ঢাকা, মঙ্গলবার ১৫ জুলাই ২০২৫
৩১ আষাঢ় ১৪৩২, ১৯ মহররম ১৪৪৭

ঢাকা, মঙ্গলবার ১৫ জুলাই ২০২৫
৩১ আষাঢ় ১৪৩২, ১৯ মহররম ১৪৪৭

স্বাস্থ্য বাতায়নে নতুন তিন সেবা

টেক প্রতিদিন ডেস্ক
টেক প্রতিদিন ডেস্ক
শেয়ার
স্বাস্থ্য বাতায়নে নতুন তিন সেবা

জাতীয় স্বাস্থ্য সেবার কল সেন্টার ‘স্বাস্থ্য বাতায়ন ১৬২৬৩’-এ যুক্ত হতে যাচ্ছে যৌন স্বাস্থ্য, প্রজনন স্বাস্থ্য এবং পরিবার পরিকল্পনা সেবা। এর অংশ হিসেবে স্বাস্থ্য বাতায়নের ডাক্তারদের যৌন স্বাস্থ্য, প্রজনন স্বাস্থ্য এবং পরিবার পরিকল্পনা সেবা সম্পর্কে আরো দক্ষ করে তুলতে তিন দিনের প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়। সম্প্রতি এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সাহান-আরা বানু, মা ও শিশু সেবা, লাইন ডিরেক্টর ডা. মোহাম্মাদ শরীফ, এমআইএস এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এম আই এস ও ই-হেলথ বিভাগের পরিচালক ড. হাবিবুর রাহমান, আইপাস বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ডাক্তার সৈয়দ রুবাইয়াত, সিনেসিস আইটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক সোহরাব আহমেদ চৌধুরী এবং সিনেসিস হেলথের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ডা. নিজাম উদ্দিন আহমেদ।

ডা. নিজাম উদ্দিন আহমেদ জানান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উদ্যোগে গত ২০১৫ সাল থেকে স্বাস্থ্য বাতায়ন দেশের জনগণকে সেবা দিয়ে যাচ্ছে।

২০১৭ সালের পর থেকে এই সেবার বেশ উন্নয়ন করা হয়েছে। এবার পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের সঙ্গে আমরা যুক্ত হতে পেরে আনন্দিত। সাহান-আরা বানু বলেন, প্রত্যন্ত অঞ্চলের অনেকেই পরিবার পরিকল্পনা বিষয়টি সম্পর্কে জানেন না। আমার বিশ্বাস স্বাস্থ্য বাতায়নের মাধ্যমে দেশের জনগণকে প্রজনন স্বাস্থ্য এবং পরিবার পরিকল্পনা সম্পর্কে সচেতন করবে।
সোহরাব আহমেদ চৌধুরী বলেন, সিসেসিস আইটির ডিজিটাল স্বাস্থ্য সেবার মধ্যে স্বাস্থ্য বাতায়ন ১৬২৬৩ দেশের স্বাস্থ্য সেবায় অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।

মন্তব্য

চ্যাটজিপিটির বানানো ডায়েট প্ল্যানে কমল ১১ কেজি ওজন

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
চ্যাটজিপিটির বানানো ডায়েট প্ল্যানে কমল ১১ কেজি ওজন
সংগৃহীত ছবি

যুক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দা কোডি ক্রোন (৫৪) কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা চ্যাটজিপিটির বানানো ডায়েট প্ল্যানে মাত্র দেড় মাসে ১১ কেজি ওজন কমিয়েছেন। সারা দিনে কখন কী খেতে হবে, কখন ঘুমাতে যেতে হবে— সব কিছু সময় মেপে ছক কষে ‘ডায়েট প্ল্যান’ বানিয়ে দিয়েছিল চ্যাটজিপিটি।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, স্ত্রী এবং দুই সন্তান নিয়ে কোডি ক্রোনের সংসার। দিনদিন ওজন বেড়ে যাওয়ায় চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন তিনি।

অবশেষে তিনি চ্যাটজিপিটির সহায়তা নেন। দেড় মাস ধরে চ্যাটজিপিটির ওপর ভরসা করে সেই ছকই মেনে চলছিলেন তিনি।

ভোর সাড়ে ৪টায় নিয়ম মেনে ঘুম থেকে ওঠেন কোডি। সকালের কাজকর্ম সেরে ভোর ৬টা থেকে জিমে গিয়ে শরীরচর্চা করতে শুরু করেন তিনি।

প্রতি সপ্তাহে ছয় দিন জিমে গিয়ে এক থেকে দেড় ঘণ্টা শরীরচর্চা করেন কোডি। দিনে দুবেলা ভারী খাবার খান। তার মাঝে বিরতির সময় আর খান না তিনি।

আরো পড়ুন
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্টের সাক্ষাৎ

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্টের সাক্ষাৎ

 

সারা দিনে চার লিটার পানি পান করেন তিনি।

কিন্তু সন্ধ্যা ৬টার পর পানি পান করাও থামিয়ে দেন। প্রতি রাতে ঘুমাতে যাওয়ার এক ঘণ্টা আগে ‘স্ক্রিনটাইম’ রাখেন না কোডি। ফোন বা ল্যাপটপ দূরে সরিয়ে রাখেন তিনি। ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমিয়ে আবার ভোরে উঠে পড়েন। তার পর কখন কী কী খাবার খেতে হবে তা-ও এআইয়ের নির্দেশ মেনেই খান।
দেড় মাস পর ওজন মাপেন তিনি। 

৪৬ দিন আগে তার ওজন ছিল ৯৫ কেজি। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার নির্ধারণ করা তালিকা অনুসরণ করে এক ধাক্কায় তার ওজন কমে যায় ১১ কেজি। বর্তমানে তার ওজন ৮৪ কেজি।

মন্তব্য

সুপারইন্টেলিজেন্স তৈরিতে হাজার কোটি ডলার বিনিয়োগ করছে মেটা

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
সুপারইন্টেলিজেন্স তৈরিতে হাজার কোটি ডলার বিনিয়োগ করছে মেটা
সংগৃহীত ছবি

সুপারইন্টেলিজেন্স অর্জনের দৌড়ে বড় ধরনের ঝাঁপ দিল মেটা। প্রতিষ্ঠানটি ঘোষণা করেছে, তারা হাজার কোটি ডলার বিনিয়োগ করছে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী কম্পিউটার ক্লাস্টার নির্মাণে। এই প্রকল্পের অংশ হিসেবে মেটা গড়ছে একাধিক মাল্টি-গিগাওয়াট সুপারকম্পিউটিং সেন্টার, যার মধ্যে রয়েছে ‘প্রমিথিউস’ ও ‘হাইপেরিয়ন’ নামক দুটি ক্লাস্টার। আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই কার্যক্রম শুরু করবে।

এআই গবেষণায় ইতিহাস গড়ার লক্ষ্যে মেটা গড়ে তুলছে অভূতপূর্ব মাত্রার কম্পিউট পরিকাঠামো ও গবেষকপ্রতি সর্বোচ্চ রিসোর্স সুবিধা।

সোমবার (১৪ জুলাই) এক ফেসবুক পোস্টে এই তথ্য জানান মেটার প্রধান নির্বাহী (সিইও) মার্ক জাকারবার্গ।

নিজের ফেসবুক পোস্টে জাকারবার্গ বলেন, ‘আমরা যে সুপারইন্টেলিজেন্স প্রকল্পে কাজ করছি, তার জন্য আমি এমন একটি দল গড়ে তুলতে চাই; যা শিল্পে সবচেয়ে অভিজাত ও প্রতিভাসম্পন্ন। এই লক্ষ্যে আমরা আমাদের ব্যবসায়িক মূলধন থেকেই হাজারও কোটি ডলার বিনিয়োগ করব।

তিনি জানান, বিশ্লেষক সংস্থা সেমিঅ্যানালাইসিস সম্প্রতি জানিয়েছে, মেটা প্রথম কোম্পানি হিসেবে ১ গিগাওয়াটের বেশি ক্ষমতাসম্পন্ন সুপারকম্পিউটিং ক্লাস্টার চালু করতে যাচ্ছে। জাকারবার্গ আরও বলেন, আমরা একাধিক মাল্টি-গিগাওয়াট ক্লাস্টার তৈরি করছি। প্রথমটির নাম রাখা হয়েছে ‘প্রমিথিউস’, যা ২০২৬ সালে চালু হবে। পাশাপাশি ‘হাইপারিয়ন’ নামে আরও একটি ক্লাস্টার তৈরি হচ্ছে, যা কয়েক বছরের মধ্যে ৫ গিগাওয়াট পর্যন্ত স্কেল-আপ করতে পারবে।

তিনি উল্লেখ করেন, মেটা ভবিষ্যতে আরও অনেক ‘টাইটান ক্লাস্টার’ গড়ে তুলবে, যাদের প্রত্যেকটির পরিসর ম্যানহাটন শহরের একটি বড় অংশের সমান। মেটা সুপারইনটেলিজেন্স ল্যাবস হবে কম্পিউটিং শক্তির দিক থেকে শিল্পের শীর্ষে ও গবেষকপ্রতি কম্পিউটিং ক্ষমতাও অন্যান্যদের তুলনায় অনেক বেশি হবে।

তিনি আরও জানান, আমি বিশ্বের সেরা গবেষকদের সঙ্গে কাজ করার জন্য উন্মুখ হয়ে আছি, যাতে আমরা এআই প্রযুক্তির সীমা আরও এক ধাপ এগিয়ে নিতে পারি।

মন্তব্য

টিকটকের বিরুদ্ধে ইউরোপীয়দের তথ্য চীনে সংরক্ষণের অভিযোগ

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
টিকটকের বিরুদ্ধে ইউরোপীয়দের তথ্য চীনে সংরক্ষণের অভিযোগ

টিকটক ইউরোপীয় ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য চীনে সংরক্ষণ করেছে বলে স্বীকার করার পর, ইউরোপীয় নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলো কম্পানিটির বিরুদ্ধে নতুন তদন্ত শুরু করেছে।

ডেটা প্রোটেকশন কমিশন (ডিপিসি), যা ইউরোপীয় ইউনিয়নে তথ্য গোপনীয়তা তদারকি করে। তারা জানায় যে, টিকটক স্বীকার করেছে ‘সীমিত সংখ্যক ইইএ (ইউরোপীয় অর্থনৈতিক অঞ্চল) ব্যবহারকারীর ডেটা চীনে সংরক্ষিত হয়েছিল।

এটি পূর্বের তদন্তে দেওয়া টিকটকের বক্তব্যের বিপরীত, যেখানে তারা বলেছিল ইউরোপীয় ব্যবহারকারীর তথ্য চীনে সংরক্ষিত নয়, বরং শুধু চীনের কর্মীরা দূরবর্তীভাবে এই তথ্য অ্যাক্সেস করে।

আরো পড়ুন
বাংলাদেশের বেতন-ভাতায় ভারতে থাকেন শিক্ষক দম্পতি

বাংলাদেশের বেতন-ভাতায় ভারতে থাকেন শিক্ষক দম্পতি

 

পরবর্তীতে টিকটক তাদের অবস্থান বদলে জানায়, কিছু তথ্য আসলে চীনের সার্ভারে সংরক্ষিত ছিল। তখন ডিপিসি জানায়, তারা এই বিষয়ে আরও পদক্ষেপ নেবে। এই ঘটনার ফলস্বরূপ ডিপিসি এখন টিকটকের বিরুদ্ধে নতুন তদন্ত শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

সূত্র : এবিসি।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

গ্রাহককেন্দ্রিক অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করল বাংলালিংক

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
গ্রাহককেন্দ্রিক অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করল বাংলালিংক
সংগৃহীত ছবি

গ্রাহককেন্দ্রিক সেবা নিশ্চিতে প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করার মাধ্যমে নিজেদের ২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করেছে দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় ডিজিটাল অপারেটর বাংলালিংক। দুই দশকের যাত্রায় ডিজিটাল বৈষম্য হ্রাসে এবং উদ্ভাবনী ও গ্রাহককেন্দ্রিক সেবার মাধ্যমে দেশজুড়ে ব্যবহারকারীদের অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে প্রতিষ্ঠানটি। 

উদযাপনের অংশ হিসেবে দীর্ঘদিন বাংলালিংকের সঙ্গে রয়েছেন এমন গ্রাহকদের সম্মান জানাতে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করে অপারেটরটি। যার মধ্যে রয়েছে- ভ্রমণের সুযোগসহ বিশেষ অফার।

গ্রাহকদের অগ্রাধিকার দিয়ে নিজেদের সকল কার্যক্রম পরিচালনা করে বাংলালিংক এবং প্রতিষ্ঠানের ওপর গ্রাহকদের আস্থাকে আরো সুদৃঢ় করতে নিরলস কাজ করায় বিশ্বাস করে প্রতিষ্ঠানটি।

রবিবার (১৩ জুলাই) এর ধারাবাহিকতায় ২০ বছর পূর্তিতে গ্রাহকদের নিয়েই নানা আয়োজন করে বাংলালিংক।

গ্রাহকদের প্রতি কৃতজ্ঞতাস্বরূপ নিজেদের সবচেয়ে পুরোনো গ্রাহক ও তাদের প্রিয়জনদের পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারে ভ্রমণের যাওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হয়। সেখানে প্রতিষ্ঠানটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আনন্দঘন সময় কাটান গ্রাহকেরা এবং বাংলালিংকের সঙ্গে নিজেদের যাত্রার স্মৃতিচারণা করেন।

এ আয়োজন ছিল বাংলালিংক ও এর গ্রাহকদের মধ্যে আস্থার এক চমৎকার প্রতিফলন।      

উদযাপন এখানেই থেমে থাকেনি। বাংলালিংকের কর্মীরা গ্রাহকদের ফোন করে তাদের দীর্ঘদিনের আস্থা ও বাংলালিংকের সঙ্গে থাকার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।     

পাশাপাশি, বাংলালিংকের প্রতিনিধিরা কিছু গ্রাহকের সঙ্গে সরাসরি দেখা করেছেন।

এসব উদ্যোগের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির শীর্ষ কর্মকর্তারা, যা মূল্যবান গ্রাহকদের প্রতি বাংলালিংকের অঙ্গীকারেরই প্রতিফলন। দীর্ঘদিনের গ্রাহকদের জন্য বাংলালিংক চালু করেছে বিশেষ অফার, যার মধ্যে রয়েছে রেট কাটার প্যাকেজ ও ২০ জিবি বোনাস ডেটা।

বাংলালিংকের ২০ বছর পূর্তি উপলক্ষে প্রতিষ্ঠানটির চিফ করপোরেট ও রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার তাইমুর রহমান বলেন, ‘আমাদের সবকিছুর কেন্দ্রে রয়েছেন আমাদের গ্রাহকেরা। বাংলালিংকের দুই দশকের এই যাত্রা আমাদের গ্রাহকদের আস্থা, ভালোবাসা এবং ভবিষ্যতের পথে একসঙ্গে এগিয়ে যাওয়ার প্রতিফলন। এ মাইলফলক শুধুমাত্র বাংলালিংকের প্রবৃদ্ধির যাত্রাই নয়, বরং এটি একটি সম্মিলিত অগ্রযাত্রা ও সম্ভাবনার গল্প।

বর্তমান সময়ের প্রেক্ষিতে, ডিজিটাল কানেক্টিভিটির গুরুত্ব বেড়েই চলেছে; আর এক্ষেত্রে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে তাদের ক্ষমতায়নে আমাদের লক্ষ্য নিরবচ্ছিন্ন অভিজ্ঞতা ও সেরা ডিজিটাল সেবা নিশ্চিত করা। বাংলাদেশের ডিজিটাল রূপান্তরের এ যাত্রায় আমরা সবসময়ই গ্রাহকদের বিশ্বস্ত সঙ্গী হয়ে থাকতে চাই।’

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ