদের ফলোয়ার ২ লাখের কাছাকাছি থেকে ৩ লাখের ওপরে উঠেছে) তখন একের পর এক বাংলাদেশ বিষয়ক পোস্ট দেওয়া শুরু করেছে। এবং আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ভয়ঙ্কর কিছু বাংলাদেশের মার্কেটগুলোতে ঘটবে বলেও ভবিষ্যদ্বাণী করেছে। একইসঙ্গে তাদের আরো নানান জুয়ার পেইজ প্রমোট করা শুরু করেছে বাংলাদেশি নতুন ব্যবহারকারীদের লক্ষ্য করে। আহ্বান জানাচ্ছে দ্রুত ফলোয়ার হওয়ার জন্য। এই পেইজটি ফলো করে জানি না কতজন অনলাইন জুয়ায় ঝুঁকে ফতুর হয়। এমনিতেই বাংলাদেশে অনলাইন জুয়া নানানভাবে বাড়ছে।’
চলতি বছরের জুন মাসে অ্যাপলের ওয়ার্ল্ডওয়াইড ডেভেলপারস কনফারেন্স (ডব্লিউডব্লিউডিসি) থেকে আইওএস ২৬ ডেভেলপার বিটা প্রকাশ করা হলেও সাধারণ ব্যবহারকারীদের জন্য এটি প্রকাশ হয়নি। তবে ব্যবহারকারীদের জন্য সুখবর, গুজব রয়েছে আইওএস ২৬ পাবলিক বিটা এ সপ্তাহেই প্রকাশ হতে যাচ্ছে।
ব্লুমবার্গের প্রতিবেদক মার্ক গুরম্যানের সর্বশেষ পাওয়ার অন নিউজলেটারে এমন তথ্যই জানা গেছে। সেখানে গুরম্যান জানিয়েছেন, আইওএস ২৬ আগামী সপ্তাহে পাবলিক বিটা পর্যায়ে যাবে বলে সব ধরনের ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।
এটি আপডেট করা অপারেটিং সিস্টেমটিকে বর্তমানে যে পরিমাণ দর্শক আছে তার চেয়ে অনেক বেশি দর্শকের কাছে নিয়ে যাবে। যদিও এটি প্রকাশের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত নয়, এটি সেপ্টেম্বরে আইফোন ১৭-এর সঙ্গে প্রকাশ হতে পারে।
গত সপ্তাহে এক্সে একটি পোস্টে গুরম্যান বলেছিলেন, আইওএস ২৬ পাবলিক বিটা ২৩ জুলাই বা তার কাছাকাছি সময়ে প্রকাশ হতে পারে। পরবর্তী পাওয়ার অনের তথ্য থেকে মনে হচ্ছে, গুরম্যান সেই সময়ের বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী।
আইওএস ২৬ ছাড়াও অ্যাপল প্রায় নিশ্চিতভাবেই একই সময়ে ম্যাকওএস ২৬, আইপ্যাড ২৬, ওয়াচওএস ২৬, টিভিওএস ২৬-এর জন্য পাবলিক বিটা ও হোমপ্যাডের অপারেটিং সিস্টেমের জন্য আপডেট প্রকাশ করবে।
আইওএস ২৬ আপগ্রেডটি লিকুইড গ্লাসের নতুন নকশার পাশাপাশি স্প্যাম কল থেকে বর্ধিত সুরক্ষা, নতুন গেমস অ্যাপ, অ্যাপল ইন্টেলিজেন্সের আপডেট ও আরো অনেক কিছুর আমূল পরিবর্তন ও নতুন অনুভূতি নিয়ে আসবে।
সূত্র : টেক রাডার
নেটফ্লিক্স তাদের টেলিভিশন শোতে প্রথমবারের মতো উৎপাদনক্ষম কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় (এআই) তৈরি ভিজ্যুয়াল ইফেক্ট ব্যবহার করেছে।
স্ট্রিমিং জায়ান্টটির সহ-প্রধান নির্বাহী টেড সারান্দোস বলেছেন, ‘আর্জেন্টিনার বিজ্ঞান কল্পকাহিনি শো ‘দি এটারনাউট’ একটি ভবন ধসের দৃশ্য তৈরি করতে প্রম্পটের ওপর ভিত্তি করে এআই দিয়ে তৈরি ভিডিও ও ছবি ব্যবহার করা হয়েছে। এ প্রযুক্তি প্রযোজনা দলকে দ্রুত ও কম খরচে দৃশ্য সম্পন্ন করতে সাহায্য করেছে।’
অন্যদের কাজ ব্যবহার করে তাদের সম্মতি ছাড়াই কনটেন্ট তৈরি করায় ও মানুষের কাজ প্রতিস্থাপন করার আশঙ্কায় বিনোদন শিল্পে উৎপাদনক্ষম কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার বেশ বিতর্কিত।
সারান্দোস এমন একটি সময়ে এ মন্তব্য করলেন যখন, জুন মাসের শেষ পর্যন্ত তিন মাসে নেটফ্লিক্সের আয় গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ১১ বিলিয়ন ডলার হয়েছে বলে ঘোষণা করা হয়েছে। তাদের মুনাফা ২.১ বিলিয়ন ডলার থেকে বেড়ে ৩.১ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।
‘দি এটারনাউটে’ ব্যবহৃত জেনারেটিভ এআই প্রযোজনা দলকে বুয়েনস এইরেসে ভবনধসের একটি দৃশ্য স্বাভাবিকের চেয়ে ১০ গুণ দ্রুত সম্পন্ন করতে সাহায্য করেছে বলে জানিয়েছে সারান্দোস।
সারান্দোস বলেন, ‘এটি আসলে পর্দায় প্রদর্শিত নেটফ্লিক্সের একটি অরিজিনাল সিরিজ বা ছবিতে প্রথম এআই তৈরি দৃশ্য।
২০২৩ সালে হলিউড ধর্মঘটের সময় উত্থাপিত প্রধান উদ্বেগগুলোর মধ্যে এআই ছিল অন্যতম। তিন মাসের ওই ওয়াকআউটের সময় স্ক্রিন অ্যাক্টরস গিল্ড-আমেরিকান ফেডারেশন অব টেলিভিশন অ্যান্ড রেডিও আর্টিস্টস ইউনিয়ন এআই ব্যবহারের ওপর কঠোর নিয়ন্ত্রণের আহ্বান জানিয়েছিল।
চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রির অনেকেই এআইকে শিল্পের জন্য অবমাননাকর বলে অভিহিত করেছেন।
সিঙ্গাপুর অ্যানিমেশন স্টুডিও ক্রেভএফএক্সের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ডেভিয়ার ইউন বলেছেন, ‘নেটফ্লিক্সের এআই গ্রহণ কোনো আশ্চর্যের বিষয় নয়, কারণ অন্য বড় স্টুডিওগুলোও প্রযুক্তিটিকে স্বাগত জানাচ্ছে। এটা সময়ের ব্যাপার বলে মনে হচ্ছে। এআই অবশ্যই ছোট স্টুডিওগুলোকে বড় বাজেটের ভিজ্যুয়াল তৈরির সুযোগ করে দেওয়ার দরজা খুলে দিচ্ছে। তবে অবশেষে এআই নয়, শিল্পীই সিদ্ধান্ত নেন চূড়ান্ত ছবিতে কী থাকবে।’
সূত্র : বিবিসি