সুপারইন্টেলিজেন্স অর্জনের দৌড়ে বড় ধরনের ঝাঁপ দিল মেটা। প্রতিষ্ঠানটি ঘোষণা করেছে, তারা হাজার কোটি ডলার বিনিয়োগ করছে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী কম্পিউটার ক্লাস্টার নির্মাণে। এই প্রকল্পের অংশ হিসেবে মেটা গড়ছে একাধিক মাল্টি-গিগাওয়াট সুপারকম্পিউটিং সেন্টার, যার মধ্যে রয়েছে ‘প্রমিথিউস’ ও ‘হাইপেরিয়ন’ নামক দুটি ক্লাস্টার। আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই কার্যক্রম শুরু করবে।
এআই গবেষণায় ইতিহাস গড়ার লক্ষ্যে মেটা গড়ে তুলছে অভূতপূর্ব মাত্রার কম্পিউট পরিকাঠামো ও গবেষকপ্রতি সর্বোচ্চ রিসোর্স সুবিধা।
সোমবার (১৪ জুলাই) এক ফেসবুক পোস্টে এই তথ্য জানান মেটার প্রধান নির্বাহী (সিইও) মার্ক জাকারবার্গ।
নিজের ফেসবুক পোস্টে জাকারবার্গ বলেন, ‘আমরা যে সুপারইন্টেলিজেন্স প্রকল্পে কাজ করছি, তার জন্য আমি এমন একটি দল গড়ে তুলতে চাই; যা শিল্পে সবচেয়ে অভিজাত ও প্রতিভাসম্পন্ন। এই লক্ষ্যে আমরা আমাদের ব্যবসায়িক মূলধন থেকেই হাজারও কোটি ডলার বিনিয়োগ করব।
’
তিনি জানান, বিশ্লেষক সংস্থা সেমিঅ্যানালাইসিস সম্প্রতি জানিয়েছে, মেটা প্রথম কোম্পানি হিসেবে ১ গিগাওয়াটের বেশি ক্ষমতাসম্পন্ন সুপারকম্পিউটিং ক্লাস্টার চালু করতে যাচ্ছে। জাকারবার্গ আরও বলেন, আমরা একাধিক মাল্টি-গিগাওয়াট ক্লাস্টার তৈরি করছি। প্রথমটির নাম রাখা হয়েছে ‘প্রমিথিউস’, যা ২০২৬ সালে চালু হবে। পাশাপাশি ‘হাইপারিয়ন’ নামে আরও একটি ক্লাস্টার তৈরি হচ্ছে, যা কয়েক বছরের মধ্যে ৫ গিগাওয়াট পর্যন্ত স্কেল-আপ করতে পারবে।
তিনি উল্লেখ করেন, মেটা ভবিষ্যতে আরও অনেক ‘টাইটান ক্লাস্টার’ গড়ে তুলবে, যাদের প্রত্যেকটির পরিসর ম্যানহাটন শহরের একটি বড় অংশের সমান। মেটা সুপারইনটেলিজেন্স ল্যাবস হবে কম্পিউটিং শক্তির দিক থেকে শিল্পের শীর্ষে ও গবেষকপ্রতি কম্পিউটিং ক্ষমতাও অন্যান্যদের তুলনায় অনেক বেশি হবে।
তিনি আরও জানান, আমি বিশ্বের সেরা গবেষকদের সঙ্গে কাজ করার জন্য উন্মুখ হয়ে আছি, যাতে আমরা এআই প্রযুক্তির সীমা আরও এক ধাপ এগিয়ে নিতে পারি।